আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘কবে শুনব, জিয়া প্রথম নোবেলজয়ী’

শুক্রবার নিউ ইয়র্কে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের এক সমাবেশ থেকে তারেকের বিরুদ্ধে সংবিধান অবমাননার জন্য পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি দাবিও জানানো হয়।
গত সপ্তাহে লন্ডনে বিএনপির এক সভায় বক্তব্যে জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দাবি করেন তারেক। এরপর তার মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও একই দাবি করেন।
তাদের এই দাবির সমালোচনা করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তার ধারাবাহিকতায় নিউ ইয়র্কে এই সমাবেশ হয়, যাতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতি সংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন।


সভার বিশেষ অতিথি যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ডের সভাপতি ও নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, “শিগগিরই হয়ত জাতিকে শুনতে হবে যে জিয়াউর রহমান ছিলেন প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। ”
তারেক যুক্তরাজ্যে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশের সভাপতি নূরন্নবী বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোটের এজেন্ডা হচ্ছে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়ে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা। ”
যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান নূরনবী কমান্ডার বলেন, “নানা অজুহাত দেখিয়ে তারেককে লন্ডন থেকে গ্রেপ্তার  করে বাংলাদেশের আদালতে সোপর্দ করতে গড়িমসির পরিণতি এটি। ”
এ কে এ মোমেন বলেন,“স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এটি জিয়া তনয়ের আবিষ্কারই বটে।

জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন সাড়ে ৫ বছর, খালেদা জিয়াও ছিলেন ১০ বছরের বেশি।
“সে সময়ে বিএনপির নেতা দূরের কথা তাদের অনুগত বুদ্ধিজীবীরাও দাবি করেননি যে, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ”
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভানেত্রী মুর্শেদা জামানের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মামুন, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব আব্দুল বাতেন, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের নেতা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, কাজী কয়েস, রেজাউল করিম চৌধুরী, জসীমউদ্দিন খান মিঠু, হাজী নিজাম, আব্দুল জলিল প্রমুখ।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।