আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইয়ে কাহিনীঃ ০২- ললিপপ

মাত্র গল্পটা শুরু করছেন কোরবাইন্না। মাইনে ডাকসাইটে নেতা কোরবান আলী ওরফে কোরবাইন্না। ডানে বামে তাকাইলেন-উপরেও একটু দেখলেন-মাত্র গতকাল একজন উপরে চলে গেছেন-খুব দুঃখী চোখে উপরে তাকিয়ে শুধু একটা ফাকিস্তানী সিলিং ফ্যান দেখতে পেলেন। ফ্যানডা এই শীতেও বন বন কইরা ঘুরতেছে। উনি নিজেও ভাবতেছিলেন এতো গরম লাগে কেনু? চারদিকে তাকালেন।

সামনে দুই একজন চিমসা সাংবাদিক আর ডানে বামে দুই একজন শুকনা নেতা খাড়াইয়া কিংবা বসিয়া আছেন-তাইলে উনার কাছে এতো গরম লাগতেছে কেনু? দরজার দিকে তাকাইয়া দেখিলেন কোফিয়া খাড়াইয়া আছেন-উনার দিকে তাকাইয়া। কোরবাইন্না আরো গরম অনুভব করলেন-ঘাম গলা বেয়ে নীচের দিকে নেমে গেলো। তিনি মহাফাঁপড়ের মাঝে আছেন-এই কোফিয়াকে আনা হয়েছিলো হাড়ি-পাতিল সাফ করার জন্য। নাম জিগাইলেন প্রথমদিন। -কি নাম তোমার মেয়ে? গের গের গলায় মসৃন কইরা জিগাইলেন।

-কোফাইয়া। তড়াক কইরা মুখ থেইক্কা শব্দ বাইর হইলো। -কোপাইয়া? এইডা কি নাম? তিনি ভয় পাইলেন। -আমি ছুডু বেলা থেইক্কা কোপাইয়া কোপাইয়া কুতা বলি তাই আমার নাম কোপাইয়া! -খাইছে-তোমারতো দেখি নামকরন স্বার্থক হইয়ে গেছে। তিনি কিছুটা কাকস্বরে বলিলেন।

-জ্বী আমার এমনি; কথা যেমন-নামও তেমন। কইয়া খিক খিক হাসি! -সাহস আছে বটে তুমার। আমার মতো কাকস্বরের মাইনষের সামনে খাড়াইয়া তুমি ‘কোপাইয়া’ কথা কইতাছো। -সাহস থাকপেনা কেনু? আমি কি কাউরে ডরাই নিকি? -ভালা ভালা। তুমারে দিয়াই হপে।

কাকস্বর তাকাইয়া কইলেন। -হইপেনা কেনু? আমারে দিয়াই হইপে। -ঠিক আছে তোমার নাম রাখলাম ‘কোপাইয়া’ না ‘কোফিয়া’। আমাগো যৈবনে একজন হিরোইন আছিলো-নাম ছেলো ‘সোফিয়া’- সোফিয়ার লগে নাম মিলাইয়া 'কোফিয়া'! -জ্বে আচ্ছা। -পছন্দ হইছে? -হ’ পছন্দ হইবোনা কেনু? আপনে ভাত কাপড় দিবেন-আপনে যা কইবেন তাই সই-আপনে চাইলে কুত্তার মতো ঘেউ ঘেউ করতারুম-আমার নাম ঘেউ ঘেউ এর সাথে মিলাইয়া রাখতারেন।

আজকে আবার দেখলেন তার বৈঠকখানার দরজায় ‘কোফিয়া’ খাড়াইয়া আছে। তিনি আসলে কিছু সাংবাদিক ডাকছিলেন-তার কিঞ্চিত পেডে ব্যাথা হইছে-সেই খবরডা চ্যানেলে দেওনের লাইগ্যা। আইজকাইল টিভি চ্যানেল মানুষের পেডে ব্যাথাও কাভার করে। তিনি মুনে মুনে গালি দেন-হালার সাম্বাদিক-পেডে ব্যাথার রুগীরে নিবা ডাক্তারের কাছে-তা না কইরা ক্যামরা অন কইরা রেকর্ডিং শুরু কইরা দেয়। তিনি কইতে থাকলেন-আমার পেডে ব্যাথার কারনে আসন্ন সিটি কর্পোরেশনের ‘ঠঁটো জগন্নাথ’ পদে নির্বাচন পিছানো না হলে কিংবা কোন প্রকার কারচুপি করা হইলে আর সঠিকভাবে সবাই আমারে ভুট না দিলে আমি-আমি-আমি-আমি তোতলাইতে লাগ্লেন! আর সাংবাদিকরা আগাইয়া আইসা কইলেন-কথা শেষ করেন।

-ইয়ে আমি কিংবা আমরা ললিপপ চুষবোনা। কোফিয়া’র দিকে তাকাইয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া রোমান্টিক স্বরে কহিলেন। গল্প শেষ-খেইল খতম। বুঝলে নিজ দায়িত্বে না বুঝিলেই নিজ দায়িত্বে-সময় নষ্ট হইছে পেরথমে আমার-লেখতে গিয়া এখন আপনার!! তয় গেনের জিনিষ না বুইঝা পড়লেও নেকি আছে-দশ নেকি! হ্যাপি ব্লগিং!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।