প্রিয় ভক্তের প্রতি মহেন্দ্র সিং ধোনির মহানুভবতা বরাবরই প্রশংসনীয়। কদিন আগেই অসুস্থ হয়ে পড়া তাঁর ভক্ত রাম বাবুর চিকিত্সার জন্য ফ্লাইটের টিকিট কেটে দেশে পাঠিয়ে ভালো হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এবার নিজের কিংবা দেশের ভক্ত নন, ‘চিরশত্রু’ পাকিস্তান দলের সমর্থকের ভালোবাসায় মুগ্ধ করলেন ধোনি। ব্যবস্থা করে দিলেন তাদের ফাইনাল ম্যাচটি দেখার।
গ্যালারিতে মোহাম্মদ বশির নামের এক বয়োজ্যেষ্ঠ পাকিস্তানি সমর্থকের সরব উপস্থিতি হয়তো দেখে থাকবেন।
বশির এসেছিলেন মূলত নিজের দেশ পাকিস্তানকে সমর্থন করতে। কিন্তু দল বিদায় নিয়েছে আগেই। তবু বাংলাদেশে রয়ে গেছেন এ সমর্থক, শুধু ক্রিকেটের টানেই। নিখাদ ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে আজকের মহারণ কিছুতেই হাতছাড়া করতে রাজি নন। কিন্তু ফ্যাঁকড়া বেধেছে অন্যখানে।
ম্যাচ দেখার টিকিট যে নেই হাতে।
যে সমর্থক সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পাড়ি দিয়ে এত দূর এসেছেন খেলা দেখতে, তাঁর কিনা ফাইনাল দেখা হবে না? সমাধান হয়েছে। বশিরের দুশ্চিন্তার মেঘ কেটেছে। তাঁর টিকিটের সমাধান করেছেন স্বয়ং ধোনি।
কীভাবে হলো এ অসাধ্য সাধন? শুনুন বশিরের মুখ থেকেই, ‘ভারতের অনুশীলন দেখছিলাম গতকাল।
আমার কোনো টিকিট ছিল না। ধোনি আমার চেহারা চিনতেন। কারণ, এর আগে বার্মিংহামে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তিনি আমাকে দেখেছিলেন। টিকিটের ব্যাপারে বলতেই তিনি কাউকে ‘‘কাকা’’ বলে ডাকলেন (ভারতীয় দলের ট্রেইনার রমেশ মানে, ধোনি “মানে কাকা” বলে ডাকেন)। তাঁকে বললেন, আমাকে একটি টিকিটের ব্যবস্থা করতে।
কাকাই আমাকে একটি সৌজন্য টিকিটের ব্যবস্থা করে দিলেন। ’ টিকিট জোগাড়ের পর বশির মুখে চওড়া হাসি। বলেন, ‘আমি এখন ধোনির বিরাট ভক্ত বনে গেছি। ’
বশির কয়েকটি ম্যাচে বাংলাদেশকে সমর্থন করায় তিনি এ দেশের সমর্থকদের কাছেও অনেক প্রিয়। ক্রিকেটপাগল এ সমর্থক থাকেন শিকাগোতে।
সেখানে ‘গরিব নওয়াজ’ নামে তাঁর একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।