আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভং::ধর্মনিরপেক্ষতা!

বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ূ বড় জোর এক বছর। কিছু ভংধরা দরবেশ সবযুগে থাকে, বিভিন্ন মারফতি কথা শোনার পর এদেরকে জিলানি পীরের বংশধর ভাবতে ভুল হয়না। ইদানিং এমন কিছু দরবেশ দেখা যাচ্ছে। আমি সুশীল দরবেশদের কথা বলছি। আমি জানি তাদেরকে হাজার প্রশ্ন করেও এই উত্তরটা পাওয়া যাবেনা যে, কিভাবে রাষ্ট্রধর্ম “ইসলাম” রেখে একটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ চিন্তা করা যায়! আমি বাজি ধরে বলতে পারি এর উত্তর তাদের কাছে নেই।

আমি এও বলতে পারি ওইসব বিশেষজ্ঞরা শৈশব থেকে আবার চিন্তা করেও সংবিধানে “বিসমিল্লাহ্‌র” ব্যাখ্যা দিতে পারবেন না। আমি জানি তাঁরা তা পারবেনা, পারবেনা বলেই তাঁরা চিৎকার করে ব্যর্থতা ঢাকতে চায়। সেই সুপুরুষ গুলো সংবিধান সংশোধনের দিন সংসদের সামনে যেয়ে বন্ধুপ্রতিম সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেনি এখন তাঁরা বিভিন্ন উদ্যানে চিৎকার করছে। এই সাহস তাদের কোনদিনও হয়নি, ছিলওনা, তাদের অগ্রজরা বঙ্গ-ভঙ্গ রদের বিরুদ্ধে চিৎকার করতে পারেনি, (বরং যারা বিরোধিতা করেছিল তাদেরকে ধরে এনে এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট দেয়া হয়েছিল), তাঁরা ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ রোধ করতে পারেনি, তাঁরা নিজেদের নাম টাও চেঞ্জ করতে পারেনি। কথায় কথায় ভারতের (কাগুজে) ধরমনিরেপেক্ষতাকে উদাহরণ দিতে দিতে ভুলে যান বজরং, শিবশেনা, বিজেপি ভারতেরই দল।

কদিন পর তাঁরা নরেন্দ্রমোদীর প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়েও ধরমনিরেপেক্ষতার (!) উদাহরণ দিবে- আমি নিশ্চিত। দেখতে বাঘের মত কিন্তু আসলে সেটা বাঘ নয়, আমাদের বাঘ সদৃশ মানুষ গুলো সংকটকালে এসব ভুলে যান। ভাষা আন্দোলনে “তমুদ্দিন মজলিশ” নাম তাঁরা কেমনে দিয়েছিলেন আল্লাহই জানে, তারপর "ফাল্গুনের" জায়গায় রাতারাতি "ফেব্রুয়ারি" ! সেটাও মানা গেল, আরবি শব্দ “মুসলিম” বাদ দিয়ে উর্দু “আওয়ামি” রেখে ধর্মনিরপেক্ষ হলেন (!) বাহ দারুণ তো! এত চিৎকার কোথায় থাকে দাদা? এখনও "পহেলা" (??? শব্দটা কি ইংরেজি!!!) বৈশাখে তাই আপনাদের দেখে অসাম্প্রদায়িক হতে শিখি। এইসব বিড়াল তাপসীরা সব যুগে থাকে তাই বলে অমর হয়না। বিভেদের দেয়াল তুলে আলাদা থাকা যায়, সুখী থাকা যায়না।

চামচামি প্রমোদ তৈরি করে প্রজ্ঞা তৈরি করেনা। আমার কাছে সেটায় মনে হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।