চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ পর্বে অধিকাংশ উপজেলায় ভোটগ্রহণের পর মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের নির্দেশ মেনে কাজ করেননি।
উপজেলা নির্বাচনের পঞ্চম পর্বে সংঘাত না হলেও বিভিন্ন উপজেলায় কেন্দ্র দখল করে অবাধে ব্যালটে সিল মারার দৃশ্য দেখা যায়, বিএনপির ভাষায় যা ছিল কেন্দ্র দখলের ‘মহাযজ্ঞ’।
এর আগের পর্বের ভোটে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ইসির পক্ষ থেকে কড়া হঁশিয়ারি দেয়া হলেও সিইসির অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে তার কোনো প্রতিফলন ধরা পড়েনি।
সোমবার ভোটের পর এই নির্বাচন তদারকির দায়িত্বে থাকা কমিশনার আবদুল মোবারক সার্বিকভাবে ভালো ভোট হয়েছে দাবি করলেও তার সহকর্মী শাহনেওয়াজের কণ্ঠে ছিল অতৃপ্তির সুর।
তিনি তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “একথা বলতে দ্বিধা নেই যে, আমরা যাদের নিয়ে কাজ করিয়েছি তারা সঠিকভাবে কাজ করেনি।
যে জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের যে নির্বাচন হয়েছে, তা খুব সুষ্ঠু হয়েছে, তাতে আমরা সেটিসফাইড হয়েছি, এ কথা বলা যাবে না। ”
পাঁচ পর্বের এই ভোটে প্রতিটি ধাপে লক্ষাধিক করে লোকবল ভোটে নিয়োজিত ছিল। সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে আনসার পর্যন্ত সব বাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়।
তার মধ্যে প্রথম পর্ব অনেকটা শান্তিপূর্ণ হলেও পরবর্তীতে গোলযোগ, সহিংসতা ও অনিয়ম ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে।
নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভোটের সব প্রস্তুতি নিয়েছিল জানিয়ে শাহনেওয়াজ বলেন, “তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছিল, এটা অস্বীকার করার জো নেই।
“সশস্ত্র বাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল বিভাগকে নিয়োগ করা হয়েছে। এত কিছুর পরেও কিছু দুষ্কৃতকারী ও কিছু প্রার্থীর লোকজন কিছু অনিয়ম করার চেষ্টা করেছে। ”
“যার ফলে নির্বাচনটা সম্পূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে-এটা এক কথায় বলা যাবে না। কিছুটা অতৃপ্তি থেকেই যাবে। কারণ কিছু অনিয়ম হয়েছে।
”
ভোটের সময় মোতায়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সঙ্গে ইসি কর্মকর্তাদের বিরোধের একাধিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, যাদেরকে দিয়ে কাজ করাব তারা স্থানীয় প্রশাসন অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য না হলেই ভালো হত।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল না- একথা বলতে নারাজ এই নির্বাচন কমিশনার।
“আমি বলেছি-আমরা যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম, যারা ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করেছে...ইসির নিজস্ব লোকবল না থাকায় প্রশাসন, পুলিশ, অন্যান্য বাহিনী, স্কুল, সংস্থার লোক দিয়ে নির্বাচনটা পরিচালনা করি। ”
অবাধে ব্যালটে সিল মারার এই চিত্র বরগুনার আমতলীর একটি কেন্দ্রের।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।