মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতে টুর্নামেন্টটা ‘স্মরণীয়’ করে রাখতে চান মুশফিক।
রোববার পাকিস্তানের কাছে ৫০ রানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, “খুবই হতাশাজনক টুর্নামেন্ট এখন পর্যন্ত। তবে আরেকটি ম্যাচ আছে, আমরা সেই ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে আছি। শেষটা ভালো করতে চাই। ”
পাকিস্তানকে ১৬০ রানের ভেতর রাখতে পারলে খেলার চিত্রটা ভিন্ন হতো বলে মনে করেন মুশফিক।
“আমার মনে হয় জিয়া ও মাশরাফির দুটি ওভারে আমরা ম্যাচ থেকে পিছিয়ে পড়েছি। সেই দুই ওভারে ওরা অনেক রান নিয়েছিল। দুই ওভারে ৫০ রান হয়ে গেলে ফেরা খুব কঠিন হয়ে যায়। ”
পাওয়ার প্লের ব্যাটিং নিয়ে দুর্ভাবনা কাটছে না মুশফিকের।
“পাওয়ার প্লেতে আমরা ভালো ব্যাট করছি না।
আর লড়াই করতে হলে প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কারোর শেষ অবদি থাকা জরুরি। যেটা আমরা পারছি না; কিন্তু প্রতিপক্ষের কেউ না কেউ প্রতি ম্যাচেই করছে। ”
বিশ্বকাপে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা ফুটে উঠলো মুশফিকের কথায়।
“সুপার টেনে আমরা ভালো করতে পারিনি। হারের ব্যবধান চোখে লাগার মতো।
এতোটা খারাপ হবে কখনো ভাবিনি। গত দুই মাসে শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম ওয়ানডে, এশিয়া কাপে আফগানিস্তান আর প্রথম রাউন্ডে হংকংয়ের কাছে হার ছিল আমাদের জন্য বিশাল ধাক্কা। ”
এশিয়া কাপের পর আবার আহমেদ শেহজাদের শতকে পাকিস্তানের কাছে হারল বাংলাদেশ। অতিথি দলের এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের প্রশংসা করেছেন মুশফিক। দেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম শতক পেয়ে শেহজাদ জানালেন, তিনি গর্বিত।
ব্যাটিং পরিকল্পনা সম্পর্কে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, “দিনের প্রথম খেলা বলে জানতাম স্পিনারদের বল গ্রিপ করতে কোনো সমস্যা না হবে না। তাই তাদের বিপক্ষে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই নি। পেসারদের বলে যত বেশি সম্ভব রান নেয়ার পরিকল্পনা ছিল। ”
“বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাট করার চেষ্টা করেছি।
অধিনায়ক বলে পাঠিয়েছিলেন, আমাদের শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। অন্যরা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করবে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই হয়, একজন বা দুজন পারফরম করে,” যোগ করেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।