আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভোটার ও প্রার্থীরা

চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে অধিকাংশ ভোটারের মধ্যে কোনো আগ্রহ ও উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। প্রার্থীদের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকেরাও ভোট চাইতে গিয়ে তেমন সাড়া পাচ্ছেন না।
২৩ মার্চ জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, পোলিং কর্মকর্তাদের মারধর এবং কেন্দ্রে বোমা হামলার ঘটনা ঘটায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি প্রার্থীরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩১ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। সদর উপজেলায় ৮৫টি কেন্দ্রে দুই লাখ ১০ হাজার ৯১৯ জন ও আলমডাঙ্গা উপজেলার ১০৩টি কেন্দ্রে দুই লাখ ৪০ হাজার ২৬৩ জন ভোটার ভোট দেবেন।


জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আসাদুল হক বিশ্বাস (আনারস), বিএনপি-সমর্থিত মজিবুল হক ওরফে মালিক (চিংড়ি), বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ আবুবকর সিদ্দিক ওরফে বকুল (মোটরসাইকেল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ ওরফে আঙ্গুর (ঘোড়া) এবং আলমডাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত হেলাল উদ্দিন (আনারস), বিএনপি-সমর্থিত শহীদুল কাওনাইন ওরফে টিলু (দোয়াত-কলম), ‘বিদ্রোহী’ সানোয়ার হোসেন (মোটরসাইকেল) এবং জামায়াত-সমর্থিত নুর মোহাম্মদ (কাপ-পিরিচ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের সদর হাসপাতাল এলাকায় কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভোট দেওয়ার আগেই যদি ফলাফল নিশ্চিত হয়ে যায়, তাহলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেন কেন্দ্রে যাব?’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলমডাঙ্গার সাবেক এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘আমি কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই আমার ভোটটা দেওয়া হয়ে যাবে। তাই এই নির্বাচন নিয়ে আমি ও আমার পরিবারই শুধু নয়, আশপাশের কারোর মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখছি না। ’
সদর উপজেলার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ জানান, ২১ মার্চ থেকে উপজেলাজুড়ে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।

ভোটারদেরও সাড়া মেলে বেশ। কিন্তু ২৩ মার্চ জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটায় ২৪ মার্চ থেকে সবার মুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ভোটারদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
আলমডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী শহীদুল কাওনাইন অভিযোগ করেন, ৩১ মার্চের নির্বাচন সামনে রেখে আলমডাঙ্গায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। এতে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের উৎসাহে ভাটা পড়েছে।

এই বিষয়ে কেউ মুখ খুলছে না।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান দাবি করেন, চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট হবে শান্তিপূর্ণ। কোনো কেন্দ্রে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সে জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোট নেওয়ার জন্য প্রশাসনিকভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি থেকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে প্রশাসন।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।