এর মধ্য দিয়ে ৪৮৭ উপজেলার মধ্যে সাড়ে চারশ’ উপজেলায় ভোট শেষ হল। এক মাস বিরতি দিয়ে বাকিগুলোতে আগামী মে মাসে ভোট হবে।
সোমবার ৭৩ উপজেলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ১৪টি উপজেলায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা, যাদের মধ্যে ১৩ জন বিএনপিসমর্থিত প্রার্থী।
চতুর্থ ধাপ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে সহিংসতা বাড়ার প্রেক্ষাপটে একই ধরনের শঙ্কা নিয়ে সকাল ৮ থেকে পঞ্চম ধাপের ভোট শুরু হলেও বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক ভোটকেন্দ্রে ছোটখাট সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া ভোটের আগে গভীর রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা খুন হয়েছেন।
পঞ্চম ধাপে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সভর্তির মহাযজ্ঞ শুরু করেছে নির্বাচন চলাকালে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার সদর ও আলমডাঙ্গা এবং সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উপজেলায় মঙ্গলবার আধাবেলা হরতাল ডেকেছে দলটি।
এই ধাপে ৩৫ জেলার ৭৪ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও আদালতের আদেশে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভোট স্থগিত হওয়ায় সোমবার ভোট হয় ৩৪ জেলার ৭৩ উপজেলায়।
এসব উপজেলার ১ কোটি ৩৮ লাখ ৯১ হাজার ৭৫১ ভোটারের জন্য রয়েছে ৫ হাজার ৫৩৪টি ভোটকেন্দ্র।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে লক্ষ্মীপুরের সদর ও রামগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গার সদর ও আলমডাঙ্গা, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, সাতক্ষীরার কলারোয়া, দেবহাটা ও তালা, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং, জামালপুরের মাদারগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বিএনপিসমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন বলে জানা গেছে।
ভোট বর্জনকারী প্রার্থীদের মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর ও কলাপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরাও রয়েছেন।
উপজেলাগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে টাঙ্গালের ঘাটাইল উপজেলায়, যেখানে বিএনপি ছাড়াও জামায়াত ও জেপিসমর্থিত প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।
সকালে ভোট শুরুর দু’ঘণ্টার মাথায় লক্ষ্মীপুর সদরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী একেএম সালাউদ্দিন টিপুর সমর্থকদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দীন বকুল।
এর আধঘণ্টা পর রামগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ ক ম রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ভিপি আবদুর রহিম।
সকাল ১১টা থেকে সোয়া ১১টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি সমর্থিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী।
সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুল হক মালিক মজু সকাল ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
আর সোয়া ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলায় নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল কাওনাইন টিলু।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
বর্জনকারীরা হলেন- বিএনপি সমর্থিত মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আক্তারুজ্জামান কোক্কা ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন সমর্থিত হাবিবুর রহমান।
এছাড়া চার বিএনপি ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীও ভোট বর্জন করেছেন।
নিয়ম গোপনে ভোট দেয়ার হলেও এখানে এক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ভোটারকে দেখিয়ে দিচ্ছেন, কোথায় ভোট দিতে হবে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার উত্তর ফুরশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের চিত্র। ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।