আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক সপ্তাহেই দুটো ‘ম্যারাডোনা গোল’

হাত দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে গোল! জোচ্চুরি ছাড়া আর কি-ই বা বলা যেতে পারে। ফুটবল বিশ্বে সচরাচর ঘটে না এমন ঘটনা। কিন্তু ঘটলেই মনে পড়ে যায় ডিয়েগো ম্যারাডোনার কথা। প্রতারণাটিকে যে এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিই পরিণত করেছিলেন মহান কীর্তিতে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই গোলের পেছনে হাতটা নাকি ছিল ঈশ্বরের।

গোলটারও নাম হয়ে গিয়েছিল ‘হ্যান্ড অব গড’ গোল। কাকতালীয় বলতে পারেন, ফুটবল বিশ্বের আরেকটি আলোচিত গোলের জন্মও হয়েছিল সেই ম্যাচেই। যে গোলটিকে বলা হয় ‘শতাব্দীর সেরা গোল’।
মজার ব্যাপার হলো, ম্যারাডোনার এই দুই গোলেরই অনুরূপ দুই গোল হলো মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে। ম্যারাডোনার সেই দুই গোলের সঙ্গে তুলনা চলে না কিছুতেই।

তবে ফুটবল মাঠে যত দিন একই রকম দেখতে গোল হবে, ততদিনই উঠে আসবে ম্যারাডোনার প্রসঙ্গটি।
হাত দিয়ে বল জালে ঠেলার ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডে। এফএ কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি ও নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের অনূর্ধ্ব-১৮ দল। ফ্রি-কিক থেকে ভেসে আসা বল হাত দিয়ে জালে পাঠিয়েছিলেন নিউক্যাসেলের অলিভার কেমেন। বল জালে যাওয়া মাত্রই সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠেন নিউক্যাসেলের এই স্ট্রাইকার।

চেলসির খেলোয়াড়েরা হ্যান্ডবলের দাবি জানালেও রেফারি তাতে সাড়া দেননি। রিপ্লেতে পরিষ্কারভাবেই দেখা গেছে এটি হ্যান্ডবলই ছিল। কিন্তু নিউক্যাসেলের আনুষ্ঠানিক ম্যাচ রিপোর্টেও সেটার কোনো উল্লেখ ছিল না।
১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা সেই ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের প্রতারণাটির কথা ভুলিয়ে দিতে পেরেছিলেন। কারণ, চার মিনিট বাদেই তিনি যে গোলটি করেছিলেন, সেটা পেয়েছে শতাব্দীর সেরা গোলের সম্মান।

তাঁর দল আর্জেন্টিনাও সেই আসরে জিতেছিল বিশ্বকাপ শিরোপা। কিন্তু নিউক্যাসেল ও চেলসির এই ম্যাচে কেমেনের দল শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে ৩-২ গোলে। ছিটকে পড়েছে শিরোপা জয়ের লড়াই থেকেও। প্রতারণামূলক গোল হজম করেও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেলসি।
ম্যারাডোনার সেই শতাব্দী-সেরা গোলের স্মৃতিও ফিরে এসেছিল স্পেনের চতুর্থ বিভাগের একটি ম্যাচে।

মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোল করেছিলেন কুইক কুবাস। তাঁর দল আরোসাও সেই ম্যাচে জিতেছিল ২-১ গোলে।
এই দুটো গোলের মধ্যে হাত দিয়ে গোলটার সঙ্গেই ম্যারাডোনার সেই গোল বেশি মেলে। এমনকি এমন একটা গোলের পর গোলদাতার উদযাপনও যেন ম্যারাডোনার সেই উদযাপনকে মনে করিয়ে দেয়। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি পরে স্বীকার করেছিলেন, তাঁর উদযাপনও বড় ভূমিকা রেখেছিল গোলটিকে রেফারির চোখে বৈধ বানাতে।

সেই গোল দুটো দেখুন:

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।