আজ ঘোঘিত হল ইএটিএল-প্রথম আলো অ্যাপস প্রতিযোগিতার ফল। ‘সিক্রেট ট্রেজার’ নামের সাধারণ জ্ঞানের গেম জিতেছে গ্রান্ড ফিনালের প্রথম পুরস্কার। এই অ্যাপ্লিকেশনটির নির্মাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীর চার শিক্ষার্থী। এই দলটির নাম ‘ওমলেট’। বিজয়ী হিসেবে ওমলেট দলটি পেয়েছে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার।
গেম নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিক্রেট ট্রেজার গেমস বিভাগের একটি অ্যাপ। চারটি লেভেলের মাধ্যমে গেমটি পাজল, সমস্যা, সাধারণ গণিত, সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক প্রশ্নের সমন্বয়ে তৈরি। ব্যবহারকারীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে স্কোর করতে পারবেন এবং তার মাধ্যমে অর্থ আয় করার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সেরা অ্যাপ নির্বাচিত হয়েছে লুডু। এটি নির্মাণ করেছে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দল লেজি কোডার্স।
তারা পেয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। ইংরেজি শেখার অ্যাপ্লিকেশন ‘ড্রাগ অ্যান্ড ড্রপ’ তৈরি করে তৃতীয় হয়েছে বুয়েটের ল্যাটিম এক্স দলটি। তাঁরা পেয়েছে দুই লাখ টাকা। এ ছাড়াও হজ উইজার্ড চতুর্থ, কৃষি বিষয়ক অ্যাপ্লিকেশন স্মার্ট এলসিসি পঞ্চম, ফায়ার ফাইটার ষষ্ঠ, পিঠা-পুলি সপ্তম, সহজ সঞ্চয় অষ্টম, খেলতে খেলতে শেখা নবম এবং মা ও শিশু দশম হয়েছে। বিজয়ী দলের সদস্যারা প্রত্যেকে একটি করে স্মার্টফোন পেয়েছেন।
আর ফেসবুক গেম বিভাগে বিশেষ পুরস্কার জিতেছে ফিল কার্ট।
‘নতুন সৃষ্টির সন্ধানে’ স্লোগানে ২০১৩ সালের ২৯ জুন থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। টানা নয় মাস ধরে প্রতিযোগিতা চলার পর আজ শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক উপাচার্য ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ কায়কোবাদ।
আয়োজকেরা জানান, প্রতিযোগিতায় মোট ৮০৫টি ধারণাপত্র জমা পড়ে। পর্যায়ক্রমে নানা ধাপে ১০ টি প্রকল্প বাছাই করেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান জানান, তরুণরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যত এবং তরুণদের হাতেই নিরাপদ থাকবে দেশ। বাংলাদেশের তরুণরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, দেশকে ডিজিটাল ভাগ হতে দেব না।
আমাদের দেশে প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে আর তা থেকে আমাদের সুযোগ নেওয়া প্রয়োজন। যাঁরা এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে তাঁদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। উন্নয়নের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অ্যাপ স্টোরের মত বিষয়গুলো সবার কাছে পৌঁছাতে হবে।
ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান বলেন, যখন দেখলাম দশ কোটি মানুষের হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে গেছে তখন মোবাইল বিপ্লব সম্ভব। আর এই ক্ষেত্রটিতে তরুণদের দক্ষতা বাড়ালে তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পথ হারাবে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তরুণরা একদিন অ্যাপস তৈরি করে বিশ্বে আলোড়ন তুলতে পারলেই এই উদ্যোগ সফল হবে বলেও মন্তব্য করেন ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
অনুষ্ঠানে ইএটিএল-প্রথম আলো অ্যাপস প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, তথ্য প্রযুক্তি সচিব নজরুল ইসলাম খান, রুপালী ব্যাংক চেয়ারম্যান আহমেদ আল কবির এবং ইএটিএল চেয়ারম্যান এম এ মুবিন খান ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।