রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে ভারত।
শুক্রবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল শেষে কোহলি বলেন, “শ্রীলঙ্কা ভালো দল। রোমাঞ্চিত না হয়ে ধীরস্থির থাকা গুরুত্বপূর্ণ। জিততেই হবে এমন চাপ নেয়ার কোনো মানে হয় না। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার সময় দলে ছিলাম না।
আশা করি এবার সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবো। ”
‘টাইমিং’ আর খেলার ধরনের দিক থেকে না হলেও অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসকে গুরুত্বের দিক থেকে নিজের সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস মানছেন কোহলি। এই রান করার পথে শুরুতে ভীষণ সতর্ক ছিলেন; পরে অবশ্য খেলেছেন নিজের প্রিয় শটই।
“ছক্কার মতোই এক/দুই রান খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক/দুই রান নিয়েও প্রতিপক্ষের অধিনায়ককে খুব চাপে ফেলা যায়।
”
নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে কোহলি বলেন, “শেষ পর্যন্ত থাকতে চেয়েছিলাম। টি-টোয়েন্টিতে অন্তত একজন ব্যাটসম্যানের শেষ পর্যন্ত থাকা উচিৎ। ওদের সেরা বোলার ডেল স্টেইনের ওভারে ৭/৮ রান নেয়ার পরিকল্পনা ছিল। এতে ওরা হতাশ হত, আর নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারতো না। ”
মাঠে স্টেইনদের সহজেই সামলেছেন কোহলি।
কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন অন্য কথা, “আমাদের ওপর চাপ ছিল। যতটা সহজ মনে হয়েছে ততটা নয়। ওরা বিশ্ব সেরা বোলিং আক্রমণের একটি দল। আমরা চাপে ছিলাম, কিন্তু সেটা ওদের বুঝতে দেইনি। ”
উনিশতম ওভারের শেষ বলে জয়সূচক রানটি নেয়ার সুযোগ ছিল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সামনে।
কিন্তু সেই বলে রান না নিয়ে সুযোগটি তিনি দেন দেন কোহলিকে। এ প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, “তিনি আমাকে বলেছেন, এই ম্যাচে আমি তোমাকে আর কিছু দিতে পারবো না, জয়সূচক রানটি তুমিই করো। সুযোগটি আমি নিয়েছি। জয়সূচক রান করতে তো অবশ্যই ভালো লেগেছে। ”
শুরুতে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন রোহিত শর্মা ও অজিঙ্কা রাহানে।
তাদের প্রশংসা কোহলির কণ্ঠে।
“ভালো শুরু হয়েছিল। প্রথম চার ওভারে ১০ করে রান ছিল। তাই আমি দেখেশুনে খেলার সময় পেয়েছি। ওভার প্রতি ৬ রান হলে হয়তো আমাদের আগেভাগে শট খেলতে হতো।
সেক্ষেত্রে আগেই আউট হয়ে যেতে পারতাম। ”
কোহলি মনে করেন, বোলারদের কারণে সেমি-ফাইনালে পৌঁছতে পেরেছিল ভারত। সবাই স্পিনারদের স্তুতিতে ব্যস্ত হলেও কোহলি কৃতিত্ব দিয়েছেন পেসারদেরও।
কোহলি জানান, ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামার সময় হারের কোনো শঙ্কা ছিল না ভারতের।
“আমরা শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি।
জানতাম একটা জুটি হলেই জেতা সম্ভব। কোনো আতঙ্ক ছিল না। সবাই নিজের কাজটা করেছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।