আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১২ হাত কাপড়ে শিল্পের ছোঁয়া

‘শাড়ি- দ্য আর্ট অফ ড্রেইপিং’ নামের এই প্রদর্শনী ২৮ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। উত্তরার পাশাপাশি গুলশান শাখাতেও চলছে এই আয়োজন।
বাঙালি নারীর চিরন্তন ভালোবাসার পরিধানের পোশাক নিয়ে এই আয়োজনের শুরু দুই বছর আগে। নতুন শাড়ির সুবাসে মন আনচান করা পরিবেশে তাই প্রশ্ন জাগে এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য কী?

ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম


ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
আড়ংয়ের প্রাক্তন শীর্ষ নকশাকার চন্দ্র শেখর সাহার উত্তর, “এটা আমাদের ঐতিহ্য ও তার গৌরবের সঙ্গে থাকার একটা চেষ্টা। ”
চন্দ্র শেখর সাহা এই উদ্যোগের সমন্বয়কারী।


তিনি স্মিত হেসে আরও বলেন, “এই অঞ্চলের শতশত বছরের কৃষ্টি অকারণেই পাশ্চাত্য ধারার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। যেটার কোনো দরকার নেই। তাই অনেকটা নিজেদের সচেতন করার তাগিদেই এই প্রদর্শনী। ”
৫ ডিজাইনারের সঙ্গে প্রায় ৩শ’ কারুশিল্পী মিলে দুই বছর ধরে তৈরি করা হয়েছে ১৪শ’ শাড়ির এক অনবদ্য সংগ্রহ।
সিল্ক, মসলিন, তাঁত, কাতান আর জামদানির এই অপূর্ব সম্ভার চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য।


সাদা তুলা ও কাপড় তৈরির কাচামাল দিয়ে প্রদর্শনীর জায়গাটি সাজানো হয়েছে, যেটার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাহা বলেন, “এটা বিশুদ্ধতার প্রতীক। ”

ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম


ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
নতুন ধ্যান-ধারণার প্রয়োগের সঙ্গে প্রদর্শনীর অলঙ্করণের জন্য ব্যবহার করা পুরনো দিনের শাড়িপরা নারীদের সাদা-কালো ছবি যেন দিয়েছে ভিন্ন আঙ্গিক।
সাহা একটি শাড়ির আঁচল ধরে দেখালেন। মুক্তার মতো সাদা শাড়ির আঁচলে হাতে কাজ করা নকশার উপর স্পর্শ করতে করতে সাহা বলেন, “সমকালীন ধারার সঙ্গে প্রাচীন ঐতিহ্য হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাবে, এটাই আমাদের বিশ্বাস। ”
টাই-ডাইয়ের একটি শাড়িতে সাদা, কালো, কালচে নীল ও সুক্ষ্ম লালের নকশা দেখে যে কেউ একে শিল্পকর্ম মনে করতে পারেন।


“আড়ং প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২ লাখ শাড়ি বিক্রি করে থাকে। যে শাড়িগুলোতে থাকে প্রযুক্তি, থিম আর কাপড় বুননের নতুনত্ব। আর এসব একসঙ্গে এই প্রদর্শনীতে নিয়ে আসা হয়েছে। ” বললেন আড়ংয়ের আরেক ডিজাইনার হাসিনা ইয়াসমিন।

ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম


ছবি: আসাদুজ্জামান প্রামানিক/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
তিনি আরও বলেন, “আমাদের নকশায় ভাঙা কাচের ব্যবহার যেমন আছে তেমনি নেগেটিভ প্রিন্ট অথবা মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ ছাড়াও আছে নানান মাধ্যমের ব্যবহার।

কাতান শাড়িগুলো শতবর্ষের পুরনো নকশা মাথায় রেখে আমরা তৈরি করেছি। ”
কম নকশাই পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। খুব বেশি হলে একই ডিজাইনের ৪টির বেশি শাড়ি পাওয়া যাবে না।
আরেক নকশাকার সাহিদা আক্তার বলেন, “আমাদের ক্রেতা যেন একটি মূল্যবান মাস্টারপিস সংগ্রহে রাখতে পারেন, সে রকম করেই শাড়িগুলো তৈরি করেছি। ”
তিনি আরও বলেন, “শাড়িগুলো যেন শুধু পুতুলের গায়েই প্রদর্শিত না হয়, আমরা চাই ক্রেতারা এগুলো বাড়ি নিয়ে যাক।

তারা ব্যবহার করুক। এ কারণে শাড়ির দামও কিন্তু বেশি রাখা হয়নি। ”
আড়ংয়ের শাড়ির এই প্রদর্শনী চলবে এপ্রিলের ৭ তারিখ পর্যন্ত।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।