আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কামড়-কাণ্ড: শাস্তি হচ্ছে সুয়ারেজের

সেই পুরোনো বিতর্ক। আবারও প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের কাঁধে কামড় বসিয়ে দিলেন লুইস সুয়ারেজ। এবার উরুগুয়ে ফরোয়ার্ডের আক্রমণের শিকার ইতালির ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েলিনি। বিশ্বকাপের উন্মাদনাকেও যেন ছাড়িয়ে গেছে গত রাতের এই কামড়-কাণ্ড। প্রশ্ন হচ্ছে, কী শাস্তি অপেক্ষা করছে সুয়ারেজের জন্য?

সুয়ারেজ শাস্তি পাচ্ছেন, বলার অপেক্ষা রাখে না।

আর সেটা অবশ্যই দীর্ঘ সময়ের নিষেধাজ্ঞা। টিভি ক্যামরায় স্পষ্ট দেখা গেছে, অকারণে কিয়েলিনির কাঁধে কামড় বসিয়ে দিলেন সুয়ারেজ। তাত্ক্ষণিকভাবেই লাল কার্ড দেখতে পারতেন তিনি। কিন্তু ঘটনাটা রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। কিয়েলিনি তাঁর কাঁধে কামড়ের দাগ দেখালেও কোনো ব্যবস্থা নেননি রেফারি।

তবে ঘটনাটা সেখানেই থামেনি। এরই মধ্যে ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, আজ বুধবার ব্রাসিলিয়ার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটার মধ্যে সুয়ারেজ ও উরুগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে এ ঘটনায় তাদের অবস্থান জানাতে বলা হয়েছে। নিজেদের অবস্থানের পক্ষে কোনো প্রমাণ থাকলে সেটাও জমা দিতে বলা হয়েছে।

ফিফার শৃঙ্খলা আইনে বলা আছে, কোনো খেলোয়াড়কে আঘাত করলে সর্বোচ্চ ২৪ ম্যাচ বা দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।

তবে বিশ্বকাপে এ ধরনের ঘটনায় এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ আট ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। সেটা পেয়েছেন ইতালির মাওরো টাসোত্তি, ১৯৯৪ বিশ্বকাপে কনুই দিয়ে স্প্যানিশ ফুটবলার লুইস এনরিকেকে আঘাত করে।

এর চেয়ে বড় শাস্তির অভিজ্ঞতা অবশ্য সুয়ারেজের নিজেরই আছে। গত বছরের এপ্রিলে চেলসি ডিফেন্ডার ইভানোভিচের হাতে কামড় দেওয়ায় তাঁকে ১০ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ২০১০ সালে অ্যাজাক্সের হয়ে খেলার সময় পিএসভির অটোম্যান বাক্কালকে কামড়ে দেওয়ায় সাত ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন উরুগুয়ের তারকা এই ফরোয়ার্ড।



সুয়ারেজ যে শাস্তি পাচ্ছেন, ফিফার নির্বাহী কমিটির সদস্য জিম বয়েসের কথাতেও সেটা স্পষ্ট। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘ঘটনাটা টেলিভিশনে বেশ কয়েকবার দেখেছি আমি। কোনো সন্দেহ নেই, সুয়ারেজ দারুণ একজন খেলোয়াড়। কিন্তু আবারও তিনি সমালোচনার দুয়ার খুলে দিলেন। ফিফা অবশ্যই বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

’ গত রাতের কামড়-কাণ্ডে সুয়ারেজ বড় শাস্তি না পেলে সেটাই হবে বিস্ময়।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।