অর্থপাচারের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যের আবেদনের শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি বোরহানউদ্দিন ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ জামিন দিতে রাজি হয়নি।
ফাইল ছবি
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। মোশাররফের পক্ষে ছিলেন মওদুদ আহমদ।
খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “আদালতে খন্দকার মোশাররফ জামিন চেয়েছিলেন।
শুনানির পর আদালত জামিন আবেদন ফেরত দিয়েছে। ”
সেলিম বলেন, “আদালত বলেছেন, এখনো ওই মামলার তদন্ত চলছে, আমরা এই অবস্থায় জামিন দেব না। আপনারা অন্য কোনো কোর্টে দেখেন। ”
খন্দকার মোশাররফ এর আগেও হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন, যা আপিল বিভাগ বাতিল করে। বাতিলের সঙ্গে কয়েকটি নির্দেশনাও দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক নাসিম আনোয়ার গত ৬ ফেব্রুয়ারি রমনা থানায় ‘মুদ্রা পাচার’ আইনে এ মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাচার করেছেন।
এরপর মোশাররফের আবেদনে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।
মুদ্রাপাচার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক জোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে হাই কোর্টের দেয়া আগাম জামিন বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
গত ১২ মার্চ রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরদিন তাকে তিনদিনের জন্য দুদকের হেফাজতে দেয় আদালত।
হেফাজত শেষে আদালতে হাজির করার পর জামিন না দিয়ে ১৬ মার্চ তাকে কারাগারে পাঠায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম। পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতেও জামিন চান তিনি। ২৩ মার্চ সেটাও খারিজ হয়ে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।