রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
ল্যাবএইডের মিডিয়া অফিসার জাহিদ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বুধবার বেলা সোয়া ১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ”
বার্ধ্ক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে অধ্যাপক বরেণ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।
একুশে পদক পাওয়া এবিএম মূসার সাংবাদিকতায় বর্ণময় অভিজ্ঞতা রয়েছে, এ পেশায় তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকেছেন প্রায় ৬০ বছর।
১৯৩১ সালে ফেনীতে জন্ম নেয়া মূসা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে দৈনিক ইনসাফের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি হয় মূসার। এরপর যোগ দেন পাকিস্তান অবজারভারে।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তান অবজারভার বন্ধ হলে সংবাদে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে আবার পাকিস্তান অবজারভারে ফিরে এসে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রথমে প্রতিবেদক ও পরে বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। স্বাধীনতার পর বিটিভির মহাব্যবস্থাপক ও মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মূসা ১৯৭৮ সালে যোগ দেন ব্যাংককে এসকাপে ।
১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন তিনি।
২০০৪ সালে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব নিলেও সেখানে বেশিদিন থাকেননি তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।