চিন্তাশীল আলোচনা করতে চাই। সবার সহযোগীতা একান্ত কাম্য। অ্যাজাইরা পেচালের টাইম নাই। আমাদের অনেক অনেক অনেক আনন্দ-ফুর্তি করার দরকার এবং এটা আমাদের অধিকার।
কিন্তু আনন্দ-ফুর্তি ও অপরাধ এই দুটা বিষয়ে প্রত্যকের সঠিক ধারনা থাকা দরকার।
জীবনে সবাই ই আনন্দ-ফুর্তি করতে চায়। যার জীবনের আনন্দ-ফুর্তি বেশী সে তত সুখী। কেউ কেউ বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে যে দিয়ে যে আনন্দ-ফুর্তি পান সে একটা ভালো সিনেমা বা খেলা দেখে তা পান না। আবার কারো ক্ষেত্রে এর বিপরীত ও হয়। অনেকে কস্টকর মনে হলেও সৃজনশীল কাজ করে আনন্দ পান, অনেকে কস্টকর দেখালেও ধর্ম কর্ম করে করে আনন্দ পান।
এভাবে মানুষের আনন্দ-ফুর্তির উৎসের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে।
আনন্দ ফুর্তির কোন নিদৃস্ট সংঙা নাই কারন সেটা খুবই আপেক্ষিক। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ব এর মতো আনন্দ ফুর্তির একটা নিদৃস্ট তত্ব বের করার চেস্টা করা উচিৎ। আনন্দ-ফুর্তি ও অপরাধ এই দুটা বিষয়ে প্রত্যকের সঠিক ধারনা থাকা দরকার। অনেকে আনন্দ-ফুর্তির নামে অপরাধ করে অপার্থিব আনন্দ পেয়ে থাকেন।
নিচে তার কিছু সত্যিকারের উদাহরন দিই।
* গত 2011 সালের ইংরেজী বর্ষ বরন অনুস্ঠানে টিএসসি তে রাত সাড়ে বারোটায় নিজের গাড়ীতে করে আনন্দ-ফুর্তির জন্য এসেছিলেন আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন মডেল ও অভিনেত্রী(তার নাম উল্লেখ করবো না)। আনন্দ-ফুর্তি এর নামে তাকে স্বাগতম জানানোর উসিলায় তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে বেশ কয়েক জন যুবক। তারা তার গায়ে হাত দেয়া শুরু করে। পড়ে কাঁদতে কাঁদতে কোন মতে সে গাড়ীতে করে পালিয়ে যায়।
* বেশ কয়েক বছর আগে ইংরেজী বর্ষ বরন অনুস্ঠানে আনন্দ-ফুর্তির জন্য বাধন নামের একটা মেয়ে লান্চিত হয়।
* আমার পরিচিত এক 17 বছর বয়সী ছেলে ইংরেজী বর্ষ বরন অনুস্ঠানে আনন্দ-ফুর্তির জন্য তার 15 বছরের কাজিনকে প্রেগন্যান্ট করে ফেলে। পরে এটা নিয়ে শুরু হয় প্রচন্ড পারিবারিক ঝগড়া
* আমার এক বন্ধু ইংরেজী বর্ষ বরন অনুস্ঠানে আনন্দ-ফুর্তির জন্য মদ খেয়ে মাতাল হয়ে গাড়ী ড্রাইভ করার ফলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে তার বাবার কেনা নতুন গাড়ী রাস্তার পাশে সংঘর্ষ করে গাড়ীটাকে প্রায় বাদ করে দেয়।
* ইংরেজী বর্ষ বরন অনুস্ঠানে আনন্দ-ফুর্তির জন্য মদ ও নেশা জাতিয় মাদকদ্রব্য ব্যবহৃত হয় যার মুল্যমান কোটি কোটি টাকা যার প্রধান ক্রেতা অল্প বয়সী যুবক। ঐ অল্প বয়সী যুবকরা আয় করেনা তাই টাকা যোগার করে অবৈধ পথে।
* ইংরেজী বর্ষ বরন অনুস্ঠানে আনন্দ-ফুর্তির জন্য তশবাজীতে 1 ঘন্টায় পোড়ানো হয় কোটি কোটি টাকা। যারা আনন্দ-ফুর্তির জন্য এইকাজ করে তাদের কেই পরবর্তীতে দেখা যায় দেশের ও নিজেদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দুঃদশায় চিন্তা যুক্ত অবস্থায়।
এই রকম বা তার চাইতে অনেক করুন ও ভয়াবহ হাজার হাজার ঘটনা আছে অনেকের সংগ্রহে।
যারা আনন্দ-ফুর্তির জন্য যে কোন কাজই করে তারা আনন্দ-ফুর্তির ও অপরাধের সংঙা জানে না। যারা আনন্দ-ফুর্তির ও অপরাধের সংঙা জানে না তাদের আনন্দ-ফুর্তি করতে দেওয়া বন্ধ করা উচিৎ।
তারা ভয়ঙ্কর। তাদের দ্বারা খারাপ সব কিছুই সম্ভব।
ইংরেজী বর্ষ বরন অনুস্ঠানের নামের এই লাগামহীন আনন্দ-ফুর্তির অনুস্ঠানে এমন অপকর্ম ই স্বাভাবিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।