হেমন্তের শেষ বেলাটাও আলো ছড়াতে ছড়াতে চলে যাচ্ছে। কি বিচিত্র সুন্দর সে আলো। চেয়ে থাকতে থাকতে ঘোর লেগে যায় মনে। ছেলেবেলা কেনো জানি বার বার ফিরে আসে। পৃথিবীকে বাস্তবিক মায়াবী নদীর পাড়ের দেশ বলে মনে হয়।
ডিসেম্বরের একুশ তারিখে পৃথিবী ধ্বংস হবে বলে বেশ হই চই হলো। একদিন মরে যাবো- এই চিন্তার মধ্যে তীব্র হাহাকার থাকলেও পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মধ্যে বিচিত্র কারণে সেই হাহাকার নেই। বরং পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার চিন্তার মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা, শিহরণ। পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার কথায় আতঙ্ক যতটা হয়, তার চাইতে বেশি হয় আনন্দ। কিন্তু পৃথিবী ধ্বংস হলো কই? ডিসেম্বরের একুশ তারিখ এসে গেলো, মায়ান ক্যালেন্ডার শেষ হতে চললো প্রায়; তবু কোথায় সেই ধ্বংসের আলামত?
কোথাও সেই ধ্বংসের আলামত নেই।
না, এবারও পৃথিবী ধ্বংস হলো না। কতবার ধ্বংসের সুযোগ এলো গেলো, পৃথিবী তেমনই রয়ে গেলো। পৃথিবী ধ্বংস হলে পৃথিবীর সাথে সবাই একসাথে ব্রক্ষ্মাণ্ডে মিলিয়ে যাবো, তা আর হলো কই?
হলো না। বরং একাই চলে যেতে হবে পৃথিবী থেকে। আমি চলে যাওয়ার পরেও কত হেমন্ত এমনি করে আসবে।
এমনি করে বয়ে যাবে হেমন্তের বেলা। অথচ সে বয়ে যাওয়া দেখার জন্য আমি থাকবো না। কি আশ্চর্য!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।