আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জান্নাত+অন্যায় থেকে দূরে থাকা+বিশ্বশান্তি

আমার সাথে আপনার সংযোগ হোক!

প্রিয় বন্ধু!

আমার মনের গাছে ফোটা অনন্ত সুন্দর প্রেমের রঙ্গীন ফুল দিয়ে মালা গেঁথে আপনার গলায় পড়িয়ে দিয়ে নমষ্কার স্বাগতম জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার আমার সৃষ্ট্রিকর্তা মহান আল্লাহ্ রব্বুল আলামিনের কাছে আপনাদের স্বর্গের পথকে সহজ করে দেবার জন্য করুনা ভিক্ষা চাইছি।

আমরা পৃথিবীতে বাস করতে গিয়ে অনেক সময় নিজের অজান্তেই আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন কে ভুল বুঝে ফেলি। আমরা ভাবি আল্লাহ্ এমন করেন কেনো? আসলে এই ভাবনা মানুষের জীবনে উদয় হওয়া স্বাভাবিক। আমি আল্লাহ্ কে আমার সবকিছু দিয়ে হলেও ভালোবাসি।

কারন আমার যা কিছু আছে তার সবকিছুর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আমার তাওহিদের আল্লাহ্। তারপরও আমরা মানুষ। আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে মাঝে মাঝে ভুল বুঝি। বিশেষ করে আমি আমার আল্লাহ্ কে অল্প বিস্তর বুঝে শুনে হলেও ভালোবাসি। আপনার জীবনে চলার পথে মনে হবে আল্লাহ এক কিন্তু তিনি তার বান্দাদের সাথে সরাসরি দেখা দেন না কেনো? আমরা যদি তাওহিদের বার্তাবাহকদের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো বানি ইসরাইল সম্পদায়ের ভিতরে প্রেরিত মুসা আল্লাহ্ এর নুর দেখেছিলেন।

এখন আমরা বুঝি যে সব প্রেরিত পুরুষ, দেবতা, মহামানব বা যাই বলি না কেনো কিংবা জন্নাতবাসী সবাই আল্লাহ্ নুরের স্পর্শ ও শেরাব সুধা সম্পর্কে জেনে শুনেই আল্লাহ্ এর প্রেমে মসগুল হযে যান। কিন্তু কেনো? এই “কেনো?” আপনার জীবনে কোনোদিনও আসবে না যদি আপনি এই পৃথিবীতে বসেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়ে যান। আমি জানি এবং বিশ্বাস করি যারা তার পাপ মোচনের পথে গিয়ে জান্নাত হাসিল করেন তারা এই পৃথিবীতে বসেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়ে যান। এটা সব ধর্মের ক্ষেত্রেই সত্য তাতে আমরা জান্নাত, স্বর্গ বা হ্যাভেন যে নামের বলি না কেনো?

যাদের এখনও আমাকে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে বা খটকা লাগছে তাদের আমি আর একটু স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছি। আল্লাহ্ বব্বুল আলামিন এক এবং অদ্বিতীয়- এটা একদম মনের ভিতরে গেঁথে সামনে এগোবেন।

আল্লাহ্ এক কিন্তু আল্লাহ্ আমাদের এমন এক সিস্টেম দিয়েছেন যে আমরা কখনই কোনো অবস্থায় আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন কে স্বেচ্চাচারি বলতে পারবো না। আল্লাহ্ কখনও সৈরাচারি না। এর মানে কি দাঁড়ালো? আপনি দেখলেন আপনার ভিষন এক অসুবিধা হয়ে গেছে বা আপনার মা, বাবা, পুত্র, স্বজন মারা গেছে আর আপনি আল্লাহ্ কে দোষারোপ করলেন। এই দোষারোপ টা আসা খুব বেশি স্বাভাবিক যদি আপনি তাওহিদকে বুকে ধারন করতে না পারেন। দয়া করে আমাকে ভুল বুঝবেন না।

আমার এই আলোচনার একটি লাইন বা বাক্য দিয়ে আমাকে বিতর্কিক করার চেষ্টা করবেন না। বরং মূল ভাবটি বোঝার চেষ্টা করুন। আপনাদের সাথে সহজ করে কমিউনিকেট করার জন্য বিভিন্ন উদাহরন চলে আসে। যদি এখানের একটি রূপক বা একটি লাইন দিয়ে আপনি আমাকে বিচার করতে চান তা হবে মূলত আপনার মনের শয়তানের পরিচয়।

ধরুন আপনি আল্লাহ্ কে বিশ্বাস করেন।

এবার আপনার সামনে থেকে জীবনের এক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনার মা মারা গেলেন। এবার আপনি আল্লাহ্ কে দায়ী করলেন যে, “হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে সৃষ্টি করলে কেনো? আর আমি আমার মা কে হারালাম কেনো? আমার মা এর মৃত্যুই যখন দেবে তাহলে তুমি এই অসুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করলে কেনো?” এইভাবে আত্মচিৎকার মন যদি লোক সমাজ কে দেখিয়ে নাও করেন তারপরও মন থেকে আসা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি তাওহিদের কষ্টিপাথর দিয়ে যাচাই করে দেখতে একবার শিখে যান তখন আপনি ঠিকই বুঝবেন যে আল্লাহ্ কখনও সৈরাচারী আচরন করেন না। ঈশ্বর এই পৃথিবীকে অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন। আপনার আমার মনের স্বাধীনতা আল্লাহ্ দিয়ে দিয়েছেন বলেই আমরা এমন করে আত্মচিৎকার করে নিজের অনুভব কে বুঝতে পারি।

এখানেই আল্লাহ্ তার পরিচয় দিয়ে দিয়েছেন। আরো সহয করে বলার চেষ্টা করছি। দেখুন আল্লাহ্ আপনাকে সৃষ্টি করে এমন কোনো সিস্টেমের মধ্যে ফেলে দেয় নি যেখানে আপনার স্বাধীনতা নাই। বরং মানুষ যদি নিজেকে খোদা হিসেবে দাবি করে তখন সেটা হাস্যকর শোনাবে এবং তা কোনোভাবেই মেনে নেবার যোগ্য না। আল্লাহ্ আপনাকে এমন এক সিস্টেম এর মধ্যে আসার সুযোগ দিয়েছেন যেখানে আপনি শুধু মাত্র আল্লাহ্ আপনাকে সৃষ্টি করেছেন বলেই যে তাকে মানতে হবে এমন কিন্তু না।

ধরুন আপনি এমন কিছু সৃষ্ট্রি করলেন আবার নিজেই ভেঙ্গে ফেললেন। এখানে কিন্ত আপনি আপনার সৃষ্টি কে অবজ্ঞা করলেন। আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন তার সৃষ্টিকে অবজ্ঞা করার তো প্রশ্নই আসে না সেই সাথে সব মানুষ কে সুন্দর একটি সিষ্টেম দিয়ে দিয়েছেন যা মূলত মানুষে স্বাধীনতার জন্যই মানানসই। আমাদের এমন কোনো অনুভুতি নাই যা দিয়ে আল্লাহ্ কে বুঝতে পারি কিন্ত আল্লাহ্ বিভিন্ন সময়ে তাওহিদের বার্তাবাহক পাঠিয়ে কিছু কিছু গুন প্রতিষ্ঠিত করে দেখিয়েছেন। মুসলিম ধর্মে আল্লাহ্ এর বিভিন্ন গুনবাচক নাম পাবেন আবার সনাতন ধর্মেও ভগবানের অনেক গুন বাচক নাম পাবেন।

এই গুন গুলো প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিলো শুধু মাত্র এই মানব প্রজাতির সভ্যতার উন্নয়নের জন্য। এখনও কি আপনার বুঝতে কষ্ট হচ্ছে যে আল্লাহ্ আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং সর্বদা ন্যায় পরায়ন হতে বলেছেন? আল্লাহ্ চান এই সব গুন গুলো বান্দা নিজ চেষ্টায় নিজের মধ্যে অর্জন করে নিক। এখানে কিন্তু আল্লাহ্ মোটেও সৈরাচারি নন। আল্লাহ্ সর্ব অবস্থায় সর্বোচ্চ কল্যানকারী এবং দয়া ময়।

আমাকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন বলেই আমি আল্লাহ্ র কাছে ঋণী।

এটা আমার পক্ষ থেকে আমার আল্লাহ্ কে ভালোবাসার প্রধান বা একমাত্র কারণ বলে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি না বরং তিনি আমাকে সৃষ্টি করেও যে আমার সাথে সর্বদা ন্যায় আচরন করেন এবং আমার তিনি মঙ্গল চান এই বিশ্বাস আমার অন্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই আমি আমার মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন কে ভালোবাসি। এই কথা সব ধর্মেরই মর্ম বানী। কিন্তু আমরা তা অনুধাবন করতে শিখি নি।

আমরা যদি মানব সভ্যতার যেটুকু পর্যন্ত কল্পনা করতে পারি তার দিকে তাকই তাহলে আমাদে কাছে তাওহিদের সত্যতা স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠবে এবং এই তাওহিদ ই একমাত্র পথ। অন্য কোনো পথ নেই।

দেখুন মানব সভ্যতার গোড়া থেকে আমরা কি পেয়েছি? কখনও হিসেব করে দেখেছেন? না দেখলে বুঝে নিন যে মানুব সভ্যতার গোড়া থেকে মানুষের মাঝ থেকেই মানুষ হিসেবে তাওহিদের বার্তাবাহকগন কিছু কিছু করে আইডিয়া দিয়ে গেছেন। এক এক জন একেক রকম আইডিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আগে আইডিয়া এসেছে তারপর এক্সিকিউশন হয়েছে। আমরা যদি দেখার চেষ্টা করি যে, মোহাম্মদ এর সময় এতো আরব বাসি জান্নাতের সাধ কি করে পেলেন?

আমরা জানি কোরআন একটি গ্রন্থ যার ভিতরে আল্লাহ তার সেরা সৃষ্টি মানুষকে কিছু ম্যাসেজ দিয়ে দিয়েছেন। কোরআন যেভাবে রচিত তা একটি নির্দিষ্ট সুর এর কাব্যিক আকারের মধুর বানি।

এখন আমি শুধু মুখে মুখে বললাম পবিত্র কোরআন ই একমাত্র ধর্মিয় কিতাব যা সব কেতাবের সেরা। ধরুন আমি বিশ্বাস করেই বলছি যে পবিত্র কোরআন শরীফ ই সেরা ধর্মগ্রন্থ। এখন আমাকে বুঝতে হবে আমি যে বিশ্বাসে এই কথা বলছি, সেই বিশ্বাস কি আমার মনে জোড় করে আমি এনেছি নাকি আমি বুঝি বলেই আমি বলছি যে কোরআন সেরা। যদি আমার মনের বিশ্বাস কে জোড় করে নিয়ে এসে তারপর বলা লাগে পবিত্র কোরআন ই সেরা ধর্মীয় গ্রন্থ তাহলে আমাদের ঈমান কি আদৌ টেকশই বা আছে বলে আপনার মনে হয়?

তাওহিদ এর আল্লাহ্ কখনও আপনার মনের উপর জোড় করার চেষ্টা করেন না। জোড় করার চেষ্টা করে শয়তান।

এটুকু বুঝতে পারলে আপনি বুঝে নিবেন আপনি মুক্তির পথে আছেন। যে আল্লাহ্ আপনার মনের উপর জোড় করেন না, কিন্তু আপনাকে আল্লাহ্ তৈরি করেছেন সেই আল্লাহ্ কত মহান একবার নিজে থেকে ভেবে দেখুন।

এই কারনে মানুষ যতোই নিজেকে সভ্যতার উচ্চ শিখরে আহরন করছে বলে ভাবুক না কেনো আল্লাহ্ র করুনা ছাড়া ভালোভাবে বাচা এবং অনন্ত মুক্তি আশা করা সম্ভব কখনই হবে না। এখানেই আপনার নিজের স্বাধীনতা। আমাদের যে সব শুভ কর্ম আল্লাহ্ পছন্দ করেন তা আল্লাহ্ আমাদের জন্যই অমর করে দিয়ে যান।

তাহলে কি আল্লাহ্ আপনার অমঙ্গল চান বলুন। যিনি আপনাকে সৃষ্টি করলেন, আপনাকে সবকিছু দিলেন এবং আপনার অমঙ্গলও করছে না তাকে আপনারা না মেনে নিজেদের কর্ম কে খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন কেনো?

বর্তমান এই সময়ে পুরো বিশ্বের শান্তির জন্য একটা প্লাট ফরম খুব বেশী দরকার বলেই আমি এই মুহুর্তে আপনাদের সাথে কথা বলছি। আমাদের মিডিয়া ও সব রাষ্ট্রের শান্তির জন্য একটি বিন্দু খুব প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি আপনাদের এমন কিছু দিতে পারি না যা আপনারা অন্তত বোঝার যোগ্যতা রাখেন না। কিন্তু আপনারা যদি মানব সভ্যতার স্পেশাল ক্যারেক্টার বা তাওহিদের প্রতিনিধিদের মেনে না নেন তার পরিনামে শুধু অমঙ্গলই আসার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে।



আমাকে হয়তো আপনারা ভাবছেন আমি খুব নীতিবান বা ভালো মানুষ বলেই ভালো ভালো কথা বলে উপদেশ দিতে চাইছি। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু এমন না। আমি আমার আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের কুদরত অনেক উপরে থেকে উপলব্ধি করতে পারি। আল্লাহ্ যে সব বার্তাবাহকদের দ্বারা আপনাদেরকে তাওহিদের বানি প্রচার করিয়েছেন এবং একক স্বত্তার গুরুত্বপূর্ণ কিছু গুন বাদে বাকি যেসব গুনাবলী আল্লাহ্ আপনাদের এই সুন্দর ধরনিতে বিভিন্ন সময়ে পাঠিয়েছিলেন। তা যে ধর্মের ই হোক না কেনো।

সেই সব গুনাবলী আল্লাহ্ আমার মধ্যে প্রতিষ্ঠা করে আপনাদের আল্লাহ্ এর অবস্থান ও সত্যতা সম্পর্কে জ্ঞাত করেছেন। এজন্য আমি আপনাদের বলি যে তাওহিদের প্রধান প্রধান প্রতিনিধিদের আপনাদের মধ্য থেকেই অনেক কিছু দেখিয়ে তারপর প্রতিষ্ঠা পেতে হয়। এটা স্বাভাবিক। না হলে আপনি আপনার মিথ্যে দ্বারা মিথ্যে কে যাচাই করার বিদ্যা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিবেন। আল্লাহ্ আপনাদের সামনে তাওহিদের রাস্তা বার বার সময় উপযোগী করেই পাঠাতে সক্ষম।

যখন একজন মহাশক্তিধরের আবির্ভাব এই ধরায় ঘটে তখন পৃথিবি একটি পরিবর্তনের দিকে যায়। এই পরিবর্তন আসলে মানুষের মঙ্গল বার্তা গ্রহন করে আপন মহিমায় ছুটে চলার জন্যই হয়। কিন্ত আজও যদি আপনি নিজেদের শয়তানের ধোকার মধ্যে রেখে দেন তাহলে সেটা দুঃখ জনক ছাড়া আর কিছু না। এ কারনেই বুদ্ধ, মুসা, ইসা, মোহাম্মদ, কৃষ্ণ সহ যে সব মহাশক্তিধরা মহাশক্তির আধার নিয়ে আবির্ভাব ঘটিয়েছিলো তাদের সমসাময়িক সময়ের অনেক মানুষ কিন্তু একসাথে দ্রুত মুক্তির দিকে ছুটে চলতে সক্ষম হয়েছিলো। তা যদি আমরা টিম ওয়ার্ক দিয়ে বিবেচনা করি তাতেও অসুবিধা নাই।

আপনি যেদিক থেকে মিলাবেন ঐ দিক থেকেই আল্লাহ্ তার অস্থিত্বের প্রমান আপনাকে দিয়ে দিবেন এই বিষয়ে কোনো প্রকার সন্দেহ রাখবেন না। আমাকে এখনও না বুঝলে পৃথিবীর সর্বকালের সব প্রধান ধর্মগ্রন্থ, সব এবাদাতের সমন্নয়, আমার জীবনীকাল, আমার স্বভাব (অভ্যাস নয়) এবং আমার সব ধারনা দিয়ে বিবেচনা করে দেখুন তারপর যদি আপনার বিশ্বাস হয় তাওহিদ সত্য তখন আপনি তাওহিদের পথে যাবেন। আমি আপনাদের তাওহিদের পথকে সহয করে দেবার জন্য আত্মপ্রকাশ করেছি।

পথিত পাবন, বিপদ ভঞ্জন, মুসকিলো আছান, জগত মাঝে,
....................................................................শাহ পির চিশতি

বুদ্ধ, ইসা, মুসা, কৃষ্ণ, মোহাম্মদ যখন আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তখন তাদের তেমন কেউ কোনো প্রকার বড় ধরনের গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন বোধ তো করেই নি বরং অবজ্ঞা অবহেলা দিয়েছেন। মানুষ ভেবেছে একজন মোহাম্মদ এতো এতো অস্ত্র, এতো এতো ইকোনোমি এতো শক্তিধর গোত্র নেতাদের সাথে কিভাবে লড়াই করবে? কিন্তু পরিনাম কি হলো।

মোহাম্মদ পুরো নিখিল আরবের বুকে স্বর্গের শেরাব ঢেলে দিলেন এবং তা কোনো প্রকার বড় যুদ্ধ ছাড়াই। এর কারণ মোহাম্মদ তো কোনো পলিটিশিয়ান ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন আমার প্রানের তাওহিদের আল্লাহ্ এর একজন বার্তাবাহক যা আপনাদের আমি বার বার বলতে চাইছি এবং আপনারা আমাকেও অবজ্ঞা করে চলছেন।

আমি আত্মপ্রকাশ করেছি শুধুমাত্র এই সুন্দর পৃথিবির সুন্দর মানুষগুলোর তাওহিদের রাস্তাকে সহজ করে দেবার জন্য এবং সহযে স্বর্গের পথ দেখাবার জন্য। এখন আমাদের বুঝতে হবে বিভিন্ন রাজ শাসনের আমলে যেভাবে ধর্মের মধ্যে মিথ্যা ঢুকিয়ে সাধারণ মানুষগুলোকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে তাদের কি হবে? মানব প্রজাতি যখন খারাপের দিকে ছুটে চলে, যা মুলত শয়তানের পথ তখন ঐ পথে যেতে যেতে নিজেই আত্মগ্লানিতে ভোগে আর যখন মানুষ কল্যানের পথে নিজেকে ধাবিত করে তখন তার সব কাজই ভালো লাগে। সবখানেই আল্লাহ্ এর কুদরত দেখতে পায় এবং বুঝতে পারে বিশেষ করে যারা স্বর্গের আগাম সংবাদ নিজ অন্তর থেকে বুঝতে পারেন।



আমরা আমাদের মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে সাধারন মানুষের উপকার করতে পারি। আমরা আমাদের মিডিয়ায় পরিবেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত মিথ্যে গুলোকে যত দ্রুত সম্ভব তুলে দেবার চেষ্টা করতে পারি। আপনার যদি তাওহিদের বুঝ এসে যায় তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন যে একটি মিথ্যা বা বাজে কত বেশি ড্যঞ্জেরাস ইফেক্ট ফেলতে পারে।

আমাদের বুঝতে হবে আমরা মিথ্যে, বাজে ও যে সব প্রতিষ্ঠিত সত্য (মূলত) মিথ্যা এগুলোকে সরিয়ে ফেলার চেষ্টায় রত থাকতে হবে। মানুষের জন্য যে সব কাজ কল্যানকর, তা যদি সবাই এক সাথে ব্রত হয়ে শুরু করি দেখবেন খুব দ্রুত আমাদের সাফল্য আসতে বাধ্য।



“বান্দা যদি ভালো কাজ করার ব্রত গ্রহন করার শ্বফত নিয়ে আর খারাপ পথে না যাবার অঙ্গীকার করে থাকে। তাহলে আমরা দেখি যে, আল্লাহ্ সর্বদা ভালো কাজে সহায় হন এবং বান্দার কষ্ট বুঝে দ্রুত ভালোর দিকে ধাবিত করে জান্নাতের সুসংবাদ আপনার অন্তরের মধ্যে দিয়েই দিয়ে দেন”

এই কথাটা শুধু ধর্মিয় কথা ভাবলেই হবে না বরং এই কথা এখন প্রমানিত সত্য কথা। এবং এই কথা চিরন্তন সত্য।

আমাদের এই সহয তাওহিদের বানিকে নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করে এগোতে হবে। ধরুন একটি বাচ্চা যদি কোনো দিন “চুরি করা” শব্দ টি এবং চুরির কাজ সম্বন্ধে না জানে তাহলে সে চুরি করবে কি করে? এখন আমরা কিন্তু এই সমাজ থেকে চুরিকে হয়তো নির্মূল করতে পারবো কিন্তু নিজের অন্তরের শয়তান চিরকাল থেকে যাবে।

যখন মহাশক্তিধর কোনো তাওহিদের বার্তাবাহক আত্মপ্রকাশ ঘটান তখন শয়তান বার বার তার কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে বা আল্লাহ্ এর কাছে সুপারিশ করার জন্য বলেন। কিন্তু আল্লাহ্ কখনও তার ডিসিসন পরিবর্তন করেন না।

আমরা এই অনন্ত পৃথিবিকে কোনোদিনও শয়তান মুক্ত করতে পারবো না। তারমানে এই নয় যে আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে অক্ষম। আমরা অবশ্যই চির স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি।

আমরা যদি আমাদের মিডিয়ায় সব ভালো কিছু দিয়েই শুধু রাঙাই তাহলে খারাপটা এমনিতেই কমে যাবে।

আপনাদের বুঝতে হবে আল্লাহ্ আমাদের বানিয়েছেন মানে আল্লাহ্ সত্য ও সুন্দরের পক্ষে আর শয়তান অসুন্দর বা খারাপ। শয়তান আল্লাহ্ এর ডিসিসন দ্বারা প্রাপ্য শাস্তি ভোগ করছে। আল্লাহ্ স্রষ্টা আর শয়তান সৃষ্টি। তাই শয়তান (শয়তান বলতে মূলত অন্তরের যে সব অনুভুতি আমাদের মন্দের দিকে নিয়ে যেতে পারে) কে যদি আমারা প্রশ্রয় না দেই তাহলে শয়তান কিন্ত নিজে থেকে বিরাট কিছু ঘটাবার ক্ষমতা রাখে না।

আর আমরা যদি আমাদের ভালোর দিকে পরিবেশন করতে শিখি তাহলে দেখবেন একটি ভালো কজের জন্য বেড়িয়ে অনেক গুলো ভালো কাজ আমার দ্রুত করতে পারছি। যা আমি আমার জীবনের মধ্য দিয়েই আপনাদের দেখাতে চেয়েছি এবং করে দেখিয়েছি।

এখন আপনার প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, ধর্মের সাধে রাজনীতি বা রাজা রাদশাদের জড়াচ্ছি কেনো? এখন পর্যন্ত যে সব মহাশক্তিধর তাওহিদের বার্তাবাহকগণ এসেছেন- যেমন ধরুনঃ আব্রাহাম, মুসা, মোহাম্মদ, জোসেফ, কৃষ্ণ, রাম এরা কিন্তু একটি রাষ্ট্রিয় শাসন বা রাজ্য শানসনের সমান্তি ঘটানো পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়েছিলো। এছাড়া তাদের হাতে অন্য কোনো পথ খোলা ছিলো না। আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন নমনুদ, ফেরাউন, আবু জাহেল, কংস, রাবন এদের কিন্তু পূর্ণইমাদার না বললেও তারা তাওহিদ কে বিশ্বাস করতেন এবং এক স্রষ্টার আরাধোনা করতেন।

তারপরও তাদের পতন হলো কেনো? ঐ সব ইতিহাসের শিক্ষাদাতা ভিলেন দের আল্লাহ্ তার প্রেরিত বার্তাবাহকদের সামনে নিয়ে এসে তাওহিদের রাস্তাকে খোলা রাখার প্রক্রিয়ায় হেল্প করেছেন। এই সব ইতিহাসের শিক্ষাদাতা ভিলেন দের প্রধান অপরাধ ছিলো তারা নিজেদের খোদা বলে দাবি করতেন। বর্তমান এই যুগেও এই কথা চিরন্তন। আমরা যদি ডিজিটাল শাসন পদ্ধতির অনুভুতি দেখি আর তাওহিদে অবিশ্বাসি হয়ে পরি এবং নিজেদের খোদা বলে দাবি করি তখন পতন আসতে বাধ্য। শুধু পতনই না সেই সাথে ঐ সব মানুষ যারা ইতিহাসের শিক্ষাদাতা ভিলেন তাদের কিন্তু শয়তানের সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

যার মানে ঐ সব শাসকগন চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নাম বা নরকে অবস্থান নিয়ে নিয়েছেন। এবং তারা তখন বুঝতে পারেন নি যে এই শাস্তি যে কত বেশী মারাত্বক ও ভয়াভহ। এজন্য আমাদের সবসময় মন্দ থেকে বিরত থাকা উচিত। রাষ্ট্রিয় ব্যাবস্থায় যিনি প্রধান থাকবেন তার মধ্য অবশ্যই ন্যায় থাকতে হবে নতুবা সে শাসন করার যোগ্য না। শাসন ভার ভুব বেশি সেনসেটিভ ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।

এখানে সামান্য একটি কমান্ডের ভুলের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন ঐ সব জালিম রাষ্ট্রপ্রধান, রাজ্য প্রধান বা গোত্রপ্রধানদের দ্বারা আপনাদের কে জুলুমকারীর পতন দেখাতে চেয়েছেন। পরবর্তিতে যে সব মানুষ নিরিহ মানুষ কে অত্যাচার করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছেন তারা এই ধর্মের সাথে অত্যাচারি শাসকের পতন টি মেনে নিতে পারেন নি বলে নিজেদের কিছু বাজে আইডিয়া প্রবেশ করিয়ে নিজেদের সিংহাসন পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিলেন।

আর একটু পরিষ্কার করে বলি, শুনুন আমি আপনাদের মাঝে আত্মপ্রকাশ করে মনে করছি এই একাবিশং শতাব্দিতে সভ্যতার এই যুগে একটি আপোস মিমাংসার মাধ্যমে পুরো পৃথিবী থেকে অশান্তি দুর করা যাবে। এবঙ এখনও তাই আশা করছি।

তাওহিদের বার্তাবাহকগন কখনও নিজের ইচ্ছায় ক্ষমতায় যেতে চান না। আমিও চাই না। কিন্তু আমরা যদি আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর সমস্যা গুলো সহজ ভাবে মিটানোর মতো মানুষ পাই তাহলে তার কাছ থেকে কেনো আইডিয়া নেবো না? আর সেই আইডিয়া যদি আমার কাছে ভালো মনে হয় এবং নিজে থেকে এর ফল উপভোগ করতে পারি তাহলে কেনো সেই আইডিয়া অন্যদের কাছে প্রচার করবো না? এর মানে তো এই নয় যে হানাহানি, হয়রানি করে আমার উপর আপনারা অত্যাচার করবেন?

আমরা আজ নিজেদের এই সভ্যতা নিয়ে বড়াই করছি। কিন্তু এখনও সেই সভ্যতার আসল মানে বুঝছি না। আমরা সভ্যতাকে শুধু বাইরেই দেখি ভিতরের সভ্যতাকে দেখি না।

মোহাম্মদ কোরআন এবং নিজের বন্ধু সুলভ বচনভঙ্গি এর মাধ্যমে মানুষের অন্তরের সভ্যতা দিয়েছেন। এভাবে সব মহাপুরুষগণই আমাদের আইডিয়া দিয়েছেন এবং তার পর বাইরের সভ্যতা কৃয়েট হয়েছে। এখনও কি আপনি অস্বীকার করবেন যে, তাওহিদ সত্য এবং আল্লাহ্ একমাত্র উপাস্য?

এখন দেখুন মহামানব বলে আমরা যাদের জানি ও মানি তারা আপনাদের কি দিয়েছেন? মহামানবদের প্রধান দান হলো বানী। এই বানী এমন বানী যা অন্তরে গেথে যায়। এবং এই বানী মানুষের কর্মকে প্রভাবিত করে বলেই আমরা এই সভ্যতা পেয়েছি।



একটি মানুষ দেহধারী অবস্থায় সারা জীবনে কি পায়? শুধু মাত্র কিছু অনুভুতি এর ব্যবহার করার নামই হলো জীবন। এখন যদি আপনি নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করার খেলার ছলে জিজ্ঞাস করে দেখুন যে, এই অনুভুতি কিভাবে আসে?

এর উত্তরের মধ্য থেকেই আপনি কিন্তু স্বর্গ বা বেহেশতের খুব সামান্য একটি নমুনা দিয়ে দিতে পারবেন। এবং সলভড করে দেখাতে পারবেন। তা হলো একটি গান বা কোনো বিশেষ উক্তি যা মন থেকে প্রবল আবেগের চাওয়া থেকে উৎপত্তি হয়েছিলো। একসময় আপনি দেখলেন আপনার জীবনে এই মূর্হুর্তের সাথে সাথে ঐ বানীর মিল খুঁজে পাচ্ছেন।

এবং এই যে ভালো বানী টি আপনি পেয়েছিলেন তার প্রভাব কিন্ত আপনার উপর কোনো না কোনো ভাবে পরবে যদি আপনি মঙ্গলের পথে থাকতে জানেন। এখানে কিন্তু মানুষ নিজ থেকেই তার নতুন নতুন অনুভুতি তৈরি করে মনের সভ্যতাকে বাড়িয়ে তুলেছে তো বটেই সেই সাথে বাইড়ের সভ্যতাকেও বিশাল ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবার তাগিদ অন্তর থেকে অনুভব করে চলছে। এই যে অনুভুতিগুলো আপনি জীবিত অবস্থায় পেয়ে যচ্ছেন তা কি আপনাকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয় না যে জন্মান্তরবাদ/পরিবর্তনবাদ/রূপান্তরবাদ সত্য। এরপরও কি আপনি শয়তানের পথে থাকতে পারেন বন্ধু? এখনও কি আপনি বিশ্বাস করতে পারছেন না যে আল্লাহ্ এক এবং তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নাই।
প্রবল শক্তি নিয়ে যে সব তাওহিদের দাওয়াতদাতা স্রষ্ট্রার বার্তাবাহকগন আবির্ভুত হন তারা কিন্তু আপনাদের মধ্যকার ভালো বানিগুলোকেই প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে যান।

আমি আপনাদের মাঝে আত্মপ্রকাশ করেছি কিন্তু অনেক গুলো মাধ্যম কে একসাথে এক জায়গায় ধরে নিয়ে এসে তারপর আপনাদের মাঝে পরিবেশন করেছি। এখানে আমি নজরুলকে প্রচন্ড বেগে উপস্থাপন করেছি। নজরুল এমন একজন পারসন যে শুধু মানব কল্যানে ও সভ্যতায় বিশাল বড় একটি মোর দিয়ে গিয়েছেন। এটা হলো স্রষ্ট্রার ন্যায়বিচার। আল্লাহ্ আপনার অনুভুতি ও সব কাজ সম্পর্কে সবসময় জ্ঞাত থাকেন তা আপনি যে বিষয়ই আপনাকে ম্যাচিউরড মনে করেন না কেনো।

আশা করি আমরা কিছুটা হলেও বেহেশত পথে এগিয়ে যাবার ব্রত গ্রহন করার তাগিদ অনুভব করছি। আমি আপনাদের কোনো প্রকার জোড় জবরদস্তি করার পক্ষ পাতি না। আমি শুধু সত্য, সুন্দর ও স্থায়ী শান্তির পক্ষেই কথা বলছি। আবার এমন কিছু বলছি না যা আপনাদের মধ্যে ছিলো না। আমি যা বলি তা আমার জীবনের মধ্য থেকেই বলি।

এটা স্রষ্টার সিস্টেম। আমি আফ্রিকার অনেক দেশের প্রেসিডেন্টের নাম জানি না বলে বলতে পারি না। তাই বলে যে আমি তাদের প্রতি টান অনুভব করি না তা কিন্তু নয়।

আমি চাচ্ছি এই পৃথিবীকে খুব দ্রুত শান্তিপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে। আপনাদের পৃথিবীর সভ্যতা যে পর্যায়ে উপনিত হয়েছিলো বলে আপনারা মনে করেন আসলে কিন্ত আপনারা খুব খারাপ ও ধ্বংসাত্মক একটি পথের দিকে এগোচ্ছিলেন।

কোনোদিনও ভাববেন না এই “আসিফ” আপনাদের পৃথিবীকে রক্ষা করেছে বরং এই “আসিফ” শুধু মাত্র একটি তাওহিদের পথের কথা বলে গেছে মাত্র। আপনারা নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে, আল্লাহ্ কত বেশী করুনাময় এবং দয়াশীল। আপনি নিজে নিজেকে জন্ম দেন নি তাই আপনার দেহ সারাজনম থাকবে এমন কোনো কথা নেই। সুতারং আপনি কি নিয়ে বড়াই করে তাওহিদের বার্তাবাহকদের সাথে লড়াই বা যুদ্ধ করার দুঃসাহস দেখাবেন। তারপরও মনে রাখবেন “আসিফ” নিজের ব্যাপারে সর্বদা ক্ষমাশীল কিন্তু এই “আসিফ” কে যে একবার পরান ভরে চাইবে তার কোনো শুভ ইচ্ছার অসুবিধা হলে আপনারা এর ফল দেখতে পাবেন।



বন্ধু! আজ আমাদের বিশ্ব মিডিয়াকে ঢেলে রঙ্গীন সুন্দর করে সাজাবার সময় এসেছে। আমরা যদি প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ মিডিয়ার দিকে খেয়াল করি তাহলে দেখতে পাবো যে, আমাদের রিপোটিং স্টাইলে অনেক সমস্যা আছে। আমরা যদি একটি সমস্যা নিয়ে রিপোর্ট করার শেষ অংশে একটি কনকুলেশন টেনে ম্যাসেজ দিতে পারি তাহলে সমাজ থেকে অন্যায় কমে যাবে। একটি রিপোর্ট প্রেজেন্ট করার সময় এমন ভাবে প্রেজেন্ট করুন যাতে মানুষ মন্দ কাজে উৎসাহিত না হয়।

যেমন ধরুন একজন কুপথে অনেক তাড়াতাড়ি অনেক টাকা কামিয়ে মিডিয়ার নিউজ হলো।

এর মধ্যে কিন্তু বাজে শিক্ষা বিস্তার হতে পারে। সমাজের অনেক মানুষ যারা মেন্টাল ভাবে পুর তারা কিন্তু সব কিছু একবারে পেতে চায়। বা না বুঝেই পেতে চায়। এই সব মানুষ হঠাৎ কুপথে টাকাওয়ালা মানুষ দেখলে নিজেরা খারাপের দিকে যাবার জন্য প্রভাবিত হয়। যে সব নিউজ আমাদের সমাজে পজেটিভ ইফেক্টের চেয়ে নেগেটিভ ইফেক্ট বেশী ফেলবে তা আমরা প্রচার করবো কোন দুঃখে।



নিশ্চই আপনারা ঈশপ এর গল্প গুলো দেখেছেন। এখানে ঈশপ এর প্রতিটা গল্পের মধ্যেই একটা করে সত্য ও সুন্দরের ম্যাসেজ দেয়া আছে। এখন এখানে ঈশপ এর চিন্তাধারা পরিলক্ষিত হয়। ঈশপ এর ইচ্ছা ছিলো ভালো কিছু দেবার তাই তিনি পেরেছেন। আপনিও যদি ভালো কিছু দিতে চান।

এবং কোনো প্রতিবন্ধকতার তোয়াক্কা না করেন তাহলে আপনি যে পেশা বা কর্মেরই মানুষ হন না কেনো আপনি আপনাকে মুক্তির পথে নিয়ে গিয়ে নিজেদের অস্তিত্বকে অমর করে রাখতে পারবেন। এখানেই মানুষের জয় জয়কার।

আশাকরি আপনারা আমার কথা বুঝে নিয়ে নিজেদের ও মানব জাতির কল্যান ও শান্তির জন্য নিজেদের স্ব স্ব অবস্থানে থেকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে শিখে যাবেন। এবং একটি পয়েন্টে আমরা সবাই এক হয়ে এই পৃথিবীকে স্বর্গ বানিয়ে ছাড়বো। এই হোক আমাদের অন্তরের চাওয়া।

এই হোক আমাদের হৃদয়ের দাবি। আল্লাহ্ অবশ্যই শান্তির পক্ষে অবস্থান করেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।