মাঠে টাইগারদের পারফরম্যান্স তো শীতের রাতে গরীবের ছেঁড়া কাঁথার মতো, মাথা ঢাকতে গিয়ে পা বেরিয়ে যায়! ব্যাটিং ভালো হয়তো ফিল্ডিং-বোলিং যাচ্ছেতাই, আবার কখনো ঘটে উল্টোটা। কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপে কোনো কিছুই কাজে লাগেনি। কী ব্যাটিং, কী বোলিং, কী ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ব্যর্থতার মিছিল। কিন্তু সমস্যা কোথায় তাও বুঝতে পারছেন না অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কাল ম্যাচ শেষে হতাশার ভঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘যদি বুঝতে পারতাম আমাদের সমস্যা কোথায় তবে পরের ম্যাচ থেকে সেটা সমাধান করে ফেলতে পারতাম।
আমরা অনুশীলন করছি ঠিকভাবেই। আমাদের কাজগুলো সব ঠিকঠাকভাবেই করছি। সবাই অনেক সিরিয়াস। তারপরও যদি না পারি তাহলে আর কি করার আছে!’বাংলাদেশের ক্রিকেট মানেই সবার আগে আসে সাকিব, মুশফিক ও তামিমের নাম। কিন্তু এর আগে তিন ক্রিকেটারকে ছাড়াও জিতেছে দল।
কিন্তু বিশ্বকাপে সবাই থাকার পরও ব্যর্থ বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে মুশফিক বলেন, ‘ওই সময়ে আরও ৪-৫ জন ক্রিকেটার ছিল, যারা ধারবাহিকভাবে ভালো খেলছিল। এ কারণে আমাদের অভাবটা কখনই বোঝা যায়নি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, আমরা সবাই আছি তারপরেও হচ্ছে না। আসলে নামে নয়, খেলতে হবে মাঠে গিয়ে।
নামের উপর ভিত্তি করে তো ম্যাচ জেতা হয় না। যদি ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারতাম, হয়তো ফলটা ভিন্ন হতো। সেটা হয়নি। অবশ্যই দায়িত্বটা আমাদেরই ছিল। আমরা চেষ্টাও করেছি, দুর্ভাগ্যবশত হয়নি।
আমাদের আরও কাজ করতে হবে এবং সমস্যা কোথায়, তা খুঁজে বের করতে হবে। ’পুরো টুর্নামেন্টেই ব্যর্থ ওপেনার তামিম ইকবাল। বিশ্বকাপের সাত ম্যাচে তার মোট সংগ্রহ ৮৩ রান। গড় ১১.৮৬। একজন ওপেনারের জন্য খুবই হতাশার।
দিন দিন তামিম কি দলের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে না? মুশফিক বলেন, ‘বোঝা মনে করার সময় এখনো হয়নি। তামিম দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ৫-৬ ম্যাচ খারাপ খেলে বাদ দেওয়াটা সমাধান নয় । আমাদের অনেক খেলোয়াড় আছে ভালো। তারপরেও তামিমের মতো এখনো কোনো খেলোয়াড় বাংলাদেশে নেই।
এখন সবচেয়ে ভালো হয়, তামিমের কোথায় কোথায় সমস্যা আছে সেগুলো বের করে সমাধানের পথ তৈরি করা। আমাদের চেষ্টা করতে হবে তামিম যেন তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরতে পারে। সেটা যত দ্রুত হবে ততই মঙ্গল। ’ টি-২০ বিশ্বকাপে মোট সাত ম্যাচের মধ্যে ৫টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। হংকংয়ের মতো দলও টাইগারদের লজ্জা দিয়েছে।
কাল টুর্নামেন্টের পুরো চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে মুশফিক বলেন, ‘সত্যিই হতাশাজনক। হংকংয়ের সঙ্গে ম্যাচটি হেরে খুবই শকট্ হয়েছি। তারপরও দলের কিছু খেলোয়াড় ভালো খেলেছে। বিজয় ধারাবাহিকভাবে ভালো ব্যাট করেছে। সাকিব বল ও ব্যাট হাতে ছিল উজ্জ্বল।
আল-আমিন বল হাতে কিছু ম্যাচে দারুণ খেলেছে। সবকিছুই যে হারিয়েছি এ টুর্নামেন্টে সেটা বলা যাবে না। কিছু অর্জনও আছে আমাদের। আমাদের যে ভুলগুলো আছে সেগুলো খুব দ্রুত বের করে সমাধান করতে হবে। ভবিষ্যতে আমাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।
সামনে আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর এবং নভেম্বরে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে দেশের মাটিতে খেলতে আসছে। আমাদের সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।