রোববার রাজধানীতে এক মতবিনিময় সভায় বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদনের ব্যবস্থা করার দাবি জানায় দেশের শিল্পপতিদের প্রভাবশালী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য রাখলেও বিদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে কিছু বলেননি।
স্বাগত বক্তব্যে এমসিসিআই সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমান দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে শিল্প-বাণিজ্যের স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ওপর জোর দেন।
দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না ও ব্যাংকগুলোতে উদ্বৃত্ত তারল্য পড়ে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ব্যাংকঋণের সুদ হার কমানো এবং ব্যবসায়ের জন্য ভ্রমণ ও ব্যবসা উন্নয়ন ব্যয়ের সিলিং বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে পারে সরকার।
“একইসঙ্গে মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম এবং পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে পারে সরকার।
”
রাজধানীর মতিঝিলে এমসিসিআই ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, শিল্পের জন্য এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল। পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দর ও অবকাঠামো উন্নয়ন ও ব্যাংকঋণের সুদ হার কমানোর দাবি জানান।
সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ও বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করতে সরকারের আরো অন্তত দু’বছর লাগবে।
“বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে যেসব চুক্তি আছে তাতে ১৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
এসব চুক্তির বিদ্যুৎ আসতে সময় লাগবে। এজন্য রেন্টালের সমস্যা এখনই শেষ হচ্ছে না। একটু সময় লাগবে।
কৃষি খাত ছাড়া অন্য কোন খাতের সুদের হার সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না বলে জানান তিনি।
“অনেকে বলে থাকেন সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমালে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ ব্যয় কমতো, তাতে ঋণের সুদহার কমবে।
আমি সেটা করেও দেখেছি, তাতে সুদ হার কমেনি। বরং সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।