আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে সাতটি কারণে নারীদের তিরিশ পর্যন্ত একাকী থাকা উচিত [কপি-পেস্ট মাত্র]

তিরিশের কাছাকাছি কিন্তু একা- এমন কয়জন নারী রয়েছেন আমাদের দেশে? অথবা গোটা বিশ্বে? যারা এখনো একাকী রয়েছেন, তাদের অন্তত তিরিশ পর্যন্ত একাকী থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর অন্তত ৭টি কারণ রয়েছে যার বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমন স্বাধীনচেতা নারী ব্লগার কয়োকো এসক্যামিলা মনে করেন, নারীদের বয়সের বিশের ঘরটি স্বার্থপরতার সময়। এই দশকটি নিজেকে নিয়েই কাটানো উচিত। নিজের সময় এবং সুযোগের পুরোটাই নিজের জন্য ব্যয় করাটা সঠিক সিদ্ধান্ত।



১. যা মন চায় তাই করার স্বাধীনতা
তিরিশ কেনো যেকোনো বয়েস পর্যন্ত একাকী থাকার মজাটি হলো, মনের ইচ্ছেমতো জীবট কাটাতে পারবেন। একাকী থাকলে বাস্তবিক অর্থেই আপনি যখন খুশি বাইরে বেরুতে পারবেন, আড্ডা দিতে পারবেন। মোটকথা মন খুলে কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে প্রেম-ভালোবাসার জীবনটাকে ইচ্ছেমতো উপভোগ করতে পারবেন এবং জীবনসঙ্গীকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সময় দিতে পারবেন।

২. নিজের ছাড়া আর কারো বিষয়ে দায়িত্বশীলতা নেই
এই পয়েন্টি অবশ্য স্বার্থপরদের সঙ্গে দারুণ যাবে।

এ ছাড়াও যারা অন্যের ভেজাল দায়িত্ব কাঁধে নিতে চান না, তারাও কিন্তু একাকী থাকার মজাটা নিতে পারেন। তবে পুরোপুরি দায়িত্বহীন থাকাটা সম্ভব নয়। কারণ কোনো মানুষ তার বাবা-মায়ের দায়িত্ব থেকে সরে আসতে পারে না। আবার এই দায়িত্ব এমন নয় যে তা আপনাকে বন্দিদশা দেবে।

৩. ব্যক্তিগত সময়
একাকী নারী নিজের জন্য অফুরন্ত সময় পান।

ঘুম থেকে যখন ইচ্ছে উঠে একটু রোদ উপভোগ করলেন। অলস পায়ে হেঁটে গিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে খেলেন। নিশ্চিন্তে এসব কাজের মজাই আলাদা। এর পর ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় কাজে মন ঢেলে দিতে পারবেন। কাপড়গুলো গুছিয়ে নেওয়া, পাকের ঘরটি গোছানো, বেড রুমটা সাজানো ইত্যাদি কাজ কেবলমাত্র একাকী থাকলেই আরাম-আয়েশ নিয়ে করা সম্ভব।



৪. মনের শান্তি
গতানুগতিক সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে ইচ্ছে করলেই মুক্ত থাকতে পারবেন। ভালো বা খারাপ যেকোনো সম্পর্কের ভিতরে প্রবেশ করে তার ঝামেলা কাঁধে নেওয়ার জন্য আপনি বাধ্য নন। এসবই মনের শান্তি এনে দিবে। আপনি যদি পারিবারিক মূল্যবোধ, উন্নত জীবন কাটানো বা অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একাকী থাকলে মনের শান্তিমতো সবকিছু মানিয়ে চলতে পারা যায়।

৫. ক্যারিয়ার ও লক্ষ্যে মনোনিবেশ করা যায়
ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে উপভোগ্য হয় একাকী নারীর পক্ষে।

আপনার কাজ, পেশাদার জীবন, ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার সবকিছুই ভালো গতিবেগে নিজের মতো করে এগিয়ে নিতে পারবেন। পুরো ধ্যান-জ্ঞান এবং সময় নিজের ভবিষ্যতের জন্য ব্যয় করতে পারবেন।

৬. নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক দৃঢ় করুন
তিরিশ পর্যন্ত একা থাকার ফলে আপনি নিজেকে আরো বেশি পরিষ্কারভাবে চিনতে পারবেন। নিজের ভেতর বাহিরকে উল্টে-পাল্টে দেখে নিতে পারবেন। পাশাপাশি এ সময়ের ভিতরে আপনি কী চান বা কেমন সম্পর্কে জড়াতে চান তা নিয়ে কোনো দোটনা কাজ করবে না।

আপনি স্থির মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে পারবেন।

৭. অনুশোচনা এবং পরিচয়ের সঙ্কটকাল নেই
মুরুব্বিরা উপদেশ দিয়ে থাকেন মেয়েদের দ্রুত বিয়ে করে সন্তান নিয়ে নিতে। এতে করে নারীরা তাদের স্বামী-সন্তানসহ একটি সার্বিক পরিচয় লাভ করে। আসলে এর প্রয়োজন থাকলেও তার বাধ্যবাধকতা নেই। কারণ এমনটি বলা হয় নারীদের মধ্য বয়স বা বৃদ্ধ বয়সের কথা চিন্তা করে।

কিন্তু অন্তত তিরিশ পর্যন্ত স্বাধীন এবং সার্বভৌম এক নারী আপনি, এর চেয়ে বড় পরিচয় আর কী হতে পারে। তা ছাড়া এ সময় পর্যন্ত জীবনটাকে উপভোগ করার মধ্যে আরো বেশি কিছুর প্রাপ্তি রয়েছে। -

সূত্র: এইখানে টিপ দিলেই পাবেন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।