রূপগঞ্জের ওসি আমিন ওসি নন তবে সবাই তাকে এক নামে ওসি আমিন হিসেবেই চেনেন। মেয়ের সঙ্গে প্রেম করার জেরে পিতা আমিনউদ্দিন ওরফে ওসি আমিনের নির্দেশে তার পালিত সন্ত্রাসীরা স্কুল শিক্ষার্থীর চোখ উৎপাটনের পর তাকে জবাই করে খুন করেছে বলে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে। সে রূপসী নিউ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
গতকাল রাতে স্কুল শিক্ষার্থীর প্রেমিকা তাকে ফোন করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ থাকে।
আজ দুপুর একটায় পুলিশ গন্ধবপুর স্যুইসগেট এলাকার চরপাড়া থেকে শিক্ষার্থীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর উত্তেজিত জনতা আমিনউদ্দিনের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ মেয়ের মা ও চাচাকে আটক করেছে।
নিহত স্কুল শিক্ষার্থীর বড় ভাই জজ মিয়া জানান, তার ভাই আল আমিন মিয়া রূপসী নিউমডেল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে এক ক্লাসে লেখাপড়া করতো আমিনউদ্দিন ওরফে ওসি আমিনের মেয়ে আতিকা আক্তার।
একই ক্লাসে পড়ার সুবাধে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের খবর জানার পর থেকেই ওসি আমিন তার ভাইকে শোধরানোর জন্য তাকে চাপ দেয়। এতেও কাজ না হওয়ায় ওসি আমিনের ছোট ভাই ও ক্যাডার মনির হোসেন ঘটনার চারদিন আগে বাড়িতে গিয়ে শাসিয়ে আসে।
গতকাল রাত ১০টার দিকে আল-আমিনকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায় আতিকা। এরপর থেকে সে নিখোঁজ থাকে।
আজ দুপুর একটার দিকে স্থানীয়রা স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে আল আমিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ওসি আমিনের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে ওসি আমিনসহ তার পরিবার পলাতক ছিল।
গোপন সংবাদের ভিক্তিতে পুলিশ গন্ধবপুর এলাকা থেকে মেয়ের মা শিরিন আক্তার ও চাচা মনির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। মনিরের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ঘটনার দু'দিন আগে ওসি আমিন তার ভাই মনির হোসনকে নির্দেশ দিয়েছিল আল আমিনকে মেরে ফেলার জন্য।
স্থানীয়রা জানান, আল আমিন মিয়ার পিতা কাঞ্চন মিয়া তার পরিবারসহ রূপসী নবু প্রধান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। তার বাড়ী শরিয়তপুরের ঘোষাইঘাট এলাকায়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়ের মা ও চাচাকে আটক করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেম করার অপরাধেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।