আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুট করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়া ভুল ছিল: কেজরিওয়াল

তাড়াহুড়ো করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে ভুল করেছেন বলে জানিয়েছেন আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভারতের অর্থনীতিবিষয়ক পত্রিকা ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কেজরিওয়াল এসব কথা বলেছেন।

ওই সাক্ষাত্কারে কেজরিওয়াল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা নিয়ে তাঁর কোনো আফসোস নেই। তবে এ নিয়ে জনগণের সঙ্গে এএপির এক ধরনের ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। কেন কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন, তা জনগণকে আরও সময় নিয়ে বোঝানো প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।


পাঞ্জাবের অমৃতসরে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পথে ইকোনমিক টাইমসকে ওই সাক্ষাত্কার দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে সাক্ষাত্কারটি।
লোকসভা নির্বাচনে এএপি কয়টি আসন পেতে পারে, জানতে চাইলে কেজরিওয়াল বলেন, পার্লামেন্টে কত আসন হলো, তা তাঁদের দলের বিবেচনা করার বিষয় নয়। এএপি এমন কোনো আসনে জিততে চায়, যা রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে। যেমন আমেথি বা বারানসি, যা কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী বা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা নরেন্দ্র মোদির একচেটিয়া আসন।

তিনি আরও বলেন, মোদি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী হবেন না, এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত সঠিক না ভুল, জানতে চাইলে কেজরিওয়াল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর কোনো অনুতাপ নেই। তবে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের সঙ্গে এএপির ভুল-বোঝাবুঝির ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি যে আমরা কেন পদত্যাগ করেছি। আর সে সুযোগ নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস তাদের বুঝিয়েছে, আমরা দায়িত্ব থেকে পালিয়েছি।

আমাদের যেটা উচিত ছিল সেটা হলো, কিছুদিন অপেক্ষা করা। জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বোঝানো যে, নৈতিক কারণে আমরা পদত্যাগ করেছি। তাহলে এ ধরনের ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ হতো না। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। ’
আম আদমি পার্টি মধ্যবিত্তের সমর্থন হারিয়েছে বলে মনে করেন কি না, জানতে চাইলে কেজরিওয়াল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে এএপির সরে দাঁড়ানোর ঘটনায় দুই ধরনের মানুষ হতাশ।

এক দল আছেন যাঁরা মনে করতেন ওই ধরনের একটি পদে থেকে কাজ করলে আমরা অনেক বেশি ভোট পেতাম। আর একটি গোষ্ঠী আছে যারা কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ও নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতে চেয়েছিলেন। কেজরিওয়াল সরে দাঁড়ানোতে তাঁদের অনেকেই রেগে যান। এ ধরনের সমর্থনকারীদের আর ফেরানোর সুযোগ নেই। তবে তারা সংখ্যায় কমই।


মোদির স্ত্রীর ব্যাপারে জানতে চাইলে কেজরিওয়াল বলেন, ‘এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমি অবাক হয়েছি যে মোদি কেন তাঁর জীবনের এ ঘটনাটি গোপন করে গেলেন?’
গতকাল বৃহস্পতিবার গুজরাটের বরোদা আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময় স্ত্রীর নামের জায়গায় যশোদাবেনের নাম লেখেন। যশোদাবেনের ভাই কমলেশ মোদি বলেন, ‘যশোদাবেনের এত দিনের প্রার্থনার জবাব মিলেছে, মোদি প্রকাশ্যে তাঁকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এতে আমরা অনেক খুশি। মোদি প্রধানমন্ত্রী হোন, এখন এ প্রার্থনাই করি।


কমলেশ বলেন, যশোদাবেনকে ৪৫ বছর আগে ছেড়ে চলে যান মোদি। পুনরায় বিয়ের জন্য যশোদাবেনকে কোনোভাবেই রাজি করানো যায়নি।
১৯৬৮ সালে তরুণ বয়সে যশোদাবেনক বিয়ে করেন মোদি। বিয়ের তিন বছর পর তাঁকে ছেড়ে চলে যান তিনি। এর পর থেকে তিনি তাঁর ভাই কমলেশ ও অশোকের সঙ্গে উনঝা ও ব্রাহ্মণবাদা গ্রামে বাস করছেন।

প্রথমে অস্বীকার করলেও মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময় মোদি স্ত্রী যশোদাবেনের কথা স্বীকার করেন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।