আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৯০ গোলের এভারেস্টে মেসি

কয়েক দিন আগেই মেসির রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিল ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লেমেঙ্গো। তাদের দাবি, এক বছরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড মেসির নয়, জিকোর। ১৯৭৯ সালে ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৮৯টি গোল করেছিলেন। ক্লাবটির এমন দাবিতে মেসিকে কিছুই বলতে হয়নি। ফিফা থেকেই জানানো হয়েছিল রেকর্ডটা মেসিরই।

কিন্তু আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকর যে কোন বিতর্ক পছন্দ করেন না। তাই তো রোববার রাতে আবারো জোড়া গোল করলেন। চলতি বছরে তার গোল সংখ্যা এখন ৯০। অর্থাৎ সব বিতর্কের উর্ধ্বে ওঠে মেসি ফুটবল বিশ্বকে জানিয়ে দিলেন তিনিই সেরা। মেসির জোড়া গোলে টিটো ভিলানোভার দল অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়েছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে।

তবে বার্সেলোনার দিনে আবারো হোঁচট খেলেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। হোসে মরিনহোর শীর্ষরা এসপানিওলের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে। লিওনেল মেসি নিজে তো ৯০ গোলের এভারেস্টে পৌঁছেছেনই, সঙ্গে নিয়ে গেছেন বার্সেলোনাকেও। লা লিগার ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে শুরু থেকে টানা ১৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার নতুন নজীর স্থাপন করলো কাতালানরা। লা লিগায় ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সা।

৩৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট এখন ৩৩। দলের মতো ব্যক্তিগত লড়াইয়েও সবার উপড়ে মেসি। এই ১৬ ম্যাচে মেসির গোল ২৫টি, ফ্যালকাওয়ের ১৭টি, আর রোনালদোর ১৪টি। রাদামেল ফ্যালকাওয়ের কীর্তিতে এবার একের পর এক চমক দেখাচ্ছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।

আগের ম্যাচেই দেপোর্টিভোর বিরুদ্ধে একাই পাঁচ গোল করে প্রতিপক্ষ বিধ্বস্ত করেছে কলাম্বিয়ান এই তারকা। এই ম্যাচেও প্রথম গোলটি আসে তার পা থেকেই। ৩১ মিনিটেই এগিয়ে যায় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। ক্যাম্প-ন্যুতে এসেও ফ্যালকাওয়ের দাপটে যেন স্তব্ধ হয়ে যায় স্টেডিয়াম। তবে সমতা ফেরাতে বেশি সময় নেয়নি বার্সেলোনা।

৩৬ মিনিটে দারুণ এক গোল করেন আদ্রিয়ানো। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে কাতালানদের এগিয়ে দেন সার্জিও বুসকেটস। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে তো শুধু মেসির জাদু। বার্সা তারকা ৫৭ ও ৮৮ মিনিটে দুই গোল করে পৌঁছে যান ৯০ গোলের এভারেস্টে। কৃতজ্ঞতা : সালমান ফারসি>>>> পরিবর্তন.কম  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।