শনিবার মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া আর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলার কথা থাকলেও তা ৫টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
একে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পাতানো নির্বাচন’ আখ্যা দিয়ে তালেবান গোষ্ঠী আগেই তা বর্জন ও প্রতিরোধের হুমকি দিয়েছিল।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, দিনের প্রথমাংশে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলে।
দক্ষিণ আফগানিস্তানের কালাত শহরে একটি ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার সময় রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে দুই পুলিশ সদস্য নিহত ও দুইজন আহত হন।
এছাড়া আরেকটি ভোটকেন্দ্রে বিস্ফোরণে চার ভোটার আহত হন।
এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশে এবং উত্তর-পূর্ব কাবুলের পাশে অবস্থিত কাপিসা অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়া ও নিরাপত্তার স্বল্পতার কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে।
কাবুলে বৃষ্টির মধ্যেই ভোট দেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটার হাজি রামাজান রয়টার্সকে বলেন, “তালেবানের হুমকিকে আমি ভয় পাই না। ভোট দেয়া আমার অধিকার এবং কেউ সেটা ছিনিয়ে নিতে পারে না। ”
ভোটের লাইনে দাঁড়ানো কাবুলের আরেক গৃহবধূ লাইলা নিয়াজি সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো না কোনোভাবে একদিন না একদিন আমাকে মরতেই হবে।
আমি মনে করি, আমার ভোট হবে তালেবানের মুখে একটা চপেটাঘাত। ”
বিবিসি জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন আগেই অন্তত ১০ শতাংশ ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল। তাদের আশঙ্কার সঙ্গে মিল রেখে বিচ্ছিন্ন কিছু কেন্দ্রে গোলযোগ হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।