নিজে শিখি ও অপরকে জানাই
সাবিত ছোট ছেলে বাবার সাথে বাজারে গিয়েছে। যা দেখে তাই খেতে চায় । বাবা তাকে বুঝান সব খাওয়ার জিনিস নয় । বাজার করে ফিরতেছেন সাবিত দেখল লাল টকটকে মরিচ । দেখে তার লোভ হল ।
কিন্তু বাবাকে বললে খেতে দিবেনা তাই না বলেই বাবার অজান্তেই টুপ করে একটা মুখে পুরে দিল । তার পরের কাহিনী আর আপনাদের বলতে হবে বলে মনে হয়না । কি ঘটেছিল তা বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই ।
আমার ছেলেবেলায় মা আমাকে যখন টিকা দিতে নিয়ে যেত ও টিকা দিত তখন আমার মনে হত আমিও বড় হলে মাকে এভাবে টিকা দেব । টিকা নেয়ার যে কি বেদনা তা বুঝিয়ে ছাড়বো ! কিন্তু যখন জ্ঞান হল তখন বুঝতে শিখলাম মা যদি টিকা না দিত আমার বেদনার কথা মনে করে তাইলে আজ হয়ত পোলিও বা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে তার চেয়ে বেশি বেদনাকাতর জীবন যাপন করতে হত ।
বুঝেছি, মা-বাবা সন্তানের কল্যাণ বৈ আর কিছু চান না । তাই তাদের কথার আর বাদ সারতে যাইনা ।
বাবার ভাবনা আমি হয়ত তাদের কথামত বিয়ে করবনা , কেননা, আমি শিক্ষিত, ফর্সা । কিন্তু আমার ইচ্ছা বাবা-মায়ের কথায়ই বিয়ে করব । বাবাকে আমি বলি , বাবা আমি যদি জাজ হই আপনি হবেন জাজের বাপ, কাজেই আমি যত বড়ই হই আপনি আমার বাবাই থাকবেন, হুকুম দেয়ার ক্ষমতা আপনারই থাকবে ।
ভুল হলে শুধরে দিবেন। বড় ভাই মা- বাবার পছন্দে বিয়ে করেছেন, মেঝ ভাইয়ের জন্যও পাত্রী দেখতেছি ।
কিন্তু এযুগের ছেলে-মেয়েরা মা-বাবার পছন্দে বিয়ে করতে নারায । তারা ভালবাসা করে বিয়ে করাটাকে নিজেদের জন্য কল্যাণকর মনে করে । তাদের ধারণা , মা-বাবার বয়স হয়ে গিয়েছে তারা ঠিকমত মেয়ে পছন্দ করতে পারবেনা ।
এরকম বেশি বুঝার কারণে আগের চেয়ে এখন বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে । প্রেম করে বিয়ে করেছে আবার দুই মাস পরেই বিচ্ছেদ হয়েছে এরকম ঘটনা আমার জানা আছে । মা-বাবাকে ফাকি দিয়ে বিয়ে করে সুখী হয়েছে এমন পরিবার খুব কমই । যারা আছে তারাও অনেকে সুখে থাকার ভান করে আছে , ছেলে- মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক মহিলাই হাজারো সমস্যা সত্ত্বেও বিচ্ছেদ ঘটাতে চান না ।
বিয়ের দাওয়াত খাচ্ছি ।
অনেক বন্ধু হাজির । এক বন্ধুকে বলা হল, কিরে, তুই আর কত দিন এই দেবদাস জীবন চালাবি ? দেখ, এখানে তো অনেক মেয়েই এসেছে কোনটা পছন্দ হয় কিনা? সে একটা মেয়েকে পছন্দ করল । খোঁজ নিয়ে জানা গেল সে বিবাহিত ! বললাম, দেখ, এত বড় হয়েও পছন্দ করতে ভুল করেছিস । সন্তানেরা এমনি ভুল করে বিয়ের পাত্রী খুঁজতে গিয়ে । তাই, বিয়ের ব্যাপারটা মা-বাবার হাতে ছেড়ে দেয়াই কল্যাণকর সন্তানের জন্য ।
এত বয়স অবধি তারা যখন তোমার সব চাহিদা পুরন করেছে, এটাও তারা পুরন করতে পারবে । কি বলিস?, বন্ধুটি লা জওয়াব হয়ে গেল।
আল্লাহর নবী ঈসা আলাইহিসসালাম আল্লাহর হুকুমে তিনি মৃতকে জীবিত, জন্মান্ধকে দৃষ্টি দান, কুষ্ঠ রোগীকে ভালো করতে পারতেন, কিন্তু তিনি বলেছেন তিনি বোকাকে বুদ্ধিমান বানাতে পারেননি । আমার অক্ষমতা এটা যে আমি কোন বেশি বুঝনেওয়ালা কে বুঝাতে পারিনা । যদি আপানাদের মাঝে এমন কেউ থাকেন তো আমি আগেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।