আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলে গেলেন মিকি রুনি

কনটাক্টমিউজিক জানায়, ৬ এপ্রিল ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে মারা যান ওই অভিনেতা। দেড় বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে ওঠেন মিকি রুনি। তার মা-বাবাও ছিলেন মঞ্চ অভিনেতা। দীর্ঘ নয় দশকের ক্যারিয়ারে তিনি অভিনয় করেছেন দুশ’র অধিক বেশি সিনেমায়।
২০১১ সালে তিনি সর্বশেষ অভিনয় করেন ‘দ্য মাপেটস’ সিনেমায়।


১৯২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্ম নেন রুনি। ৯৩ বছরের জীবনে আটবার বিয়ে করেছেন রুনি।
১৯৫০ থেকে ৬০ সাল পর্যন্ত করা তার কোনো বিয়েই টিকে থাকেনি। এর মূল কারণ ছিল তার রসিকতা করার অভ্যাস। বিখ্যাত অভিনেত্রী আভা গার্ডেনারও তার স্ত্রী ছিলেন।

মৃত্যুর আগে তিনি বিয়ে করেন জেইন ক্যাম্বারলিনকে। তবে বিয়ের কিছুদিন পরে তার সঙ্গেও ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় রুনির। রুনি নয় সন্তানের জনক।
‘অ্যান্ডি হার্ডি’ চরিত্রটির জন্য বেশি জনপ্রিয় ছিলেন রুনি।
১৯৩৭ সালে ‘লাভ ফাইন্ডস অ্যান্ডি হার্ডি’ সিনেমায় মূল চরিত্রতে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত হন রুনি।

সিনেমায় অ্যান্ডি হার্ডির চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন জুডি গার্লেন্ড। সিনেমাটি মুক্তির পর দারুণ সাড়া জাগায় দর্শক মহলে।
এরপর ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ওই চরিত্রটি নিয়ে মোট ১৩টি সিনেমা মুক্তি পায়।
১৯৪৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন রুনি।

২১ মাস সেনাবাহিনীতে কাজ করেন ওই অভিনেতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি আমেরিকা এবং ইউরোপে বিনোদনমূলক বিভিন্ন কাজ শুরু করেন। ওই সময় তিনি অর্জন করেন ব্রোঞ্জ স্টার মেডেল। সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন আর্মি গুড কনডাক্ট মেডেল, আমেরিকান ক্যাম্পেইন মেডেল এবং ওয়ার্ল্ড ওয়ার টু ভিক্টরি মেডেল অর্জন করেন তিনি।
সেনাবাহিনী ছাড়ার পর অভিনয় জগতে ফিরে আসেন তিনি।

শুধু চলচ্চিত্রে নয়, মঞ্চ, টেলিভিশন এসব ক্ষেত্রেও তিনি কাজ করেছেন।
‘বেবিস ইন দ্য উডস’, ‘ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিস’, ২০০৬ সালের ‘নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম’ ইত্যাদি তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা।
১৯৩৮ সালে রুনি অ্যাকাডেমি জুভেনাইল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স তাকে অ্যাকাডেমি অনারারি অ্যাওয়ার্ডে আজীবন সম্মাননা দেয়।
১৯৭২ সালে ‘দ্য কিন্কস’-এর ‘সেলুলয়েড হিরোস’ গানে তার নামও উল্লেখ করা হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।