Switch টির নাম ডার্ক এক্টিভেটেড সুইচ। বাসাবাড়ি , দোকান ইত্যাদির সামনের সিকিওরিটি লাইটগুলো প্রায় সময় দেখা যায় দিনের আলো ফোটার পরও অনেকক্ষণ জ্বলতে থাকে,বন্ধ করার কেউ থাকে না। কেমন হত যদি সেটা অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যেত!! আলো ফুটলে বন্ধ এবং অন্ধকার হলেই আবার একা একা অন হয়ে যেত?! খুব সহজেই এটা করা যায়। স্কুলে পড়া ছেলেমেয়েরাই চাইলে এটা বানাতে পারে। নিচের এই সহজ সার্কিটটা দিয়ে এটা করা যায়—
খানে ব্যবহৃত অংশ গুলো হল-
১) LDR – Light Dependent Resistor - এটি বিশেষ ধরনের রোধক (resistor),এর উপর আলো পড়লে এর রোধ (resistance) কমে যায় , আর না পড়লে বা অন্ধকারে রাখলে রোধ বেড়ে যায় ।
আলো অন্ধকারের পার্থক্যটা আসলে এ-ই সার্কিটকে জানিয়ে দেয়।
২) দুটো npn transistor। Model – BC547 এবং BC139 । এরা সুইচ এর মত কাজ করে সময়মত লাইটে কারেন্ট সরবরাহ করে। (দোকানে গিয়ে মডেল বললেই হবে)
৩) একটা ১কিলোওহম রেসিস্টর,এক্টা ভেরিএবল রেসিস্টর যার রোধ ০ থেকে ১০,০০০কিলোওহম পর্যন্ত ভ্যারি (পরিবর্তন) করা যায়।
LED – Light Emitting Diode . বিশেষ ধরনের ডায়োড যা light emit (নির্গত) করে।
পূর্বপ্রস্তুতিঃ
উপরের প্রজেক্টির মত হাজারো মজার মজার প্রজেক্ট নেটে পাওয়া যায় যা স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েরাই ট্রাই করতে পারে। তবে কিভাবে শুরু করতে হবে,কোথায় এসব ইন্স্ট্রুমেন্ট পাওয়া যায়- এসব না জানার কারণে অনেকের আগ্রহ থাকা সত্বেও হয়ত শুরু করতে পারো না। তাই আমি আজ এ ব্যাপারে তোমাদের ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক্স প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করার আগে কি কি থাকা প্রয়োজন এবং এগুলো কোথায় পাওয়া যায় এসব নিয়ে বলব।
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য তোমাদেরকে প্রজেক্ট সরবরাহ করা না,বরং তোমাদেরকে কাজটা ধরিয়ে দেয়া যেন তোমরা নিজেরাই নেট থেকে বিভিন্ন প্রজেক্ট নামিয়ে সেটাকে কাজ করাতে পার এবং এভাবে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট এর কাজ সম্পর্কে আইডিয়া করতে পার।
যা যা লাগবে
সাধারণ কিছু ইলেকট্রনিক্স প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করার জন্য যা যা লাগে তা হল-
১) প্রজেক্ট বোর্ড বা ব্রেড বোর্ড যার উপর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বসিয়ে তুমি সার্কিটটা টেস্ট করবে,
(দেখতে পার – http://www.kpsec.freeuk.com/breadb.htm)
২) ডি.সি. ভোল্টেজ সোর্স যেখান থেকে তুমি প্রয়োজনীয় মানের ভোল্টেজ সরবরাহ করতে পারবে । এর জন্য বাজারে কিছু এডাপ্টর পাওয়া যায়,যদিও অত ভাল না তবে বিগিনার হিসেবে সেগুলো ব্যবহার করতে পার। দাম পড়তে পারে ১৩০টাকা।
৩)মাল্টিমিটার – যেটা দিয়ে ভোল্টেজ,কারেন্ট, রেসিস্টেন্স বা রোধ ইত্যাদি মাপা যায় ।
তবে জেনে রাখ – রেসিসটরের উপর কয়েক ধরনের রঙ এর দাগ(একে কালার কোড বলে,পরে কোনো সময় এ ব্যপারে বলব) দেয়া থাকে যা দেখে তার মান বের করা যায়।
আর ক্যাপাসিটর এর মান এর গায়ে লেখা থাকে।
কোথায় পাওয়া যাবে ?
ইলেকট্রিকাল,ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির দোকান
দাম কেমন ?
ক্যাপাসিটর রেসিসটরের দাম কম কিন্তু সেই তুলনায় মাল্টিমিটার,প্রজেক্ট বোর্ডের দাম কিছুটা বেশি মনে হতে পারে । যেমন-ভালো প্রজেক্ট বোর্ডের দাম ২৬০ টাকা, ডিজিটাল মাল্টিমিটার ৩০০-৪০০টাকা , তবে খুব ভাল পেতে হলে ৯৫০ পর্যন্ত যেতে হতে পারে (কোন দরকার নাই,৩০০-৪০০টাকার টা দিয়েই যথেষ্ঠ,একটু যত্ন করে ব্যবহার করলেই হল)
বিঃদ্রঃ :কপি পেস্ট পোস্ট ভাল লাগল শেয়ার করলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।