আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নয়া দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ

নয়া দিল্লি: চলন্ত বাসের মধ্যেই পৈশাচিক গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে । রোববার রাতে দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকায় একটি হোয়াইট লাইন বাসে ২৩ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ করে পাঁচ যুবক। তারপর ধর্ষিতা ও তার পুরুষ বন্ধুকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় একটি ওভারব্রিজের ওপর ফেলে দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি ওই তরুণী। তিনি দক্ষিণ দিল্লির পালম এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ধর্ষিতার এক আত্মীয়র বয়ান অনুযায়ী, রোববার রাত ১১টা নাগাদ ওই তরুণী ও তার পুরুষ বন্ধু দক্ষিণ দিল্লির মুনিরকা একটি হোয়াইট লাইন বাসে ওঠেন। তারা বাসে ওঠার ১০ মিনিটের মাথায় পাঁচজন যুবক তরুণীকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে শুরু করে। পুরষ বন্ধুটি বাধা দিলে তাকে মারধর করতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। ধর্ষিতার আত্মীয় জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা একটি লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে যুবকটিকে।

তারপর চলন্ত বাসের মধ্যেই তরুণীকে জোর করে বাসের কেবিনে টেনে গিয়ে সেখানেই পাঁচজনে মিলে ধর্ষণ করে তাকে। দুষ্কর্মের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দুজনেরই শরীর থেকে বেশির ভাগ জামাকাপড় খুলে নিয়ে দক্ষিণ দিল্লির মহিপালপুর ওভারব্রিজের ওপর ছুঁড়ে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। ধর্ষিতা দিল্লি ইউনার্ভাসিটিতে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তার বন্ধুটি একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত। রোববার রাতে দিল্লির সকেত এলাকার সেলেক্ট সিটি ওয়াক মলে সিনেম দেখতে গিয়েছিলেন দুজনে।

তারপর তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাকে একটি অটোতে ওঠেন তার বন্ধু। মুনিরকা এলাকায় অটো থেকে নেমে পালমগামী হোয়াইট লাইন বাসটিতে উঠেছিলেন দুজনে। পুলিশেরর বক্তব্য অনুযায়ী রাত সোয়া একটা নাগাদ তাদের কাছে ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি ফোন আসে। তখনই প্রথম এফআইআর করা হয়। আপাতত বসন্ত বিহার পুলিশ স্টেশনেই রয়েছেন আক্রান্ত যুবক।

অভিযুক্ত পাঁচ যুবক বাসেরই কর্মচারী নাকি যাত্রী তাই নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে দুটি হোয়াইট লাইন বাসকে আটক করেছে পুলিস। ওই দুটি বাস দিয়েই আপাতত প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।