হেঁটে হেঁটে যতদূর চোখ যায় দুপুরবেলা ফকরুদ্দিন থেকে বিরানিতে পেটে ঠেসে যেই না গুলশান-১ এর আলমাসের সামনে এসেছি অমনি তারা ডাকতে শুরু করল। প্রথমটায় পাত্তা দিলাম না। যা শালা! বেইল নাই! কিন্তু বেশিক্ষণ আমার ভাব থাকল না। বড়টা আর ছোটটা দুটোতেই জোট পাকিয়ে এবার ধরল আমায়। শালা ভাব লস! খাইছি তোরে! যাবি কই! ততক্ষণে আমার অবস্থা যায় যায়! প্রকৃতির এই ডাকে আমার পুরা ছেঁড়াবেড়া দশা! দৌড়ে এক রিকশায় উঠে শক্ত হয়ে বসে বললাম, মামা চল, তাড়াতাড়ি! যা বাবা এর তো দেখি প্যাডেলই ঘোরে না। গাড়ি চলে না, চলে না, চলে না রে... -মামা জোরে চালাও। আমি তো আর পারি না। শুধু ছোটটা হলে না হয় চিপায় চাপায় মেরে দিতাম, বড়টা ধরেই তো বিপদে ফেলে দিল! শালার রিকশা! প্রতিদিন তো পারলে উড়ে যাও! আজকে আস্তে ক্যান! ধুরোওওও... হঠাৎ একি! বিনা মেঘে ব্জ্রপাত! মামা রিকশা থামিয়ে দিয়েছে। আমি মুখ শুকনো করে বললাম, মামা, কি হল? মামা পান খাওয়া লাল দাঁত বের করে লুঙ্গি উপরে তুলতে তুলতে রাস্তার পাশে বসতে বসতে বলল, ট্যাংকি ফুল! ইমারজেন্সি খালি করন লাগব! উহ! মামার এই ট্যাংকি খালি করার দৃশ্য তখন আমার কাছে পৃথিবীর জঘন্যতম দৃশ্য বলে মনে হতে লাগল ... আর আমার তখন, না পারি কইতে না পারি সইতে দশা ...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।