আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জোর-জবরদস্তির ভোট ছাগলনাইয়ায়

নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলেন না ছাগলনাইয়ার বেশির ভাগ ভোটার। ভোট নেওয়া শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে ৪৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩০টির বেশি কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেছে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন।

ছাগলনাইয়ায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মেজবাউল হায়দার চৌধুরী, ও বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী নূর আহমদ মজুমদার।

ছাগলনাইয়ায় আজ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, এলাকায় কেন্দ্র দখল করতে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বদলে অন্যান্য উপজেলা থেকে দলীয় কর্মীরা আসছেন।   

উপজেলার ৩০টির বেশি ভোটকেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে নয়টার মধ্যে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় যুবলীগ-ছত্রলীগ নেতা-কর্মীরা কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

কেন্দ্রগুলো ছিল একরকম ভোটার শূন্য। প্রতিপক্ষের এজেন্টদের বের করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ বল্লভপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সামনে সিলমারা অবস্থায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সাংবাদিকেরা হাজির হওয়ায় এগুলো আর বাক্সে ফেলা হয়নি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্ণা সরকার সেখানে গিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল জলিল ভূঁইয়াকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা একপর্যায়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এগুলো বাতিল করে এখান থেকে আমার যাওয়া কষ্ট হবে। ’

পাঠাননগর সালমা নজিব উচ্চবিদ্যালয়ে বয়স্ক একজন ভোটার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ভোট দিতে আসেন। ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। তিন-চারজনকে ধরে পিটুনি দেয় সেনাবাহিনী।

সাড়ে ১০টার দিকে রাধানগর ইউনিয়নের আনোয়ারা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সেখান কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক রাশেদ খান চৌধুরী।

পাঠাননগর প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে রাত সাড়ে তিনটায় বোমা ফাটিয়ে সরকার-সমর্থকেরা কয়েক শ ব্যালট পেপারে সিল মারে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আহমদউল্লাহ সেগুলো বাতিল করেন।

এ ছাড়া ছাগলনাইয়া শামসুল করিম কলেজ কেন্দ্রে আজাদ নামে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

ভুয়া ভোট দেওয়ার চেষ্টা জামায়াতের নেতা-কর্মীদের পাঠাননগর কন্ট্রাকটর মসজিদ আশরাফিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমানের পক্ষে নিয়োজিত এজেন্ট স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হাইয়ের কাছে ভুয়া সিল ও স্ট্যাম্প-প্যাড পাওয়া গেছে।

তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল করিম আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।