কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে আগামীকাল সোমবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র অষ্টমী স্নান ও মেলা বসবে। এ উপলক্ষে এক দিন আগেই ব্রহ্মপুত্রের তীরে আজ রোববার পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাস, ট্রেন, ভ্যান ও হেঁটে মেলা স্থলের দিকে যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
চিলমারী পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র নাথ সরকার প্রথম আলোকে জানান, আগামীকাল সকাল আটটা ১৫ মিনিট পাঁচ সেকেন্ড থেকে সকাল ১০টা তিন মিনিটের মধ্যকার সময় স্নানের উত্তম সময়। তবে পুণ্যার্থীরা দুপুর পর্যন্ত স্নান করতে পারবে।
অষ্টমীর ভোগের সময় বেলা তিনটা ৪৬ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে। তিনি জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও নেপাল থেকে পুণ্যার্থীরা অষ্টমী স্নান মেলায় আসবে। এবার দুই লাখেরও বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্নান ও মেলা উপলক্ষে রমনা জোড় গাছ ঘাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বালুচর এলাকায় বসেছে সার্কাস ও ভাওয়াইয়া গানের আসর। বাঁশির সুর, ঢোলের শব্দ ও নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে চরাঞ্চল।
মেলায় স্থানীয়ভাবে তৈরি বাঁশের বাঁশি, মাটির হাঁড়ি, থালা, দেব-দেবীর মূর্তি, পুতুল, বাঘ, আম, নৌকা ইত্যাদির পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া রয়েছে ফলমূল, নানা জাতের চাল, পাখি, মুড়ি-মুড়কি, খই, দই, চিড়া ইত্যাদি।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব জানান, মেলা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা রক্ষায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকূপ স্থাপন ও নারী পুণ্যার্থীদের পোশাক পাল্টানোর সুবিধার্থে সরকারি, বেসরকারি ও এনজিওদের সহায়তায় দুই শতাধিক তাঁবু থাকবে।
প্রতিবছর নির্দিষ্ট দিনে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে হিন্দুধর্মের মানুষেরা পাপ মোচনের আশায় চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে স্নানের জন্য ছুটে আসে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।