বিরাট কোহলির শৈল্পিক ব্যাটিং, অ্যালেক্স হেলসের আক্রমণাত্মক মেজাজ কিংবা রবীচন্দন অশ্বিনের ক্যারম বলের রহস্য-সব দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। দেখেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সও। সমালোচনা করেছেন দলের ব্যর্থতার। আবার উৎসাহও যুগিয়েছেন। এমন ক্রিকেটপ্রেমীর দর্শন কিন্তু অনেক পাওয়া।
সেই পাওয়াটাকেই সঙ্গী করতে পারেননি মুশফিক, সাকিবরা। চাপে পড়ে যাচ্ছেন উল্টো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা ছিল কাল। সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, সাকিব আল হাসানের সাক্ষাৎকার, ভবিষ্যত পরিকল্পনা, সব কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে দীর্ঘ সময়। বৈঠক শেষে বিসিবি সভাপতি স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, প্রয়োজনেই দলে পরিবর্তন আসবে।
তবে দলকে একটি অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য চতুর্থবার্ষিকী পরিকল্পনা নেওয়ার কথাও বলেছেন।
কাল আইসিসির সভা দুবাইয়ে। সেখানে যোগ দিতে আজ ঢাকা ছাড়বেন বিসিবি সভাপতি। তাই কাল ছিল বিসিবির জরুরি সভা। সভায় সাকিবের সাক্ষাৎকার নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
টুর্নামেন্ট চলাকালীন একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে জনগণের দেশপ্রেম নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক অধিনায়ক। বলেছেন জাতীয় দলের ফ্যাসিলিটিজ নিয়ে। এ রকমটি বলায় ভীষণভাবে সমালোচিত বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। টুর্নামেন্ট চলাকালীন সাক্ষাৎকার দেওয়ায় রুষ্ট বিসিবি দিন তিনেক আগে একটি নোটিস পাঠিয়েছে সাকিবকে। তার উত্তর দেওয়ার কথা গতকাল।
উত্তর পাওয়ার পরই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান বিসিবি সভাপতি, 'টুর্নামেন্ট চলাকালীন সাক্ষাৎকার দেওয়াটা ঠিক হয়নি। তার উত্তর পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ের চেয়ে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ ভালো। মাঠে যখন আপনি জার্সি গায়ে নামবেন, তখন কিন্তু খেলার কথাই ভাববেন। অন্য কিছু ভাবার সময় পাবেন না।
' সাকিবের কোনো শাস্তি হবে কিনা প্রসঙ্গে বলেন, 'কি শাস্তি হবে, এখনই বলা ঠিক হবে না। পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। '
টাইগারদের পারফরম্যান্সে হতাশ পুরো জাতি। হতাশ বিসিবিও। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেঁড়া করার আগে ম্যানেজমেন্টের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
রিপোর্ট পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান, 'আমরা ম্যানেজমেন্টের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিব। আমি আগেই বলেছি বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে দলে। তবে সবকিছু নির্ভর করবে রিপোর্ট পাওয়ার পর। ' পরিবর্তনটা কি বড় ধরনের হবে? দলের যে পারফরম্যান্স, তাতে বড় ধরনের পরিবর্তনই স্বাভাবিক।
কিন্তু বিসিবি সভাপতি এমন ধারণা উড়িয়ে দিয়েছেন, 'ব্যাপক পরিবর্তন হবে, সেটা বলছি না। এখনই পরিবর্তন করব, সেটাও বলছি না। তবে প্রয়োজন মেনেই পরিবর্তন করা হবে। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেট আছে। সেখানে ভালো করা জরুরি।
তাই একটি পরিকল্পনাও জরুরি। সেটা হবে দীর্ঘমেয়াদি। সেটা চার বছরের হতে পারে। এতে করে ভবিষ্যতের সব সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করি। '
২০১১ সালের বিশ্বকাপের সহ আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।
এবার টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে এককভাবে। আজ ফাইনাল দিয়েই শেষ হচ্ছে আইসিসির বৃহৎ ইভেন্টটির। সফলভাবে ইভেন্টটি আয়োজনের জন্য বিসিবি সভাপতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন মিডিয়াসহ অনেককে, 'টুর্নামেন্টটি সফলভাবে হওয়ার পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে।
কাল (আজ) ফাইনাল শেষ হলেই হয়। এই সাফল্যের কয়েকটি ভাগ রয়েছে।
টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান নিরাপত্তাবাহিনীর। লজিস্টিক সাপোর্ট পাওয়া গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে। দর্শকরা ধন্যবাদ পাবেন। তারা প্রতিমুহূর্তেই উৎসাহ যুগিয়েছেন দলগুলোকে। এমন দর্শক পৃথিবীর কোথাও দেখা যাবে না।
নিজেদের দল না থাকার পরও তারা সমর্থন যুগিয়েছেন অন্যদের। এছাড়া মিডিয়ার সমর্থন ছিল অসাধারণ। সবার সম্মিলিত প্রয়াশেই সফল টুর্নামেন্ট করতে পেরেছি আমরা। '
টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শেষে ১২ এপ্রিল আবারও শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট। ফলে আবারও ক্রিকেটাররা ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ক্রিকেট নিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।