আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মরণ ফাদ ফারাক্কা বাঁধ ও মুজিব-জিয়া শাসন আমল


স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের মাঝে সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ফারাক্কা বাঁধ বা গঙ্গার পানির হিস্যা। ভারত গঙ্গায় বাঁধ দিয়ে গঙ্গার পানি প্রতাহার এবং একটি আন্তর্জাতিক নদী হিসাবে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যার দাবীই মূলত ভারত বাংলাদেশের দ্বন্ধের সূচনা করে। বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ভারত বিরোধী মনোভাব তৈরীর ক্ষেত্রে ফারাক্কা ইস্যু মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে।



মুজিব আমলে ফারাক্কা:



মুজিব ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারী প্রখ্যাত পানি বিশেষজ্ঞ বি এম আব্বাসকে বন্য নিয়ন্ত্রন,সেচ ও জ্বালানী উপদেষ্টা নিয়োগ করেন। এর দুই দিন পরই বি এম আব্বাস ফারাক্কা,বন্যা নিয়ন্ত্রন ও সেচ বিষয়ে আলোচনার জন্য নয়াদিল্লী গমন করেন।

ভারতের সেচ মন্ত্রী ড.কে.এল রাও সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ফারাক্কা প্রকল্পসহ বন্যা নিয়ন্ত্রন,সেচ ও জ্বালানী বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতের নানা দিক নিয়ে আলাপ আলোচনা শেষে ২৮ জানুয়ারি ঢাকা ফিরে আসেন।



পরের মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর কালে দুদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফারাক্কা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। যৌথ বিবৃতিতে তারা জানান, "বন্যা নিয়ন্ত্রন,ফারাক্কা বাঁধসহ পানি ও বিদ্যুৎ সম্পদ উন্নয়ন ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। "



১৯৭২ সালের ১৭ থেকে ১৯ মার্চ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে দুদেশের মাঝে স্বাক্ষরিত মৈত্রী চুক্তিতে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত হয়। এ প্রসঙ্গে চুক্তির ছয় নম্বার অনুচ্ছেদে বলা হয়, "বন্যা নিয়ন্ত্রন,নদী অববাহিকার উন্নয়ন এবং সেচ ও জল বৈদ্যুতের উন্নয়নে যৌথ অনুসন্ধান ও যৌথ কর্মউদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন উভয় পক্ষ ঐক্যমত হন।

"যৌথ নদী কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।



১৯৭২ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল ভারতের সেচ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী ড. কে.এল.রাও ঢাকা সফর করেন, এ সময় বাংলাদেশের পানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদের সঙ্গে প্রস্তাবিত যৌথ নদী কমিশন সংবিধি এবং পানি ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে ভারতের সেচ মন্ত্রী বলেন, "পনির হিস্যার বিষয়ে দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করে ঠিক করবেন,কিন্তু ফারাক্কা বাঁধ এখন আর কোন সমস্যা নয়। " বাংলাদেশের মনোভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, "the doubts and misgivings of Bangladesh had been removed"



দু'মাস পর যৌথ নদী কমিশনের প্রথম সভা নয়াদিল্লীতে ২৫-২৬ জুন,১৯৭২ অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় নি।





১৬ আগস্ট,১৯৭২ ভারতের সেচ ও বিদ্যুৎ উপমন্ত্রী B.N.Kureel লোকসভায় বলেন, ১৯৭৪ সালের শুরুর দিকে সংযোগ খালের মাধ্যমে ভাগীরথীতে পানি চালু করা সম্ভব হবে। পানির পরিমান সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন,"সংযোগ খালে পানি সরবরাহের পরবর্তী পাঁচ বছর শুল্ক মৌসুমসহ সারা বছর ৪০০০০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হবে। " তবে পরবর্তী দু'বছর পানির পরিমান তারতম্য ঘটবে। এভাবে সাত বছর পর মাঢ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণের ফলাফলের ভিত্তিতে সামগ্রিক অবস্থার পর্যালোচনা করা হবে। বিবৃতি শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মন্ত্রী উল্লেখ করে, " ... legaitimate interests of Bangladesh will be kept in view and no arrangement made by us will adversely affect these interest" যদিও ভারতীয় মন্ত্রী বাংলাদেশের বৈধ স্বার্থ রক্ষার ঘোষণা দিয়েছেন, কিন্তু কিভাবে তা রক্ষা করবেন এর বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা দেন নি।

গঙ্গায় সারা বছর ধরে একই রকম প্রবাহ থাকে না, এর বার্ষিক জলস্রোতের ৮০ ভাগ প্রবাহিত হয় জুলাই থেকে অক্টোবরের মাধ্যে। গাঙ্গেয় সমভূমিতে প্রায় ৮২% বৃষ্টিপাত হয় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে। বর্ষায় প্রবাহ উভয়ের প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথেষ্ট। সমস্যা দেখা দেয় শুল্ক মৌসুমে। তখন যে পানি প্রবাহিত হয় তা দু'দেশের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম নয়।

তাই দু'দেশই চায় এই সময়ে গঙ্গায় সর্বোচ্চ পানি প্রবাহ। ভারতীয় মন্ত্রীর মতে " শুল্ক মৌসুমে ( মধ্য মার্চ থেকে মধ্য মে পর্যন্ত) গঙ্গার পানির প্রবাহ থাকে ৫০০০০ কিউসিক থেকে ৬০০০০ কিউসিক। " এ অবস্থায় ৪০০০০ কিউসিক পানি প্রত্যাহার করে নিলে বাংলাদেশের 'বৈধ স্বার্থ' কিভাবে রক্ষিত হবে।



বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রন,সেচ ও বিদ্যুৎ বিষয়ক উপদেষ্টা বি.এম.আব্বাস ১৩ সেপ্টেম্বর,১৯৭২ দিল্লীতে ভারতের সেচ মন্ত্রীকে তার বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ভারতের মন্ত্রী জানান যে, " বাংলাদেশের একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি মিসেস গান্ধীকে বলেছেন যে, ১০০০০ কিউসিক পানি বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট। " (B.M.Abbas 'Ganges water dispute' p-33).যেহেতু ২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল ভারতের সেচ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী ড. কে.এল.রাও ঢাকা সফরের সময় জানিয়েছিলেন 'পনির হিস্যার বিষয়ে দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করে ঠিক করবেন' সেহেতু ভারতীয় সংসদে মন্ত্রী যে বিবৃতি দিয়েছেন তা থেকে ধরে নেওয়া স্বাভাবিক দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে একটা সমঝোতা হয়েছিলো।

তবে পানির হিস্যা নিয়ে ভারতের সাথে আনুষ্টানিক কোন সমঝোতা বা চুক্তি তখনও হয় নি।



২৪ মে,১৯৭২ ঢাকায় ভারত সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী ডি.পি.ধরের সাথে এক বৈঠকে বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রন মন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক ভারতের পার্লামেন্টে কে.এল.রাও-এর গঙ্গার পানি প্রত্যাহারের একতরফা ঘোষনার বিষয় উথ্থাপন করেন। জবাবে ডি.পি.ধর বলেন রাও এর বিবৃতি হলো 'inadvertent'এবং তিনি বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে বলেন, " গঙ্গার পানির বিষয়ে দু'দেশের সরকারের পূর্ববর্তী সমঝোতা অপরিবর্তিত রয়েছে। "



১৬-১৭ জুলাই,১৯৭৩ বাংলাদেশের বন্যা মন্ত্রী খোন্দকার মোশতাকের ভারত সফর কালে তাকে জানানো হয় "পরস্পরের নিকট গ্রহনযোগ্য সমাধানে উপনীত হওয়ার পর ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হবে। "



ফেব্রুয়ারী ১৯৭৪ এ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসেন ফারাক্কা এবং পনি বন্টন নিয়ে আলোচানার জন্য, তবে আলোচনায় কোন অগ্রগতি হয়নি।





মে ১৯৭৪ এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুরের ভারত সফরে পানি বন্টন ও ফারাক্কা ছাড়া বাকি নানা বিষয়ে মতৈক্য প্রতিষ্টিত হয়। বাংলাদেশে ভারতের তৎকালীন ডেপুটি হাইকমিশনার জে.এন.দীক্ষিত উল্লেখ করেন যে, " গঙ্গার পানির হিস্যা একমাত্র ইস্যু যে বিষয়ে কোন সমঝোতা উপনীত হওয়া সম্ভব হয় নি। "বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ ঘোষণা পত্রের ১৭ ও ১৮ নং প্যারায় ফারাক্কা সমস্যা বিবৃত হয়েছে, " উভয় প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন যে গঙ্গার নূন্যতম প্রবাহকালীন সময়ে যে পরিমান পানি পাওয়া যায় তা কলকাতা বন্দর এবং বাংলাদেশের পূর্ণ চাহিদা পূরণে জন্য যথেষ্ট নয়। ... সিদ্ধান্তে গৃহীত হয় যে দু'দেশের পানি সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য পানি প্রবাহ বৃদ্ধির সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা অনুসন্ধান করবে যৌথ নদী কমিশন। দু'দেশ প্রয়োজন পূরণের জন্য কমিশন উপযুক্ত সুপারিশ পেশ করবে।



এটা স্বীকার করে নেওয়া হয় যে, কমিশনের সুপারিশমালা বাস্তবায়নে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। উভয় পক্ষ তাঁদের দৃঢ় সঙ্কল্প ঘোষণা করে যে এই সময়ের মধ্যৈ ফারাক্কা প্রকল্প চালুর পূর্বে গঙ্গার ন্যূনতম প্রবাহকালীন সময়ে প্রাপ্ত জলরাশি পরস্পরের নিকট গ্রহনযোগ্য হিস্যা নির্ধারণ করে নেবে।



২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি,১৯৭৫ বাংলাদেশ ও ভারতের মন্ত্রী পর্যায়ে সভা অনুষ্টিত হয়। গঙ্গার পানির হিস্যা, ব্রহ্মপুত্র-গঙ্গা সংযোগ খাল ও নেপালকে আলোচনায় নেওয়া না নেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয় বৈঠকে স্থান পায়। কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি সাধিত হয়নি।





এপ্রিল,১৯৭৫ ঢাকায় অনুষ্টিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পূর্বেই ভারত সরকার, বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করে যে, আসন্ন শুল্ক মৌসুমে ফারাক্কা বাঁধের সংযোগ খাল চালু করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে এবং ফারাক্কার পানি প্রত্যাহার পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের হুগলীতে যৌথ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। জরুরী ভিত্তিতে বন্যা নিয়ন্ত্রন মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ১৫ এপ্রিল,১৯৭৫ ভারতীয় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সার-সংক্ষেপ তৈরী করেন। এই সার-সংক্ষেপে বলা হয়,

" পানির হিস্যার বিষয়ে মতৈক্য ব্যতীত সংযোগ খাল চালুর সম্মতি দেওয়া যাবে না,

দ্বিতীয়ত বাঁধের 'পরীক্ষা মূলক' চালুর অর্থ হলো কার্যত স্থায়ীভাবে চালু রাখা।

তৃতীয়ত পানি প্রত্যাহার পর্যবেক্ষণের জন্যে যৌথ পর্যবেক্ষণ দলের প্রস্তাব গ্রহণ যোগ্য হতে পরে না। কারণ এতে করে নতুন করে বিরোধ দেখা দেবে পরিণামে গঙ্গার পানির ন্যায়সঙ্গত হিস্যার ইস্যু আরও দীর্ঘায়িত হবে।

"


কিন্ত রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব জানিয়ে দেন যে "... he had already agreed to the running of the Farakka canal and also about the joint survey of the effects." (B.M.Abbas 'Ganges water dispute' p-40). আসন্ন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত ফারাক্কা থেকে কি পরিমান পানি প্রত্যাহার করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।



১৬ এপ্রিল,১৯৭৫ ভারতের কৃষি ও সেচ মন্ত্রী জগজীবন রাম ঢাকা আসেন। ১৮ এপ্রিল,১৯৭৫ এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে ৪১ দিন মেয়াদের অন্তবর্তীকালীন চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী ভারত ২১-৩০ এপ্রিল ১১০০০ কিউসিক, ১-১০ মে ১২০০০ কিউসিক, ১১-২০ মে ১৫০০০ কিউসিক, ২১-৩১ মে ১৬০০০ কিউসিক পানি প্রত্যাহার করবে। বাংলাদেশ ও ভারত গঙ্গার পানির হিস্যা ও প্রবাহ বৃদ্ধি নিয়ে মূল বিরোধ এড়িয়ে ফারাক্কা বাঁধ চালুর জন্য অস্থায়ী সমঝোতায় উপনীত হয়।





ফারাক্কা বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রন মন্ত্রী সেরনিয়াবাতকে আমন্ত্রন জানায় ভারত। কিন্তু ধূর্ত শেখ মুজিব ফারাক্কা বাঁধ চালুর দায় এড়ানো এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মন্ত্রীকে না পাঠিয়ে বি.এম.আব্বাসকে পাঠান। তবে চুক্তির সময়সীমা অতিক্রান্ত হবার পরও ভারত পানি প্রত্যাহার অব্যাহত রাখে।

এই বিষয়ে বি.এম.আব্বাস বলেন, "the matter was taken up at the experts level. It was also reported to the Government but no action was taken in the matter." (B.M.Abbas 'Ganges water dispute' p-42)

এমনি পরিস্থিতিতে ১৯-২১ জুন,১৯৭৫ যৌথ নদী কমিশনের ১৩তম সভা ঢাকায় অনুষ্টিত হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল গঙ্গা অববাহিকায় জলধার নির্মাণের প্রস্তাব উথ্থাপন করে।

ভারত বরাবরের মত তাদের সংযোগ খালের ওপর গুরুত্বরোপ করে। দু'দেশের প্রস্তাব পারস্পরিক প্রত্যাখানের মধ্য দিয়ে অনিশ্চায়কভাবে শেষ হয়।



বি.এম.আব্বাস মুজিব আমলে ফারাক্কা ইস্যুকে মূল্যায়ণ করেন এভাবে, "Sheikh Mujib did not or could not press the matter strongly enough at the time."









জিয়াউর রহমানের আমলে ফারাক্কা:



জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে ভারতের সাথে অন্য সমস্যাগুলোর সাথে সাথে "ফারাক্কা বাঁধ" সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। জিয়াউর রহমান এই সমস্যা উত্তরাধিকার হিসাবে পান। ৪১ দিনের অস্থায়ী চুক্তির মাধ্যেমে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দিয়ে যে স্থায়ী সমস্যা শেখ মুজিব বাংলাদেশীদের ঘাড়ে চাপিয়ে যান তা সমাধানের জন্য১৮ ডিসেম্বর,১৯৭৫ রাষ্ট্রপতি ও প্রধান আইন প্রশাসক বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই সভায় দু'টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

প্রথমত একতরফা পানি প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাধ জ্ঞাপন করা।

দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত ছিলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ "to suggest a joint study for the entire dry season of 1976 with the quantum of withdrawals as agreed in April,1975." (B.M.Abbas 'Ganges water dispute' p-46)



১৫ জানুয়ারি,১৯৭৬ বাংলাদেশ ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবাধ লিপিতে অস্থায়ী চুক্তির ৪০ দিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ভারতের পানি প্রত্যাহারকে "breach of the agreement" বলে উল্লেখ করা হয়।



৩ ফেব্রুয়ারি,১৯৭৬ বাংলাদেশ আবারও প্রতিবাদ লিপি পাঠায়।

এতে গঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্ন সৃষ্টিকারী যে কোন প্রচেষ্টা থেকে ভারতকে বিরত থাকতে বলা হয়। (* এইখানে একটা কথা না বলে থাকা গেলো না, বাঘ বাঘের মতই কথা বলে, আর মুজিব কথা বলতো বিলাই'র মত)




১১ ফেব্রুয়ারি,১৯৭৬ ভারত বাংলাদেশের কাছে আলোচনার প্রস্তাব দেয়। ভারতীয় প্রস্তাবের উত্তরে বাংলাদেশ জানায়, ভারত ফারাক্কা বাঁধে গঙ্গার পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার বন্ধ না করলে আলোচনা বা বৈঠক অনুষ্ঠান অর্থহীন হবে। (দৈনিক বাংলা ১৫.২.১৯৭৬)



ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বাংলাদেশের প্রতিনিধি বি.এম.আব্বাস বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে বাংলাদেশে ফারাক্কার ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে আন্তর্জাতিক জনমতকে বাংলাদেশের অনুকূলে আনার চেষ্টা করেন।

বাংলাদেশের প্রচার-প্রচারণাকে ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লী।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই.বি.চ্যবন বলেন, বাংলাদেশের বৈরিমূলক অব্যাহত প্রচারণায় ভারত বিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন তার সরকার লক্ষ্য করেছে।

রিয়াল এডমিরাল খান তখন বলেন, আমাদের সংবাদপত্রগুলিতে ভারতের বিরুদ্ধে কোন প্রচারণা চালানো হয়নি। বরং বাস্তব তথ্যাবলী তুলে ধরা হচ্ছে। সত্য কথায় কারো গাত্রদাহ হলে সে ব্যপারে আমরা কিছু করতে পারি না





বাংলাদেশের বারংবার বাদ-প্রতিবাদের প্রেক্ষাপটে ভারতের সেচ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সি.সি.প্যাটেলের নেতৃত্বে নয় সদস্যের এক কারিগরী টিম ২৭ এপ্রিল- ২ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেন। পানি প্রত্যাহারের প্রভাব মূল্যায়ন করা তাদের উদ্দেশ্য।

অনুরূপভাবে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদলও ৬-১১ মে,১৯৭৬ হুগলী ও ফারাক্কা এলাকায় অবস্থান করেন।



ভারত কর্তৃক একতরফা গঙ্গার পনি প্রত্যাহার বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে এডমিরাল এম.এইচ.খান বলেন, 'দু'দেশের মধ্যে বহমান অভিন্ন নদীর পানি ব্যবহার সম্পর্কে ভারতের অবশ্যই ভাটির দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। বাংলাদেশের সাথে আলোচনা না করায় ভারত আন্তর্জাতিক বিধি লঙ্গন করেছে বলে অভিযোগ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কারো দেওয়া কোন উপহার সামগ্রী নয়। এ দেশের জনগণের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে আর বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশ।

' (Bangladesh Times 15.5.1976)



১৯৭৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারী ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে লেখা এক চিঠিতে মাওলানা ভাসানী বলেছিলেন, "বিশ্বের অন্যতম মহাপুরুষ মহাত্না গান্ধীকে তোমার দেশের বিশ্বাসঘাতক নাথুরাম গডসে হত্যা করে যে মহাপাপ করেছে তার চেয়েও জঘন্য পাপ তোমরা করছ"।

১৮ এপ্রিল,১৯৭৬ মওলানা ভাসানী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস গান্ধীর নিকট ফারাক্কা বাঁধ সম্পর্কে পত্র লিখেন। চিঠির জবাবে মিসেস গান্ধী ভাসানীকে জানান যে, প্রতিবেশীদের মধ্যে সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। তবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো সমঝোতা ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সমাধান অন্বেষণ করতে হবে। মোকাবিলা ও বৈরিতার পথ অনুসরণ করে আমরা পরস্পরের ক্ষতি করতে পারি মাত্র।

(দৈনিক ইত্তেফাক ৯.৫.১৯৭৬)

ভাসানী ১৬ মে,১৯৭৬ ফারাক্কা অভিমূখে লং মার্চ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। ভারত মনে করে ভাসানীর এই কর্মসূচীতে বাংলাদেশ সরকারের মৌন সম্মতি আছে। মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ বিশাল মিছিল গিয়েছিল ফারাক্কা অভিমুখে। পরদিন ১৭ মে মিছিল শেষ হয়েছিল কানসাটে গিয়ে, বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে। এই মিছিলের আতংকে ভারত সরকার রীতিমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে মওলানা ভাসানী তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের দরিদ্র নিরস্ত্র মানুষের ভয়ে ভারতকে যখন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করতে হয়েছে তখন তার অবিলম্বে ফারাক্কা সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত। ’



২৫ মে,১৯৭৬ ভারতের রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই.বি.চ্যবন বলেন,গঙ্গার পানি নিয়ে বাংলাদেশের কোন সমস্যা নেই এমন কথা আমরা বলি না। তবে আমাদেরও কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের বাড়তি কিছু অর্থ হয়েছে বলেই ফারাক্কা বাঁধ তৈরী করা হয়নি। তবে গঙ্গার পানি সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান সম্পর্কে বাংলাদেশের বক্তব্য তিনি গ্রহন করেননি।





১৮-২২ জুন,১৯৭৬ ভারতের বৈদেশিক সম্পর্ল বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান জি.পার্থসারনথীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়েরে এক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন রিয়াল এডমিরাল এম.এইচ.খান। বৈঠকে তেমন কিছুই অর্জিত হয় নি।



বাংলাদেশ সরকার বুঝতে পারে যে, ভারতের সাথে শুধু দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ফারাক্কা সমস্যার কাঙ্কিত সমাধান সম্ভব নয়। তাই আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালের মে মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ৪২ জাতি শীর্ষক ইসলামিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি জিয়া ব্যক্তিগতভাবে ফারাক্কা সমস্যাটি উত্থাপন করেন।

একই বছর আগস্ট মাসে কলম্বোতে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফারাক্কা প্রশ্ন উত্থাপন করে ন্যাম সদস্যদের সহানুভূতি অর্জনে সমর্থ হয়েছিলেন।




বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘে ফারাক্কা সমস্যা উথ্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। ২১ আগষ্ট,১৯৭৬ বাংলাদেশ জাতিসংঘের ৩১তম অধিবেশনের এক মাস পূর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসচিবকে অনুরোধ করে ফারাক্কা ইস্যুকে আলোচ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত করার জন্য।



জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে উথাপনের পূর্বে ভারতের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দেয় বাংলাদেশ। ৭-১০ সেপ্টেম্বর,১৯৭৬ নয়াদিল্লীতে রিয়াল এডমিরাল খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নেয়।

তবে আলোচনার পরিবেশ অনুকূলে ছিলো না। প্রতিনিধি দলের একজনের মন্তব্য ছিলো, "The meeting was held in tense atmosphere."



জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৩১ তম অধিবেশনে ২৬ নভেম্বর,১৯৭৬ সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। এতে বলা হয় উভয়পক্ষ একমত হয়েছে যে, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে 'জরুরী সমধান' আবশ্যক। এই উদ্দ্যেশে ঢাকায় জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে সম্মত হয়। প্রস্তবের শেষে বলে দেওয়া হয় যে, "It is open to either party to report to the General Assembly at the thirty-second session on the progress achieved in the settlement of the problem."



জাতিসংঘের বিশেষ রাজনৈতিক কমিটির সমঝোতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্বল্প সময়ে তিনটি মন্ত্রী পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন রিয়াল এডমিরাল খান অপর পক্ষে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভারতের সেচ ও কৃষিমন্ত্রী জগজীবন রাম।

৬-৯ ডিসেম্বর,১৯৭৬ ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিন দিনে দু'দেশ নয় ঘন্টা আলোচনা করেন। তারপর ভারতীয় দল জিয়াউর রহমানের সাথে এক ঘন্টা আলোচনা করেন। কিন্তু কোন সমাধান ছাড়াই বৈঠক মুলতবী ঘোষণা করা হয়।

১৪-১৬ জানুয়ারী,১৯৭৭ ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বৈঠকেও কোন সমাধান আসেনি।

এই দুই বৈঠকেই বাংলাদেশের দাবী ছিলো ১৯৭৫ এর অস্থায়ী চুক্তিতে পানির হিস্যার যে পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে সেই পরিমান ঠিক রেখেই সমাধান। কিন্তু ভারতীয় দল সাফ জানিয়ে দেয় ওই চূক্তি "different circumstances" এ স্বাক্ষরিত হয়েছিলো। (মানে তখন বাঁধ চালু করাটাই মূল বিষয় ছিলো, চালু করার অনুমতি যখন দিয়া দিছো তখন চো* খাও)

২১-২২ জানুয়ারী,১৯৭৭ নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বৈঠক মাত্র পাঁচ মিনিট স্থায়ী হয়। এই সফরে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সাথে দ্বিতীয় বৈঠকের আগে হঠাৎ ভারতীয় পক্ষ তা বাতিল ঘোষণা করে। এই বৈঠকগুলায় বাংলাদেশের দাবী ছিলো ৪০০০০ কিউসিক পানি আর ভারতের শেষ অফার ছিলো ৩০০০০ কিউসিক পানি।





মিসেস গান্ধীর সরকারের পতনের পর ৫ এপ্রিল, ১৯৭৭ সালে নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সমন্বয় ব্যুরোর বৈঠকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা শামস-উল-হক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোরারজী দোশাইকে প্রশ্ন করেন, "why have you stopped our rightful share of the waters of the Ganges?" জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি এইটা করিনি, ঐ মহিলা (মিসেস গান্ধী) করেছে। " (Bangladesh in international politics -Muhammad Shamsul Huq p:91)



জিয়া-দেশাই সরকারের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জনতা দল সরকার গঠনের এক সাপ্তাহের মধ্যেই গঙ্গার পানির হিস্যার প্রশ্নে এক সমঝোতায় পৌছানো সম্ভব হয়। চূড়ান্ত চূক্তির পূর্বে কয়েক মাস ধরে চলে দু'পক্ষের আলোচনা। ১৫ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭ পর্যন্ত একবার ঢাকা, একবার নয়াদীল্লি এভাবে দীর্ঘ আলোচনায় দরকষাকষি চলে।





৫ নভেম্বর,১৯৭৭ বাংলাদেশ-ভারত ৫ বছর মেয়াদী একটি চূক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হয়। উভয় সরকার কিছুটা ছাড় দিয়ে এই চুক্তি সম্পাদন করে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমনটা অস্বাভবিক নয়। আলোচনায় বাংলাদেশ প্রথম থেকেই ৪০০০০ কিউসিক পানির দাবী করলেও শেষ পর্যন্ত শুল্ক মৌসুমে ৩৪৫০০ কিউসিক পানি মেনে নেয়। ভারতীয় রাজনৈতিক দল কংগ্রেস,কমিউনিস্ট পার্টি সহ পশ্চিমবঙ্গ এই চুক্তির তীব্র সমালোচনা করে।

তারা দাবী করে জনতা দল দেশ বিক্রির চুক্তি করে দিয়েছে।



ফারাক্কা চুক্তির প্রায় এক মাস পর ১৮ ডিসেম্বর,১৯৭৭ জিয়াউর রহমান ভারত সফর করেন। জিয়ার সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় ভারতের রাষ্ট্রপতি সঞ্জিব রেড্ডি তাঁর উচ্চ প্রশংসা করে বলেন "... a brave freedom fighter who was the first to declare the independence of bangladesh." (Bangladesh in international politics -Muhammad Shamsul Huq p:96)



জিয়ার ভারত সফরের পর ভারতে জনতা দলের সরকার ক্ষমতাসীন থাকা পর্যন্ত তাদের সাথে ফারাক্কা সমস্যার দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানের লক্ষ্যে দু'পক্ষের আলোচনা অব্যাহত ছিলো।







## যেখানে ঠিক করা হয় ফারাক্কার পানির হিস্যা দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করে ঠিক করবেন, সেখানে বাংলাদেশের কোন সেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি যে ভারতীয় মন্ত্রীকে জানায় শুল্ক মৌসুমে বাংলাদেশের জন্য ১০০০০ কিউসিক পানিই যথেষ্ট?

## কেন মুজিব বিশেষজ্ঞ টিমের সাথে আলোচনা না করেই ভারতকে অস্থায়ী একটি চুক্তির ভিত্তিতে বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়

##আপনি যদি মুজিবের শাসন আমল লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন মুজিবের কাছে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার চেয়ে ভারতীয় বন্ধুত্ব রক্ষাই ছিলো মূখ্য অন্যদিকে জিয়ার কাছে ভারতের বন্ধুত্বের চেয়ে জাতীয় স্বার্থ অগ্রাধিকার বেশী পেয়েছিলো।


By- নিরন্তন শূন্যতায়

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।