মনের মহাজন খুঁজে ফিরি....
১৫ বছর আগে ১৭ ডিসেম্বর প্রথম শুরু হয়েছিল ব্লগ শব্দটির ব্যবহার। এদিন জর্ন বার্জার নামের এক ব্যক্তি প্রথম ব্যবহার করেন ব্লগ শব্দটি। ওই মার্কিনী তার নিজের ওয়েবসাইট "রবার্ট উইজডম"-এর সম্পাদক ছিলেন। উইজডম ওয়েবসাইটটিতে নিজস্ব নিবন্ধ লিখতেন তিনি। নিজের মতামত প্রকাশের অবাধ এক মাধ্যম ব্লগ ১৬ বছরে পা দিয়েছে।
সারা পৃথিবীজুড়ে ব্লগের অনেক অনেক অর্জন রয়েছে। সে অর্জন রয়েছে বাংলাদেশেরও।
দেশে বিদেশের সরকারি পর্যায়ে ব্লগিং এর প্রভাবে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্লগ সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। সম্প্রতি আরব বসন্তে বিশাল অবদান রয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটির।
বিপ্লব আর বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি রয়েছে ব্লগের। চলতি বছরের শুরুর হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ইন্টারনেটে ব্লগের সংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। শুধু দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড তুলে ধরাই নয়, ব্লগ আজ তার নিজস্ব গণ্ডি প্রসারিত করেছে। বাংলাদেশ ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে ব্লগের অবস্থান জানাতেই আজকের এই নিবন্ধ।
ব্লগ কি?
ব্লগ শব্দটি ইংরেজ Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ, যা এক ধরণের অনলাইন জার্নাল ।
ইংরেজি Blog শব্দটি আবার Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলার হয়। ইংরেজি Blog শব্দের অর্থে Oxford Dictionary তে বলা হয়েছে- Blog is a personal record that somebody puts on their website giving an account of their activities and opinions and discussing places on the Internet they have visited. ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও সাম্প্রতিক কালে ব্লগ ফ্রিলান্স সাংবাদিকতার একটা মাধ্যম হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে এক বা একাধিক ব্লগার রা এটি নিয়মিত আপডেট করেন।
বেশিরভাগ ব্লগই কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয়সম্পর্কিত ধারাবিবরণী বা খবর জানায়; অন্যগুলো আরেকটু বেশিমাত্রায় ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনলাইন দিনপত্রী/অনলাইন দিনলিপিসমূহ। একটা নিয়মমাফিক ব্লগ লেখা, ছবি, অন্য ব্লগ, ওয়েব পেজ আর এবিষয়ের অন্য মাধ্যমের লিংকের সমাহার/সমষ্টি। তবে ভালো মানের 'Static websites' বা স্থির প্রতিক্রিয়াশীল যা, ব্লগে আসা অতিথিদের মন্তব্য করার সুযোগ দেয়, উইজেটের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে বার্তা পাঠানোর সুযোগ দেয়, এবং সবসময় আপডেটেড থাকে। অনেক ব্লগ আছে যা, একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গঠিত হয়ে থাকে। সেখানে শুধুমাত্র সেই একটি বিষয়ের উপরই আলোচনা, মন্তব্য করা হয়ে থাকে।
প্রায় ব্লগই মূলত লেখায় আকীর্ণ, কিছু কিছু আবার জোর দেয় শিল্প (Art blog), ছবি (Photo blog), ভিডিও (Video blog), সঙ্গীত (Mp3 blog) আর অডিওর (Podcasting) ওপর। আরেকটি হলো Microblogging, যা কেবল ছোট-খাট পোস্ট বা লেখা নিয়ে তৈরি। ডিসেম্বর, ২০০৭-এর হিসেবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন প্রায় এগারো কোটি বার লাখেরও বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে।
যেভাবে এলো ব্লগ
১৯৯৭ এর ১৭ ডিসেম্বর, " Jorn Barger" নামক এক ব্যক্তি সর্বপ্রথম ' weblog ' শব্দটির উদ্ভাবন করেন। পরবর্তীতে, 'Peter Merholz'- যিনি তার নিজস্ব ব্লগ Peterme.com- এ একরকম কৌতুক করেই ' weblog ' শব্দটিকে ভাগ করে ' blog' বলে সম্বোধন করেন ১৯৯৯ এর এপ্রিল বা মার্চের দিকে।
তারপর থেকে ' blog ' শব্দটির ব্যাবহার বেড়ে যেতে থাকে। Evan Williams নামক এক ব্যক্তি blog শব্দটিকে যথাক্রমে ' বিশেষ্য' ও 'ক্রিয়াপদ'- দু ভাবেই কাজে লাগান। তিনিই 'Blogger' কথাটির উদ্ভাবন করেন। 'ব্লগিং'- এর জনপ্রিয়তার পূর্বে 'ডিজিটাল কমিউনিটি' বা 'অনলাইন যোগাযোগ' এর অন্যান্য জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো ছিলো Usenet, GEnie, BiX, CompuServe, এবং BBS, ইত্যাদি। তখনকার জন্য এগুলো জনপ্রিয় হলেও এগুলোর সাহায্যে খুব কষ্ট করেই Running conversation- এর কাজগুলো করা হতো।
কিন্তু আধুনিক ব্লগিং এর সুবাদে মানুষ এখন খুব সহজেই সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে। ব্লগিং মানুষকে দিয়েছে তার নিজস্ব একটি পরিচয়। যারা ব্লগিং করে, তাদেরকে বলা হয় ব্লগার। ব্লগাররা সাধারণত নিজেদেরকে 'Diarists' বা 'Journalers'.ও বলতে পারে। Justin Hall, যিনি পার্সোনাল ব্লগিং শুরু করেছিলেন ১৯৯৪ সালে।
তখন তিনি 'Swarthmore College'-এ পড়তেন। তাকে ধরা হয় ব্লগিং-এর ইতিহাসের সবচেয়ে পুরনো ব্লগার। সেসময়ের চলমান কিছু জনপ্রিয় ব্লগের মধ্যে 'Jerry Pournelle' এবং 'Dave Winer's'- এর পার্সোনাল ব্লগ ছিলো অন্যতম। এগুলো ছিলো সবচেয়ে পুরনো এবং দীর্ঘসময় ধরে চলা জনপ্রিয় ব্লগ। ব্লগিং এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এর চাহিদাও বাড়তে থাকে।
এতে যোগ হয় বিভিন্নরকম প্রযুক্তি। তার বদৌলতে বর্তমানের ব্লগসাইটগুলো মেইনটেইন করার জন্য ব্রাউজার ভিত্তিক কিছু ব্যাবহার করা হয় যা সাইটগুলোকে করার কাজ করে থাকে।
১৯৯৯ থেকে ব্লগিং- এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং তা এখনও রয়েছে। Bruce Ableson নামক এক ব্যক্তি ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে 'ওপেন ডায়েরি' নামক একটি ব্লগ খোলেন এবং রাতারাতি তার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। হাজার হাজার ব্লগার তার ব্লগের সাথে যুক্ত হন এবং এটিই সর্বপ্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে, অন্যান্য ব্লগারদের লেখায় মন্তব্য করার সুযোগ দেয়া হয়।
এছাড়া Evan Williams এবং Meg Hourihan যারা Pyra Labs-এ কাজ করতেন, ১৯৯৯ সালে তারা চালু করেন তাদের নিজস্ব ব্লগ সাইট "blogger.com", যা ২০০৩ এর ফেব্রুয়ারিতে Google কিনে নেয়।
শুরুর কথা
ব্লগিং জনপ্রিয় হওয়ার আগে, ডিজিটাল গোষ্ঠীগুলোর নানান ধরন ছিলো, ছিলো ইউজনেট (Usenet), ছিলো জিনি(GEnie), বিক্স (BiX)-এর মতো বাণিজ্যিক অনলাইন সার্ভিস, আরো ছিলো পুরনো আমলের কম্পুসার্ভ (CompuServe), ই-মেল লিস্টস আর বুলেটিন বোর্ড সিস্টেমস (বিবিএস)। ১৯৯০-এর দিকে, ইন্টারনেট ফোরাম সফটওয়্যার "থ্রেড"-এর মাধ্যমে কথোপকথন চালানোর ব্যবস্থা শুরু করে। থ্রেড হচ্ছে একটা ভার্চুয়াল "কর্কবোর্ড"-এ বার্তাগুলোর মাঝখানের সাময়িক সংযোগের সমষ্টি। আধুনিক ব্লগের উৎপত্তি ঘটে অনলাইন দিনপত্রী থেকে, যেখানে লোকেরা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের বিবরণ রাখতেন।
এধরনের বেশিরভাগ লোকেরাই নিজেদের বলতেন ডায়েরিস্টস, জার্নালিস্টস অথবা জুমালারস। সোয়ার্থমোর কলেজ-এ ১৯৯৪-এর দিকে পড়ার সময় ব্যক্তিগত ব্লগিং-করিয়ে জাস্টিন হল-কে অন্যতম আদি ব্লগার হিসেবে ধরা হয়, যেমনটা ধরা হয় জেরি পুমেল-কেও। ডেভ উইনার-এর স্ক্রিপ্টিং নিউজ-এরও সবচাইতে পুরনো আর সবচাইতে বেশি দিন ধরে চালু থাকা ওয়েবলগ হিসেবে খ্যাতি আছে
প্রথম দিককার ব্লগগুলো ছিলো স্রেফ সাধারণ ওয়েবসাইটের হাতে-বানানো উন্নততর উপকরণ। তবে, সময়ের সাথে বিপরীতক্রমে পোস্ট-করা ওয়েব প্রবন্ধগুলো লেখা এবং দেখভাল করা সহজ করার জন্যে বিবর্তিত কৌশলগুলোই প্রকাশ ব্যবস্থাটা বড়সড় একটা জনগোষ্ঠীর কাছে, যারা তেমন প্রযুক্তিদক্ষ নয়, বেশ সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। এতে করেই শেষমেষ আলাদা ধরনের একটা অনলাইন প্রকাশনা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে যেটা আজকাল আমাদের চেনা চেহারার যেরকম ব্লগ সেরকমটা তৈরি করে।
উদাহরণস্বরূপ, কিছু কিছু ব্রাউজার-নির্ভর সফটওয়্যারের ব্যবহার এখন ব্লগের একটা নিতান্তই সাধারণ ব্যাপার। ব্লগ হোস্ট করার জন্যে আছে নির্ধারিত ব্লগ হোস্টিং সার্ভিস, এছাড়াও ওগুলো ব্লগ সফটওয়্যার কিংবা নিয়মিত ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করেও চালানো যায়। কিছু আদ্যিকালের ব্লগার, যেমন দ্য মিস্যানথ্রোপিক বিচ ১৯৯৭ সালের দিকে যখন ব্লগিং শুরু করে, তারা নিজেদের অনলাইন উপস্থিতির নাম দিয়েছিলো জাইন (zine)। তখনো "ব্লগ" নামের পারিভাষিক শব্দটা আজকালকার সাধারণ ব্যবহারের পর্যায়ে আসেনি।
জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
শুরুটা ধীরগতির হলেও, ব্লগিং দ্রুতই জনপ্রিয়তা পায়।
১৯৯৯ সাল এবং তার পর থেকেই ব্লগ ব্যবহার বাড়তেই থাকে। প্রথম দিককার কিছু ব্লগ হাতিয়ারের প্রায়-সমসাময়িক আবির্ভাব ব্যবহারটা আরো লোকপ্রিয় করে:
• ১৯৯৮ সালে ব্রুস আবেলসন ওপেন ডায়রি নামান, এতে করে হাজারো অনলাইন দিনপত্রী জন্ম নেয়। ওপেন ডায়রির আবিষ্কার হচ্ছে পাঠক মন্তব্য, এটাই ছিলো প্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে পাঠকেরা অন্য লেখকের ব্লগ অন্তর্ভুক্তিতে মন্তব্য করতে পারতেন।
• ১৯৯৯-এর মার্চে ব্র্যাড ফিটজপ্যাট্রিক শুরু করেন লাইভ জার্নাল।
• জুলাই, ১৯৯৯-এ এন্ড্রু স্মেলস কোন ওয়েবসাইটে একটা "খবর পাতা" রাখার বিকল্প হিসেবে জন্ম দেন পিটাস.কম-এর, এর পরপরই সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯-এ আসে ডায়েরিল্যান্ড, যেখানে ব্যক্তিগত দিনপত্রীমূলক কমিউনিটির ওপর জোর দেওয়া হয়।
ইভান উইলিয়ামস এবং মেগ হুরিহান (পাইরা ল্যাবস) ব্লগার.কম চালু করেন আগস্ট, ১৯৯৯-এ। (গুগল এটা কিনে নেয় ২০০৩-এর ফেব্রুয়ারিতে)।
ব্যক্তিগত ব্লগ
এখানে ব্যক্তি কোন একটি বিষয়ের উপর তার মতামত পোষ্ট আকারে তুলে ধরেন এবং পাঠকদের সাথে এর উপর মতামত আদান প্রদান করেন।
প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগ
কোম্পানী/প্রতিষ্ঠান তাদের কোন পণ্য বা সেবার উপর নতুন নতুন তথ্য প্রদান করেন এবং পাঠক তাদের মতামত প্রদান করতে পারেন।
জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাব
২০০২-এ ব্লগিং এর জনপ্রিয়তা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়।
চলমান বিশ্বের যাবতীয় খবর, খেলা-ধুলা, ব্রেকিং নিউজ ইত্যাদি নিয়ে অনেক ব্লগ তৈরি হয়। পৃথিবীর যাবতীয় খবরাখবর চলে আসে মানুষের হাতের মুঠোয়। বিভিন্ন যুদ্ধ, বিশেষ করে 'ইরাক যুদ্ধ' নিয়েও অনেক ব্লগ লেখা হয় যা, ব্লগকে নিয়ে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আমেরিকার বিভিন্ন নামকরা রাজনৈতিক নেতারাও ব্লগ লেখা শুরু করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু উঠে আসে জনগণের সামনে।
মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা 'ট্রেন্ট লট', একটি পার্টিতে মার্কিন সিনেটর 'স্ট্রম থারমন্ড' এর সাথে এক আলোচনায় বলেন, 'থারমন্ড' যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন তাহলে তা আমেরিকার জন্য সুফল বয়ে আনবে। তখন 'লট' এর সমালোচকরা দেখলো যে, 'লটের' এই মন্তব্যের পেছনে একটি 'জাতিগত বিভক্তি' তত্ত্ব কাজ করছে যা 'থারমন্ড' একসময় চেয়েছিলেন। Josh Marshall'- এর 'Talking Points Memo' - নামক একটি ব্লগে এই কথোপকথন ও ভিডিও চিত্র উঠে আসে যা আরও অনেক ব্লগারদের নাড়া দেয়। ব্লগাররা নেমে পরে প্রতিবাদে। কোন প্রধান মিডিয়া প্রতিষ্ঠান এই ঘটনাটি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করেনি যতক্ষণ না ব্লগ এই ঘটনাটি ফাঁশ করে দেয়।
পরবর্তীতে, ব্লগটি রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি করে যা 'লট'-কে তার পদ থেকে সরে দাড়াতে বাধ্য করে। ২০০৪ সাল নাগাদ ব্লগ হয়ে ওঠে রাজনৈতিক আলোচনা, খবর, এবং পরামর্শের প্রধান মাধ্যম। বিভিন্ন যুদ্ধে ব্লগকে ব্যাবহার করা হয়েছে সাধারণ তথ্য প্রবাহের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে। ২০০৫ এর জানুয়ারিতে 'Fortune magazine' ৮ জন ব্লগারের একটি লিস্ট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, এই ৮ জন ব্লগারকে পৃথিবীর যেকোন যেন একটু সমীহ করে চলে।
এরা হলেন- পিটার, জেনি জারডিন, বেন ট্রট, মেনা ট্রট, জোনাথন শোয়ার্জ, জেসন গোল্ডম্যান, রবার্ট স্কোবল, এবং জেসন।
ব্লগের ধরন
অনেক ধরনের ব্লগ ইন্টারনেট জগতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এদের মধ্যে যেগুলো বেশি জনপ্রিয়, সেগুলোকে ভাগ করা হয়েছে নিম্নোক্তভাবে-
Personal blogs
Corporate and organizational blogs
By genre
By media type
By device
ব্লগারদের কিছু করণীয়
ব্লগিং এমন একটি শক্তিশালী মিডিয়া যা, রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিভিন্ন ব্যাপারে অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে সক্ষম। মাঝে মাঝে ব্লগিং, স্পর্শকাতর কিছু রাজনৈতিক ব্যাপারেও জড়িয়ে পরে যা ব্লগারদের ক্ষতি সাধন করতে পারে। কারণ, ব্রডকাস্ট মিডিয়া বা প্রিন্ট মিডিয়ার মতো একে কন্ট্রোল করা যায় না।
সিঙ্গাপুরে ২ পৌত্তলিক চাইনিজ নিজেদের ব্লগে মুসলিম- বিরোধী কিছু কথা লিখেছিলো যার ফলে তাদেরকে কারারুদ্ধ করা হয়। মিশরের ব্লগার 'করিম আমির'-কে অভিযুক্ত করা হয় মিশরের প্রেসিডেন্ট 'হোসনি মুবারক'-কে নিজের ব্লগে অপমান করার জন্য। মিশরের ইতিহাসে এই প্রথম কোন ব্যক্তিকে ব্লগিং এর জন্য আটক করা হয়। সরকারের বিরুদ্ধে নিজের ব্লগে উল্টা-পাল্টা কথা লেখার জন্য মিশরের আরেকজন ব্লগার 'আবদেল মোনেম মাহমুদ'- কে এপ্রিল ২০০৭ এ গ্রেফতার করা হয়। মিয়ানমারের ' Nay Phone Latt' নামক এক ব্লগারকে ২০ বছর জেল খাটতে হয় কারণ, সে তার ব্লগে রাষ্ট্রকে ব্যাঙ্গ করে একটি কার্টুন পোস্ট করেছিলো।
ব্লগিং এর কারণে অনেক সময় কোন কারণ ছাড়াই ব্লগারের উপর আক্রমণ হতে পারে। 'ক্যাথি সিয়েরা' যিনি তার নিজস্ব ব্লগ 'Creating Passionate Users' এ প্রযুক্তি বিষয়ক একটি আর্টিকেল লেখেন এবং তারপর থেকেই তাকে মেরে ফেলার হুমকি আসতে থাকে বিভিন্নভাবে। পরবর্তীতে ব্লগারদের সুরক্ষা নিয়ে অনেক চিন্তা করা হয়। The Blogger's Code of Conduct নামক একটি প্রস্তাব পেশ করেন Tim O'Reilly যিনি বলেন, ব্লগারদের অবশ্যই সুশীল থাকতে হবে নিজের ব্লগে এবং অন্যের ব্লগে মন্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে। তিনি যে ৭টি বিষয় ব্লগারদের জন্য যোগ করেন, তা হলো।
1) Take responsibility not just for your own words, but for the comments you allow on your blog.
2) Label your tolerance level for abusive comments.
3) Consider eliminating anonymous comments.
4) Ignore the trolls.
5) Take the conversation offline, and talk directly, or find an intermediary who can do so.
6) If you know someone who is behaving badly, tell them so.
7) Don't say anything online that you wouldn't say in person.
ব্লগ খুব শক্তিশালী একটি মাধ্যম। এর সাহায্যে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা যায়, জনগণের চাহিদা পূরণ করা যায়, রীতিমত একটি দেশের ভাবমূর্তিও পরিবর্তন করে ফেলা যায় তবে হ্যাঁ, সাবধানতা আপনাকে অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। ধন্যবাদ। "ব্লগিং এর জোরে- ঘুরে দাঁড়ান"
বাংলা ভাষায় ব্লগ সাইট
২০০৫ সালের প্রথম মাস থেকে শুর হয় বাংলা ব্লগিং এর ইতিহাস।
প্রথমে একটি বাংলা ব্লগিংসাইট তার যাত্রা শুরু করার পরপরই আরও একাধিক সাইট অনলাইনে বাংলা ব্লগিং এর সুবিধা নিয়ে উপস্থিত হয়। এখন বেশ কয়েকটি ব্লগিং সাইট বাংলাভাষী অনলাইন ব্যবহারকারীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। কয়েক বছর পার হবার পরও এদের কেউ কেউ তেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি, কেউ জনপ্রিয় হবার চেষ্টা করছে, আবার কেউবা নতুন শুরু করে জনপ্রিয়তা অর্জনের লড়াইয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। সম্প্রতি বেশ কিছু সামাজিক ব্লগ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আমাদের সংগ্রহে বাংলাদেশের ৫০০ শতাধিক বাংলা ব্লগের ঠিকানা রয়েছে।
কিন্তু তালিকা অনেক বড় হয়ে যাবে বলে কয়েকটি প্রসিদ্ধ সামাজিক ব্লগ সাইটের ঠিকানা দেয়া হল।
http://www.somewhereinblog.net/
http:// http://www.amarblog.com/
http://www.sonarbangladesh.com/blog/
http://www.techtunes.com.bd/
http://www.prothom-aloblog.com/
http://www.blog.priyo.com
http://www.sachalayatan.com/
http://www.nirmaaan.com/blog/
http://www.biggani.com/
http://www.banglablog.bdnews24.com/
http://www.nishorga.com/
http://www.drishtipat.org/bangla/
http://www.bishorgo.com/
http://www.amarbornomala.com
http://www.addaablog.com/
http://w4study.com/
http://my.anandabazar.com/blog
http://www.amrabondhu.com/
http://www.amaderzone.com/
http://uni.me/
http://www.saiftheboss.com/
http://iqbalahsan.wordpress.com/
http://www.amarputhia.com/forum/
http://www.amarbornomala.com/
http://www.amarputhia.com/blog/index.php
http://www.al-ihsan.net/forum/
http://www.emnbd.net/blog/
Click This Link
http://ekusheyblog.com/blog/home/
http://blog.ekushey-tv.com/
http://banglablog.evergreenbangla.com/
http://www.opest.net/
http://bdcomics.com/
http://www.krishiblog.com/
http://www.cadetcollegeblog.com/
Click This Link.
http://www.kolomblog.com/
http://www.gonitpathshala.org/
http://www.choturmatrik.com/
http://bn.globalvoicesonline.org/
http://www.blog.sajjadbd.com/
http://trivuz.com/bangla/forums/index.php
http://www.janalablog.com/
http://www.nagorikblog.com/
http://www.nilanchol.com/
http://www.nishorga.com/blogs
http://www.nree.org/blog
http://www.peaceinislam.com/
http://forum.projanmo.com/index.php
http://www.emnbd.net/blog/
http://www.bokolom.com/
http://blog.priyo.com/
http://bdbondhu.co.cc/
http://www.banglaeye.com/blog/
http://boltechai.com/
http://banglaamar.com/
http://bn.wordpress.com/
http://bangalionline.com/blog/
http://www.bangaleeblog.com/
http://newbangladesh.webs.com/apps/blog/
http://blog.bdonline24.com/
http://bn.biborton.com/
http://bartavubon.com/
http://www.bishorgo.com/
http://bn.biborton.com/
http://muktoblog.com/
http://mukto-mona.com/bangla_blog/
http://www.nirmaaan.com/blog/
http://www.rongdono.com/
http://joubonjatra.com/forums/blog.php
http://rangpurweb.com/
http://rangpurlive.com/
http://www.rongmohol.com/
http://lotakambal.sristisukh.com/
http://sabblog.webs.com/apps/blog/
http://www.shobdoneer.com/
http://www.shodalap.org/
http://sobarblog.com/
http://www.sabujbanglablog.net/
http://mediamaster1.blogspot.com/
http://sukhobor24.com/
ব্লগের প্রকারভেদ
কোন ব্লগে কি ধরনের পোস্ট দেওয়া হয় তার উপর ভিত্তি করে ব্লগকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি হল:
১. ব্যক্তিগত ব্লগ
এখানে ব্যক্তি কোন একটি বিষয়ের উপর তার মতামত পোষ্ট আকারে তুলে ধরেন এবং পাঠকদের সাথে এর উপর মতামত আদান প্রদান করেন। এই ধরনের ব্লগে সাধারণত কোন ব্যক্তি তার প্রতিদিনের জীবন যাত্রা এবং তার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করে। ব্যক্তিগত ব্লগ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়।
এ ধরণের ব্লগ ব্লগার তার নিজের শখ থেকে করে থাকে। তাদের ব্লগ কেউ পড়ুক বা না পড়–ক এতে তাদের কোন আসে যায় না। নিজের আনন্দ লাভ করা এ ধরণের ব্লগের মূল উদ্দেশ্য।
২. সামাজিক ব্লগ
সামাজিক ব্লগ হল এমন ব্লগ সাইট যেখানে বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের মতামত বা মুক্ত চিন্তা তুলে ধরতে পারে। একজন ব্যক্তি একটি পোষ্ট দেবার পর উক্ত ব্লগের অন্যান্য ব্লগাররা তার পোষ্টর উপর মন্তব্য করতে পারে।
যেমন- সামহয়্যারইন ব্লগ, আমার ব্লগ ইত্যাদি সামাজিক ব্লগের অন্তর্ভুক্ত।
৩. ব্যবসায়িক ব্লগ:
কোম্পানী/ প্রতিষ্ঠান তাদের কোন পণ্য বা সেবার উপর নতুন নতুন তথ্য প্রদান করেন এবং পাঠক তাদের মতামত প্রদান করতে পারেন। এ ধরনের ব্লগ সাধারণত কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রচার বা গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার্থে করে থাকে। যেমন- গুগল ব্লগ, অপেরা ডেস্কটপ টিম ইত্যাদি।
৪. প্রশ্ন ব্লগ
প্রশ্ন ব্লগে ব্লগার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন।
এই প্রশ্ন কোন ফর্ম বা ই-মেইলের মাধম্যে ব্লগারদের কাছে পৌঁছান হয়। যেমন: ইয়াহু এনসার হল প্রশ্ন ব্লগ।
৫. খবর ব্লগ:
যে সকল ব্লগে বিভিন্ন সাম্প্রতিক খবরের উপর বিশ্লেষণ স্থান পায় তাদেরকে খবর ব্লগ বা News Blog বলে। আরো কয়েক ধরনের ব্লগ বর্তমানে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যেমন মাইক্রো ব্লগ, টুইটার এমন একটি ব্লগ। এটি ব্যক্তিগত ব্লগের ভেতরেও পরে।
এখানে কোন ব্লগার এখন কি করছেন বা ভাবছেন তা অতি সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে থাকেন। যেমন: আমার টুইটার ব্লগ।
পোষ্ট করা ব্লগের ধরন অনুযায়ী ব্লগকে আবার কয়েকভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হল:
১) ফটোলগ: এ ধরনের ব্লগে ব্লগার তাদের ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তোলা
বা স্ক্যান করা ছবি আদান প্রদান করে থাকে।
২) ভিলগ: যে ব্লগে ব্লগার ভিডিও শেয়ার করা হয় তাকে ভিলগ বলে।
৩) লিংকলগ: বিভিন্ন ওয়েব সাইটের ঠিকানা দ্বারা গঠিত ব্লগ হল লিংকলগ
ব্লগকে আরো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। কিন্তু আমরা সেদিকে যাবো না। এখানে আমরা প্রধানত সামাজিক ব্লগিংয়ের নিয়ম কানুন নিয়ে আলোচনা করব।
ব্লগিং করতে যা যা প্রয়োজন
১.ব্লগিং করতে আপনার অবশ্যই যা প্রয়োজন তা হল আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন।
২.একটা ইমেইল একাউন্ট।
৩.নির্দিষ্ট ব্লগের সাইটে আপনার একটা ব্লগ একাউন্ট।
৪.আপনার কম্পিউটারে অভ্র, বিজয় কিংবা যে কোন বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার ইন্সটল থাকতে হবে।
৫.বাংলায় টাইপিংস্পিড মোটামুটি সন্তোষজনক হতে হবে।
৬.ব্লগ সাইটের কিছু শব্দের সাথে পরিচিত হতে হবে এবং ব্লগের নীতিমালা গুলো জানা থাকতে হবে।
কিভাবে ব্লগিং করবেন
ব্লগিং করতে প্রথমেই আপনাকে নির্দিষ্ট ব্লগ সাইটে একটি ব্লগ একাউন্ট খুলতে হবে।
একাউন্ট খোলার সময় আপনার ই মেইল আইডি প্রয়োজন হবে। একটি নির্দিষ্ট নামে (বাংলায়) আপনাকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে যেটা হবে আপনার পরিচয়। ব্লগে আপনাকে সবাই ঐ নামেই চিনবে। এই নামটি পরবর্তীতে পরিবর্তনযোগ্য নয়। এছাড়াও ব্লগ একাউন্টে লগইন করার জন্য প্রয়োজন হবে একটা Username এবং Password এর ।
এমন একটি Username হতে ববে যা ঐ ব্লগ সাইটে আর কারো দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে না। আপনার ব্লগ একাউন্ট সফলভাবে খোলার পর আপনার দেয়া নির্দিষ্ট Username এবং Password দিয়ে লগইন করে আপনার একাউন্টে ঢুকতে হবে। লগইন করে ঢোকার পর আপনি নতুন ব্লগ বা নতুন পোষ্ট লিখতে পারবেন এবং তা ব্লগে প্রকাশ করতে পারবেন। সম্প্রতি কিছু ব্লগ সাইটে নতুন ব্লগারদের লেখাকে সরাসরি প্রথম পাতায় প্রকাশ করার অনুমতি দেয়া হয়না। একজন নতুন ব্লগার যদি নিয়মিতভাবে ভালো ও মান সম্মত লেখা পোষ্ট করেন তবে মডারেশন বোর্ড যাচাই বাছাই করে তার লেখাকে প্রথম পাতায় প্রকাশের সুযোগ দিতে পারে।
এছাড়াও নতুন ব্লগারদেরকে প্রথমেই অন্য কোন ব্লগারের পোস্টে মন্তব্য করার অনুমতি দেয়া হয়না, প্রথম পাতায় এক্সেস পাবার পর তাকে মন্তব্য করার অনুমতি দেয়া হয়। এই নিয়মগুলো সাধারণত জনপ্রিয় ব্লগ সাইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন সামহয়্যারইন ব্লগ। কিন্তু যে সকল ব্লগ সাইট নতুন বা তেমন একটা জনপ্রিয়তা পায়নি সে সাইটগুলোতে একাউন্ট একটিভ করা মাত্র উক্ত ব্লগারকে ব্লগের সকল সুবিধা প্রদান করা হয়।
ব্লগে কি ধরনের লেখা লিখতে পারেন
সামাজিক ব্লগ গুলো একজন ব্লগারের স্বাধীন মতামত প্রকাশের অন্যতম একটি জায়গা।
মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলেই যে আপনি যেকোন ধরনের আপত্তিকর লেখা পোস্ট করবন তা কখনই হবেনা। ব্লগে সাধারণত সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়েই বেশি লেখালেখি হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি ব্লগে ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণীমূলক লেখা, ছবি পোস্ট, ব্যক্তিগত অনুভূতি টিপস পোস্ট, টেকনোলোজি বিষয়ক সহযোগিতামূলক পোস্ট সহ বিভিন্ন ধরনের লেখা পোষ্ট করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি কবি সাহিত্যিক লেখক বা কলামিস্ট হন বা হতে চান তবে আপনি আপনার কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, কলাম ইত্যাদি ব্লগে পোস্ট করতে পারেন। সামাজিক ব্লগগুলোতে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগারদের মধ্যে তুমুল আকারে ঝগড়া লক্ষ্য করা যায়।
আপনিও আপনার আদর্শের পক্ষে এই ব্লগীয় ঝগড়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্লগের নীতিমালার দিকে নজর রাখতে হবে।
কিভাবে লিখবেন সফল ব্লগ
ব্লগিং সার্থকতার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো ব্যতিক্রমধর্মী রচনা। নিচের কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার ব্লগ লিখলে আপনার ব্লগটি শুধু জনপ্রিয়তাই পাবে না, এটি পাঠককে আবার আপনার ব্লগে আসতে আগ্রহীও করবে।
(১) ব্লগের মূলভাষ্যঃ
প্রতিটি ব্লগই একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর পাঠককে লক্ষ্য করে লেখা উচিত। আপনার ব্লগের প্রধান পাঠক শ্রেণী চিহ্নিত করুন।
কোন কোন পাঠক আপনার ব্লগটি পড়বেন এবং কেন? আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে কি অর্জন করতে চান শুধু এটাই ভাববেন না। পাঠক আপনার কাছ থেকে কি চায় সেটিও ভাবুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন, কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত এবং তারপর সেটির উপর লিখুন।
(২) দ্বিধাহীন বক্তব্য:
আপনার লেখায় মনের ভাব প্রকাশে কখনই দ্বিধা করবেন না। এতে লেখাটি পাঠকের কাছে আপনার পরিচয় করিয়ে দেবে।
মনে রাখবেন পাঠকের সাথে আপনার সম্পর্ক যত বেশি ঘনিষ্ঠ হবে আপনার ব্লগ এর সফল হবার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।
(৩) শুধু লিংক দিয়ে দায় মুক্ত হবেন না:
ব্লগিং একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই অনেক সময় দেখা যায় অনেকে তাদের পোষ্টে অন্য আরেকটি অনলাইন পোষ্টের লিংক যোগ করে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চান। এই ভুলটি কখনই করবেন না। পাঠক আপনার লিংকের মাধ্যমে কোন মজার কিছু পড়তে চান না।
এমনও হতে পারে পাঠক আপনার ব্লগ থেকে আপনি তাকে যেখানে পাঠাচ্ছেন সেই ব্লগটি বেশি পছন্দ করে ফেলতে পারে। ফলে আপনি পাঠক হারাবেন। বরং পাঠক ধরে রাখতে আপনার ব্লগে উক্ত লিংকের উপর আপনার মতামত জানিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য লিংকটি দিয়ে দিতে পারেন। মনে রাখবেন কোন মন্তব্য ছাড়া একটি লিংক পাঠক হারানোর প্রথম লক্ষণ।
(৪) উৎস সরবরাহ
কখনই কোন অনলাইন ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে লেখা চুরি করে কপিরাইট লঙ্ঘনের চেষ্টা করবেন না।
এতে যেমন আপনি আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন তেমনি পাঠকও হারাতে পারেন। তবে আপনি যদি কোন ওয়েবসাইটে এমন কোন তথ্য পান যা আপনি আপনার ব্লগে আলোচনা করতে চান তাহলে ঐ ব্লগ বা ওয়েবসাইটের একটি লিংক যুক্ত করে দিন, তাহলেই আর কোন সমস্যা থাকবে না তবে কপি পেস্ট এড়িয়ে চলাটাই অতি উত্তম।
(৫) লেখাকে সাজান
আপনার ব্লগ পোষ্টের দৃষ্টিনান্দকিকতা আপনার আলোচনার বিষয় বস্তুর মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্লগ পোষ্টটি ছোট ছোট অনেকগুলো প্যারা করে সাজান। প্রতিটি প্যারায় সম্ভব হলে দুই বা তিনের অতিরিক্ত বাক্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
বেশিরভাগ পাঠক অনেক বাক্যের জড়োসড়ো করে সাজানো ব্লগ পড়তে আগ্রহী হন না। ব্লগে যথেষ্ট ফাকা জায়গা পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয় এবং পাঠককে সম্পূর্ণ ব্লগ পোষ্টটি পড়তে আগ্রহী করে। তবে সবসময় অল্প কথায় পোষ্ট দেবার চেষ্টা করুন যা পাঠক সহজে পড়তে পারে।
ব্লগের শাস্তি
প্রত্যেক সামাজিক ব্লগ সাইটেরই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতি থাকে যা মেনে চলে ব্লগিং করতে হয়। কোন ব্লগার যদি উক্ত নীতিমালা ভঙ্গ করেন তবে ব্লগ সাইটের মডারেশন বোর্ড তাকে শাস্তি দেবার অধিকার রাখেন।
শাস্তি স্বরূপ আপনার নির্দিষ্ট পোস্ট কিংবা মন্তব্য আপনার কিংবা লেখকের অনুমতি ছাড়াই মুছে দিতে বা ব্লগ থেকে সরিয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও আপনার নীতিমালা ভঙ্গের অপরাধের মাত্রা যদি খুব বেশী হয় তবে আপনাকে ব্লগের সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দিতে পারে, এমনকি আপনাকে পুরোপুরি ব্যান বা লগইন ব্যান করতে পারে। লগইন ব্যান করলে আপনি আপনার একাউন্ট আর কখনই ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই ব্লগ একাউন্ট খুলে প্রথমেই ব্লগের নীতিমালা গুলো ভালভাবে জেনে-বুঝে ব্লগিং করা উচিৎ।
তথ্যসূত্র
• ব্লগ নিয়ে কয়েক বছরে ব্যক্তিগত লেখা
• দৈনিক পত্রিকা
• বাংলা ও ইংরেজি ব্লগ সাইট
• উইকিপিডিয়া
• "After 10 Years of Blogs, the Future's Brighter Than Ever". Click This Link.
• Kottke, Jason (2003-08-26). "kottke.org". Click This Link. Retrieved 2008-06-05.
• Jensen, Mallory A Brief History of Weblogs
• Origins of "Blog" and "Blogger", American Dialect Society Mailing List (Apr. 20, 2008).
লেখাটি প্রথম "প্রিয় টেক" এ প্রকাশিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।