আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হবু বাবা-মায়ের কাছে চিঠি।

(আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দুই বন্ধু বাবু আশা করছে আর দুই তিন মাসের মধ্যে। তাদের জন্য লেখাটা সহব্লগারদের কাজে লাগতে পারে ভেবে...)

দোস্ত, আমি মিনিমাম লিঙ্ক দিলাম।
দুইজনেই এই মেইলটা পড়িস।

এখন প্রতিদিন তিনবার মেডিটেশন করলে খুবই উপকার। এই তিন মেডিটেশনের অন্তত দুইটাতে তুই সাথে থাকলে আরো বেশি উপকার।

এটা গাণিতিকভাবে বাড়ে।

বিশ্বাস কর, এখন তোরা দুইজন মেডিটেশন করবি না, বরং তিনজনের করা হবে।

এই দুইমাস মেডিটেশন করলে এবং মেডিটেশনের অন্যান্য অডিও শুনলে যে উপকারগুলো হবে-

বাবু আজীবন ধীর স্থির শান্ত চিন্তাশীল বিবেকবান মমতাময় এবং অধিকতর বুদ্ধিমান হবে। তার ব্রেন গঠন হচ্ছে মাত্র এক দুই মাস যাবত। আগামী দুই মাস তার ব্রেনের গঠন চলবে।

এই সময়টায় তার গঠনশীল ব্রেেনে যে সিগন্যাল যাবে, সেটাই হবে তার আজীবনের বেইসমেন্ট। বিষয়টা এমন, এই ভিত্তিভূমি বাবা-মা চাইলে পাথর করতে পারে, উর্বর পলিমাটি করতে পারে এবং চাইলে লবণাক্ত করতে পারে।

ভবিষ্যতে এই বাবুটা পৃথিবীতে কী করবে তা কিন্তু বাবা মা ঠিক করে দিতে পারবে না। তা ঠিক করবে এই বাবু। কিন্তু বাবা-মা যদি এখন তার ভিত্তিভূমিকে পলিমাটি করে দেয়, তাহলে তার ভিতরে সবই জন্মাবে এবং তরতর করে বাড়বে।

সে যা করবে, তাতেই সফল হবে।

আবার বাবামা যদি লবণাক্ত করে দেয়, তাহলে যে কোন ফসল কঠিন হবে।

আর বাবা মা যদি এখন পাথর করে দেয়, তাহলে বাবু বহু চেষ্টা করলেও খেজুর গাছের চেয়ে বেশি কিছু উৎপাদন করতে পারবে না।

অর্থাৎ, নিজের ভবিষ্যত সে নিজে গড়বে, কিন্তু সেই ভবিষ্যতটা কীভাবে কোন পথে গড়বে তার অনেকটাই নির্ভর করে এখন বাবা-মায়ের অ্যাক্টিভিটির উপর।

এই 'অনেকটা' যে কতখানি 'অনেকটা', সেটা স্পষ্ট করি-

এক জার্মান বাবা-মায়ের সন্তান জন্মানোর পরই বাবা-মা থেকে সন্তান বিচ্ছিন্ন হয় এবং পরে সে রাশিয়ায় বড় হয়।

উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত সে রাশিয়ান ছাড়া আর কোন ভাষাভাষী মানুষের সাথে মেশেনি। অথচ তার কন্ঠে স্পষ্ট জার্মান টান।

পরে গবেষকরা বিষয়টা আমলে নেয়। তারা প্রথমেই পরীক্ষা করে কন্ঠনালী। না।

আর সব মানুষের মতই। এর পিছনে জেনেটিক কোন পার্থক্য নেই। এরপর তারা প্রমাণ পায়, এই শিশু শুধু মায়ের গর্ভেই মায়ের কাছে ছিল এবং মায়ের গর্ভে থাকার সময়কালেই তার ব্রেনে যে শব্দ-উচ্চারণ-প্রক্রিয়া গেছিল, এই উনিশ বছরেও সেটাকে পরাজিত করে রাশিয়ান ভাষা বিজয়ী হতে পারেনি।

সন্তানের আসার শেষ ধাপে মায়ের সাথে তার যোগাযোগ বহুমাত্রিক।

বাইরের পৃথিবীকে সে চেনে শুধুমাত্র মায়ের সাথে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে।

বিষয়টা এরকম-

মা কারো সাথে কথা বলছে। মা মনে করছে এটা শুধুই কথা।

শিশুর কাছে বিষয়টা এরকম, মা কথা বলছে,

ক. ওই কথার উচ্চারণ পদ্ধতি সে গ্রহণ করছে
খ. কথার অর্থ সে গ্রহণ করছে এবং ভবিষ্যতে অর্থ জানার জন্য জমা করছে
গ. এই কথার সময় মায়ের মস্তিষ্কর নির্দেশে হরমোন গ্ল্যান্ড 'খুশির'/'আনন্দের'/উচ্ছ্বাসের/তৃপ্তির/প্রশান্ত ভাবের/ উত্তেজিত ভাবের/ ক্ষিপ্ত ভাবের/ কান্নার/ কষ্টের/ দুশ্চিন্তার নির্দেশক হরমোন পাঠাচ্ছে।
এই প্রতিটা হরমোন শিশু গ্রহণ করছে। প্রতিটা হরমোন মনে রাখছে।

এই হরমোনগুলোই সে সারা জীবন সবচে বেশি উৎপাদন করবে এবং ব্যবহার করবে। এবং এই কথার ক্ষেত্রে এই রিঅ্যাক্ট করবে।
ঘ. কথার সাথে সাথে মায়ের তাপমাত্রা, পেশীর সঞ্চালন, নড়াচড়ায় পরিবর্তন আসছে। এটা সে গ্রহণ করছে।
ঙ. মা যাকে পছন্দ করছে, যে জিনিস পছন্দ করছে, যে জাতিকে পছন্দ করছে, যে ভাষাকে পছন্দ করছে, যে ঘটনাকে এবং পরিস্থিতিকে পছন্দ করছে তার প্রতিটাই সে রেকর্ড করছে এবং ছড়াতে থাকা মস্তিষ্কে মাল্টিপ্লাই করছে।

অপছন্দও।
চ. এই সবকিছুর যোগফল আকারে মা যে অবস্থাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে সেই অবস্থা সে ধারণ করছে এবং সেই অবস্থার এক সমন্বিত রূপ আকারে ভবিষতে আবির্ভূত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

এবং এই গ্রহণ করা প্রতিটা বিষয় সে বর্ধনশীল মস্তিষ্কের নতুনভাবে গড়ে ওঠা অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

এখন, মেডিটেশন এবং মেডিটেশনের যে চেতনা, সেটা তো এক হাজার বছরের শিক্ষা নয়, দশ হাজারও নয়, স্বয়ং আদম আ. থেকেই মেডিটেশন চলে আসছে। আমাদের রাসূল দ. একাধারে এত বেশি সময় আর কিছুই করেননি।

তার সারা জীবনের নামাজ একত্র করলেও মেডিটেশনের অর্ধেক হবে না। তিনি একাধারে পনের বছর চার মাস মেডিটেশন করেছেন।

পৃথিবীর বুকে কোন বিজ্ঞান যদি সবচে বেশি পুরনো হয়, তবে তা হল, ১. ক্ষুধার বিজ্ঞান, ২. ধ্যানের বিজ্ঞান।

তাই লক্ষ বছরের ফসল মেডিটেশন যখন কোন সত্যিকার ধ্যান-শিক্ষকের হাত দিয়ে আসে, সেটার ফলাফল যে কোন বিজ্ঞানের চেয়ে সফল।

আমি যে মেডিটেশনটা তোদের দিচ্ছি, অনেক ভেবে চিন্তে দিচ্ছি।

আমি তোদের নিয়ে অনেক ভাবি। এবং সবচে সেরাটাই ভাবি, তোরা তা জানিস।

এখন বাচ্চা-মায়ের সাথে তোর মেডিটেশন করা জরুরি তিনটা কারণে।

১. শুধু আস্থা রাখ, তোর মুখ যত কথা বলতে পারে, মন বলে তারচে বেশি কথা। এ প্রমাণ দিয়ে বোঝানোর বিষয় না।

এটাও বোঝানো যায়, কিন্তু সময় নষ্ট। শুধু বিশ্বাস রাখ যে, মুখের কথা যেমন কান হয়ে মস্তিষ্কতে যায়, মনের কথা কান ছাড়াই মন হয়ে মস্তিষ্কে যায় এবং বেশি পরিমাণে যায়। তাই বেবির পাশে থেকে যদি তুই অন্তত দুইটা মেডিটেশন কাভার করিস, তোর সাথে বেবির বন্ধন হবে আরো উচ্চতর।

২. বাচ্চা-মা মেডিটেশন করল এবং তাদের ভিতরে সেই চেতনা এল, কিন্তু তোর এইসবের বালাই নেই দেখে তোর প্রতিবারের কাজকর্ম 'অপ্রাজ্ঞ' বা অধ্যানীসুুলভ হল, তাতে তোর মূল্যায়ন কমবে এবং তাদের মেডিটেশন করার সাফল্যও কমবে।

৩. তোর দৃষ্টিভঙ্গিও আমূল পরিবর্তন হবে যার ফলাফল তোরা তিনজনেই ভোগ করবি।



এখন, শুধু মেডিটেশন নয়।
আমি ছোট্ট ছোট্ট বইয়ের লিঙ্ক দিচ্ছি, সেগুলো নামিয়ে দুজনেই পড় (আসলে তিনজনে)। তাতে যে উপকারের জন্য মেডিটেশন করছিস, তা বহুগুণে বাড়বে।

এবং কিছু অডিও দিচ্ছি। অটোসাজেশন এবং কুরআনের।

এগুলো খুবই উপকারী। এগুলোর সাথে একাত্ম্য না হয়ে মেডিটেশন করা হল মরুভূমিতে সাতড়ানোর চেষ্টার জন্য মরীচিকাকে পানি মনে করে দৌড়ানোর মত।
অর্থাৎ, মূল বিষয় হল মেডি, কিন্তু মেডিটা পুরোপুরি কাজে লাগবে এবং বহুবহু গুণে কাজে লাগবে এই অটো সাজেশন এবং বইগুলো দিয়ে।

এরপররের টাতে আয়,
মা যেন নামাজ পড়ে। ওভাবে না, যেভাবে বাবুর কষ্ট হবে।

আল্লাহ কিন্তু শুয়ে নামাজও মেনে নেন। বাবু সময়ানুবর্তী, নিয়মানুবর্তী এবং ধার্মিক হবে।

অর্থ সহ যেন কুরআন শরীফ পড়ে। কুরআন শরীফের সঠিক বাংলা মাত্র একটা আছে, কানযুল ঈমান। তাও আবার অডিও নাই।

আমরা কুরআনের সঠিক অডিও বানাচ্ছি, আরো এক বছর লাগবে। যাই হোক, অন্যগুলো পড়লে ইমান চলে যাবে, সংক্ষেপে শুধু এ বিশ্বাস রাখ। সত্যি যাবে। কারণ কিছুই বুঝবে না কুরআনের। কানযুল ঈমান পেলে তো ভাল।

না পেলে কী আর করা, ড. তাহির উল ক্বাদরীর আল কুরআন অথবা ইরফান উল কুরআন অডিও এমপিথ্রি ডাউনলোড করে নে।

লিঙ্ক দিব।
উর্দু-হিন্দি তো আমরা সবাই বুঝি। ঠেলার কাজ চলে যাবে।

অর্থ সহ কুরআন শুনলে বা পড়লে মায়ের চেতনার সাথে সাথে বাবুর চেতনা শাণিত হবে।

মা অর্থ বুঝবে এবং সন্তানও সেই অর্থ ধারণ করবে। এবং অনেক অনেক এগিয়ে থাকবে ধর্মের পথে। গাউসে পাক রা. সম্পর্কে প্রচলিত কথা, মায়ের গর্ভেই আঠারো পারা কুরআন হিফজ করেছেন, একেবারে অমূলক নয়।

মিউজিক শুনলে স্থিরকারক মিউজিক শুনতে হবে, অস্থিরকারক নয়।
স্টেডিয়ামে ম্যাচ হচ্ছে টাইপের পরিস্থিতিতে টিভি দেখা যাবে না।

সাইলেন্ট করেও না। ভায়োলেন্ট মুভি/ক্লিপ দেখা যাবে না। অকারণে অস্থির করে, এমন মানুষকে কৌশলে আগামী দুই তিন মাস পুরোপুরি এড়াতে হবে।

কাজকর্ম, ঘুম, মুভ করা, খাওয়াদাওয়া- এইসবই ডক্টর যেভাবে বলে সেভাবে।

আর বিশ্বাস কর তোরা, কী যে সুন্দর বেবি আসছে, তোরা সিম্পলি কল্পনাও করতে পারছিস না।

বিশ্বাস রাখ।

ফিডব্যাক জানাস।
আল্লাহ হাফেজ।

অডিও/অটোসাজেশন-
হাজারো ৪-
Click This Link

হাজারো ৩-
Click This Link

হাজারো ২-
Click This Link

হাজারো ১-
Click This Link

আত্মজাগরণ-
Click This Link

জীবন কণিকা-
Click This Link

আসুন প্রার্থণা করি-
Click This Link

হে মানুষ, শোনো-
Click This Link

কুরআনের মর্মবাণী-
(এইটা সরল বিষয়, এটা শোনাতে পারিস)
Click This Link

কণিকা/অতি ক্ষুদ্র কার্ড-বই (বেছে কিছু দিচ্ছি)-
১. Click This Link ২. Click This Link ৩. Click This Link ৪. Click This Link ৫. Click This Link ৬. Click This Link ৭. Click This Link ৮. Click This Link ৯. Click This Link ১০. Click This Link ১১. Click This Link ১২. Click This Link

মেডিটেশন-
শিথিলায়ন লং টা পরপর চল্লিশ দিন করতে পারলে তারপর শর্টটা করার নিয়ম। এ মেডিটেশনটা প্রতিদিনই চলবে।

এটা সকল মেডিটেশনের মা। দেহমন শিথিল তো যুদ্ধ জয় হয়ে গেল।


Click This Link

এবার দ্বিতীয় লেভেলের মেডিগুলো। এগুলো নিজের ইচ্ছামত বাই টার্ন করিস তোরা। যেভাবে ভাল হয়।

কিন্তু একই দিনে একই মেডিটেশন দুবার নয়। এগুলোতেও লং এবং শর্ট আছে। চেষ্টা করবি লংটাই করতে। উভয়ের সময় কিন্তু একই, আধঘন্টা। শুধু লংটা হল নতুন মেডিওয়ালাদের জন্য।




সুখী জীবন
Click This Link


সুখী পরিবার
Click This Link

সুসম্পর্ক
Click This Link

আনন্দ
Click This Link

মনছবি
Click This Link

শত অটোসাজেশনের মেডিটেশন
Click This Link

ইরফান উল কুরআন-
(এই লিঙ্কে ইংরেজি হিন্দি উর্দু এমপিথ্রি এএমআর পিডিএফ এক্সেল সব ফর্মেটেই আছে)
Click This Link

এর মধ্যে যেটা যেভাবে ভাল লাগে করবি, কোনটা ভারি বোধ হলে ছেঁটে দিবি। আর মেডিটেশন একই সময়ে বসা ভাল। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে। ব্রেন-বডি-মাইন্ড সুপার কন্ডিশনিং হয় তাহলে। আর কন্ডিশনিং ই সব।



মেডিটেশনের উপযুক্ত সময় হল ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমানোর আগে। এম্নিতে দুটার বেশি মেডিটেশন করা লাগে না, কিন্তু এটা স্পেশাল অবস্থা, এখন তিনটা হলে আরো ভাল। স্পেশাল অবস্থা শেষে আবার দুটা করেই চলবে। মেডির সময় পোশাক ঢিলাঢালা এবং পরিস্থিতি শান্ত। খাবার আধঘন্টার মধ্যে নয় এবং কোন কাজ পেন্ডিং রেখে নয়।



জানাস। মেথডটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল, সুস্থ এবং সুষ্ঠু কোন মেডিটেশনের পদ্ধতি কিনা। লিংক কাজ না করলে কোয়ান্টামের সাইটে গিয়ে ডাউনলোড সেকশনেই খুব গোছানোভাবে পাবি। প্রতিটা লিঙ্কের উপরের নাম দেখে নামিয়ে নিস- quantummethod.org.bd ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।