আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপের সাথে আফ্রিকার উত্তরের বেশ কয়েকটি দেশ দখল করে নিয়েছিল নাৎসী জার্মান ও ইটালীয়ানরা। আর শত বর্ষ ধরে বৃটিশ ও ফরাসীদের উপনিবেশতো ছিলই(কমনওয়েলথে মিশর, আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া, মরোক্কো ফ্রান্সের অধীন)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যেন শুধু নাৎসীদের বিরুদ্ধে নয় সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ, ফরাসী, স্পেনিশ, ডাচদের বিরুদ্ধেও তাদের উপনিবেশে থাকা রাষ্ট্র ও জাতিসমূহ নিজেদের স্বাধীনতার বিষয়ে আরো উদ্যোগী হয়। যেমন আমাদের উপমহাদেশ। ঠিক একই স্বপ্ন দেখেছিল ফরাসী উপনিবেশে থাকা আলজেরিয়া।
ফ্রান্স তখন নাৎসী জার্মানীর দখলে। নিজেরা প্রতিরোধ(গেরিলা যুদ্ধ) করলেও তাদের একার পক্ষে মূক্ত করা সম্ভবপর ছিল না। তাই যুদ্ধ সহজ করতে আমেরিকান-বৃটিশ মিত্রবাহিনীর সহায়তা ছাড়াও তাদের উপনিবেশে থাকা আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া, মরোক্কো, সেনেগাল ইত্যাদি আফ্রিকান দেশের তরুণ, যুবক সহ বহু ব্যাক্তিকে সেচ্ছাসেবী ও সৈন্য হিসেবে যুদ্ধের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানে যেহেতু Indigènes তথা Days of Glory (2006) আলোচনা করছি তাই এই ছবি দেখে সেই সময়কার চিত্র খানিকটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো ধরা পরে। যখন এই সৈন্যদের রিক্রুট করা শুরু হয় তখন হয় যে এখন পরিস্থিতি ভয়াবহ যদি ফরাসী উপনিবেশ হতে আমরা মূক্তি চাই তবে তার আগে ফ্রান্সকে নাৎসীদের কবল হতে মূক্ত করতে হবে।
তাই এখন ফ্রান্সও আমাদের মা! আমরা আমাদের ফরাসী মাকে মূক্ত করব। এই অনুপ্রেরণায় বহু তরুণ ও যুবক সহ সামর্থ্য আলজেরিয়ানরা সৈনিকের খাতায় নাম লিখায়। তাদের জীবন-মরণ বাজি তারপরেও ফরাসী উর্দ্ধতন সেনা কর্মকর্তাদের মনিব সুলভ আচরণ, খাওয়া দাওয়া সহ বিভিন্ন বৈষম্য ফুটে উঠেছে এই মূভিতে। এই ছবির নায়ক Sami Bouajila যে Abdel Kader চরিত্রে থাকে তার অভিনয় দারুণ হয়েছে। এই ছবিটির লেখকদ্বয় হল Rachid Bouchareb, Olivier Lorelle।
আর ছবির পরিচালক এই লেখকদেরই একজন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপের সাথে আফ্রিকার উত্তরের বেশ কয়েকটি দেশ দখল করে নিয়েছিল নাৎসী জার্মান ও ইটালীয়ানরা। আর শত বর্ষ ধরে বৃটিশ ও ফরাসীদের উপনিবেশতো ছিলই(কমনওয়েলথে মিশর, আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া, মরোক্কো ফ্রান্সের অধীন)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যেন শুধু নাৎসীদের বিরুদ্ধে নয় সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ, ফরাসী, স্পেনিশ, ডাচদের বিরুদ্ধেও তাদের উপনিবেশে থাকা রাষ্ট্র ও জাতিসমূহ নিজেদের স্বাধীনতার বিষয়ে আরো উদ্যোগী হয়। যেমন আমাদের উপমহাদেশ। ঠিক একই স্বপ্ন দেখেছিল ফরাসী উপনিবেশে থাকা আলজেরিয়া।
ফ্রান্স তখন নাৎসী জার্মানীর দখলে। নিজেরা প্রতিরোধ(গেরিলা যুদ্ধ) করলেও তাদের একার পক্ষে মূক্ত করা সম্ভবপর ছিল না। তাই যুদ্ধ সহজ করতে আমেরিকান-বৃটিশ মিত্রবাহিনীর সহায়তা ছাড়াও তাদের উপনিবেশে থাকা আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া, মরোক্কো, সেনেগাল ইত্যাদি আফ্রিকান দেশের তরুণ, যুবক সহ বহু ব্যাক্তিকে সেচ্ছাসেবী ও সৈন্য হিসেবে যুদ্ধের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানে যেহেতু Indigènes তথা Days of Glory (2006) আলোচনা করছি তাই এই ছবি দেখে সেই সময়কার চিত্র খানিকটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো ধরা পরে। যখন এই সৈন্যদের রিক্রুট করা শুরু হয় তখন হয় যে এখন পরিস্থিতি ভয়াবহ যদি ফরাসী উপনিবেশ হতে আমরা মূক্তি চাই তবে তার আগে ফ্রান্সকে নাৎসীদের কবল হতে মূক্ত করতে হবে।
তাই এখন ফ্রান্সও আমাদের মা! আমরা আমাদের ফরাসী মাকে মূক্ত করব। এই অনুপ্রেরণায় বহু তরুণ ও যুবক সহ সামর্থ্য আলজেরিয়ানরা সৈনিকের খাতায় নাম লিখায়। তাদের জীবন-মরণ বাজি তারপরেও ফরাসী উর্দ্ধতন সেনা কর্মকর্তাদের মনিব সুলভ আচরণ, খাওয়া দাওয়া সহ বিভিন্ন বৈষম্য ফুটে উঠেছে এই মূভিতে। এই ছবির নায়ক Sami Bouajila যে Abdel Kader চরিত্রে থাকে তার অভিনয় দারুণ হয়েছে। এই ছবিটির লেখকদ্বয় হল Rachid Bouchareb, Olivier Lorelle।
আর ছবির পরিচালক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপের সাথে আফ্রিকার উত্তরের বেশ কয়েকটি দেশ দখল করে নিয়েছিল নাৎসী জার্মান ও ইটালীয়ানরা। আর শত বর্ষ ধরে বৃটিশ ও ফরাসীদের উপনিবেশতো ছিলই(কমনওয়েলথে মিশর, আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া, মরোক্কো ফ্রান্সের অধীন)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যেন শুধু নাৎসীদের বিরুদ্ধে নয় সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ, ফরাসী, স্পেনিশ, ডাচদের বিরুদ্ধেও তাদের উপনিবেশে থাকা রাষ্ট্র ও জাতিসমূহ নিজেদের স্বাধীনতার বিষয়ে আরো উদ্যোগী হয়। যেমন আমাদের উপমহাদেশ। ঠিক একই স্বপ্ন দেখেছিল ফরাসী উপনিবেশে থাকা আলজেরিয়া।
ফ্রান্স তখন নাৎসী জার্মানীর দখলে। নিজেরা প্রতিরোধ(গেরিলা যুদ্ধ) করলেও তাদের একার পক্ষে মূক্ত করা সম্ভবপর ছিল না। তাই যুদ্ধ সহজ করতে আমেরিকান-বৃটিশ মিত্রবাহিনীর সহায়তা ছাড়াও তাদের উপনিবেশে থাকা আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া, মরোক্কো, সেনেগাল ইত্যাদি আফ্রিকান দেশের তরুণ, যুবক সহ বহু ব্যাক্তিকে সেচ্ছাসেবী ও সৈন্য হিসেবে যুদ্ধের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানে যেহেতু Indigènes তথা Days of Glory (2006) আলোচনা করছি তাই এই ছবি দেখে সেই সময়কার চিত্র খানিকটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো ধরা পরে। যখন এই সৈন্যদের রিক্রুট করা শুরু হয় তখন হয় যে এখন পরিস্থিতি ভয়াবহ যদি ফরাসী উপনিবেশ হতে আমরা মূক্তি চাই তবে তার আগে ফ্রান্সকে নাৎসীদের কবল হতে মূক্ত করতে হবে।
তাই এখন ফ্রান্সও আমাদের মা! আমরা আমাদের ফরাসী মাকে মূক্ত করব। এই অনুপ্রেরণায় বহু তরুণ ও যুবক সহ সামর্থ্য আলজেরিয়ানরা সৈনিকের খাতায় নাম লিখায়। তাদের জীবন-মরণ বাজি তারপরেও ফরাসী উর্দ্ধতন সেনা কর্মকর্তাদের মনিব সুলভ আচরণ, খাওয়া দাওয়া সহ বিভিন্ন বৈষম্য ফুটে উঠেছে এই মূভিতে। এই ছবির নায়ক Sami Bouajila যে Abdel Kader চরিত্রে থাকে তার অভিনয় দারুণ হয়েছে। এই ছবিটির লেখকদ্বয় হল Rachid Bouchareb, Olivier Lorelle।
আর ছবির পরিচালক লেখকদেরই একজন Rachid। ছবিটি এক কথায় খুব ভাল। এর টরেন্ট লিংক;
Click This Link
ইউটিউব;
http://www.youtube.com/watch?v=cNRn-VXvWdE
যুদ্ধে ফ্রান্স মূক্ত ও নাৎসীদের পরাজয় ঘটলে যখন অনেক আলজেরিয়ান যোদ্ধা ফ্রান্সে রয়ে যায় পরবর্তীতে ফরাসী সরকার তাদের পেনশন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ১৯৫৯ সালে ফরাসী সংসদে আইন পাশ করে তাদের পেনশন ফ্রিজ করা হয়। তারপর অনেক বছরের তথা ৪৩ বছর পর দীর্ঘ মামলার শুনানি শেষে আদালতের রায়ে এই আলজেরিয়ান যোদ্ধাদের ন্যায্য পেনশন সহ সব পাওনা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
কিন্তু এই মূভিটির নির্মাণের সময় ২০০৬ সাল পর্যন্তও তাদের পেনশন দিতে গড়িমসি করে ফরাসী সরকার। তাই বলি এই সকল উপনিবেশ হতে আগত যোদ্ধারা জীবন দিয়ে ও পঙ্গু হয়ে ফ্রান্সের জন্য যুদ্ধ করল তাদেরকে যারা পেনশন ও ন্যায্য পাওনা দিতে অস্বীকার করে তখন ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ উপনিবেশ আমলে আলজেরিয়ায় অন্যায় ও অত্যাচারের জন্য কেন ক্ষমা চাইবে?
Click This Link
আলজেরিয়ায় গণহত্যা চালানো হয়েছে এমন তিনটি স্থানের নামও তালিকাভুক্ত করেন ওলাঁদ। এর মধ্যে অন্যতম একটি স্থান সেটিফ। আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে ওই স্থানে ১৯৪৫ সালে ফ্রান্সের বাহিনীর সঙ্গে আলজেরিয়ার জনগণের সংঘর্ষ বাধে। সে সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আলজেরিয়ার জনগণের এক উদযাপনে ফ্রান্সের পুলিশ বাধা দেয়।
পরে বিক্ষুব্ধ আলজেরীয়রা ফ্রান্সের কয়েকজন নাগরিককে হত্যা করে। এর জবাবে পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে ফ্রান্স যুদ্ধজাহাজ থেকে আলজেরীয়দের ওপর ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে। এ গোলাবর্ষণে ৪৫ হাজার মানুষ নিহত হয় বলে দাবি করা হয়। তবে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওই সময় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ মারা যায়।
কত নৃশংস! একেই বলে "উপকারীরে বাঘে খায়"।
ফরাসীদের এতই অহংকার যে আলজেরিয়ানরা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ জয়ে খুশী পালন করতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে যা বুঝি তা হল ফরাসীরা এখনও আলজেরিয়ানদেরকে তাদের ক্রীতদাস হিসেবেই গণ্য করে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।