মানুষ মানুষের জন্য..... আর তাই মানুষের সাথেই ছিলাম... আছি... থাকব... অদুর ভবিষ্যতে আপনি আপনার প্রস্রাব দিয়ে বাড়ির জেনেরেটর চালাতে পারবেন !!!
কি অবাক হলেন তাই না ? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি । ঘটনাটি গত মাসেরেই – ৬ November ২০১২ ।
নাইজেরিয়া , আফ্রিকার অন্নতম প্রধান দেশ এবং তৈল খানির জন্য বিখ্যাত। লেগস নামের এক শহরে চার স্কুল ছাত্রী প্রস্রাব চালিত এই জেনেরেটরটি আবিষ্কার করেছে।
এক লিটার প্রস্রাব দিয়ে ৬ ঘণ্টা জেনেরেটর চালিয়েছে তারা ।
তাও পরীক্ষা মূলক , বাণিজ্যিক হলে কি হবে!!
ভাবতে পারছেন একটি বার ?
যাই হক Maker Faire blog এর মতে সিস্টেমটা নিন্মক্ত প্রক্রিয়ায় চলে –
১ – প্রস্রাব একটা ইলেক্ট্রিকসেল / তড়িৎ কোষ এ পাঠানো হয়। যেটা নাইট্রোজেন , পানি আর হাইড্রোজেনকে আলাদা করে ফেলে।
২ – তারপর ওই হাইড্রোজেন পানির মধ্যে দিয়ে চালানো হয় পরিশোধনের জন্যে। এরপর এই পরিশোধিত গ্যাস সিলিন্ডারে পাঠানো হয়।
৩ – এই সিলিন্ডারের গ্যাস তারপর তরল বরাক্স এর সিলিন্ডারের মধে দিয়ে আবার চালানো হয়, পূর্বের পানি দ্বারা পরিশোধিত ভেজা গ্যাসকে শুষ্ক গ্যাসে রূপান্তর করানর জন্য।
৪ – আর সর্বশেষে এই শুষ্ক পরিশোধিত গ্যাস জেনেরেটরে পাম্প করান হয়। আর তখনই বাতি জ্বলতে শুরু করে !!
সত্যি অবাক করা তাই না ? যদিও এখনও এই প্রযুক্তি কোন রকম স্বীকৃতি পাইনি , কিন্তু অদুর ভবিষ্যতে কে জানে কি হতে চলেছে!!
আলোচনার বিষিয়ঃ
১ – সাবধানতার কারণে পুরো পাইপ লাইনে একমুখী ভাল্ব ব্যাবহার করা হয়েছে ।
২- এটাও অবশ্যই মনে রাখার বিষয় , যে হাইড্রোজেনের কারনে এটা একই সাথে বিস্ফোরক যন্ত্র।
৩ - Maker Faire blog – টিতে এটা উল্লেখ করা ছিলনা যে তড়িৎ কোষের বিদ্যুৎ কোথা থেকে এসছিল। আর কি পরিমানে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার ক্ষমতা আছে জেনেরেটরটির।
৪ – বাংলাদেশের মত প্রগতিশীল দেশে এমন প্রযুক্তির খুব দারকার। তাই এখন থেকেই যেখানে সেখানে প্রসাব করার অভ্যাস ত্যাগ করাটাই বাঞ্ছনীয়। পরিবেশের কারনে , বিদ্যুতের কারনে । কি তাইনা?
Copy past from Other Site ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।