যশোর: বাবা-মার সাথে দুই মেয়ে নিবিষ্টমনে ছবি আঁকছে। দৃষ্টিগ্রাহ্য এই বিষয়টি যে কারোরই মনে গেঁথে থাকার কথা। শুধু তারাই নয়, আরও কত শিল্পী এসেছেন চারুপীঠে!
শুক্রবার দিনভর এঁকেছেন নিজেদের মনের মত করে। কেননা তাদের এই উৎসবকে মুখর করতে সব চেষ্টাই করেছেন অধ্যক্ষ মাহবুব জামাল শামীম। কীভাবে? গোটা বোশেখ মাস ধরেই চলবে এই ছবির প্রদর্শনী- জানালেন তিনি।
দুদিন পর নতুন বছর; পহেলা বোশেখ ১৪২১! তাকে বরণ করতে পুরো যশোর প্রস্তুত। তারই মাঝে দূরে, নানা কাজের ভীড়ে যারা ব্যস্ত সময় পার করছেন, তাদের মানসিক প্রশান্তি এনে দিয়েছে এই উৎসব। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘ বৈশাখী আঁকিয়ে উৎসব ১৪২০। ’
বিদয়িী বছরকে রাঙিয়ে দিতে তাই চারূপীঠ অঙ্গনে আজ বসে প্রাণের মেলা। যেখানে পৌঢ়, তরুণ আর শিশু-কিশোরদের রঙ-তুলতে বর্ণিল হয় গোটা পরিবেশ।
এখানে ছবি এঁকেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চাকুরে-সবাই। যাদের মধ্যে স¤প্রতি ফ্রান্সের ভেনিসে আমন্ত্রণ পেয়ে যাওয়া ৫ শিশুও ছিল। তাদের আঁকা ৩০টি শিল্পকর্ম নিয়েই চলবে প্রদর্শনী।
আবেগাপ্লুত চারুপীঠ অধ্যক্ষ মাহবুব জামাল শামীম বললেন, আমাদের প্রজন্মপরম্পরায় শিল্পী। ছোট কিংবা বড় নয়, সবাই শিল্পী।
একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে মানুষের সুতীব্র ভালবাসায়। সেই ভালবাসা আশাব্যঞ্জক। যা গড়ে তুলেছে শিল্পীদের। একজন শিল্পীর চিত্রপ্রদর্শনী- সে তো বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজনের চেয়েও কঠিন। কিন্তু তা বাস্তবায়নে চারূপীঠ নিরলসভাবে কাজ করছে।
চারুপীঠ আর্ট অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টারের সম্পাদক মামুনুর রশীদ বলেন, আজ চারুপীঠের শ্যামল চত্বরে তিন প্রজন্মের শিল্পীদের মিলনমেলা বসেছে। যারা এখন অন্যান্য পেশার সাথে মিশে গেছেন, তারাও এসেছেন আত্মার আহ্বানে। সেইসব শিল্পীদের আঁকা কর্মগুলো তাই মাসব্যাপী প্রদর্শন করা হবে এই গ্যালারিতে। যাতে সবাই উপভোগ করতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।