জীবনতো একটাই কেন তা নষ্ট করবো। আমার একটাই নীতি LIVE LIFE AND ENJOY LIFE অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ, যখনি দেখবেন কেউ বিনয়ে বিগলিত- একেবারে হাত কচলাকচলি অবস্থা তখনই বুঝতে হবে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়, এ বান্দা কিছু পাওয়ার উদ্দেশ্যেই এমন নতমুখ।
আমাদের সমাজে কিছু কিছু ছেলে দেখবেন এরা তৈরীই থাকে মেয়েদের সেবা করার জন্যে- এরা ক্লাশে মেয়েটির কলম পড়ে গেলে তুলে দেয়, তার নোট ফোট ম্যানেজ করে দেয়, বাসায় যাওয়ার সময় রিকশা ডেকে দেয়। বিনিময়ে এইসব কাজের ফাঁকে এতটুকু ছোঁয়া লাগে, এতটুকু কথা শোন
ে, নিরাপদ দূরত্বে থেকে নতুন জামার ঘ্রাণের গন্ধ নেয়, একসাথে ক্লাশের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আচার খায় দুটি পাখিতে মিলেমিশে একসাথে সেটাই তাদের প্রাপ্তি। এদের দিয়ে মেয়েরা টুকটাক খুচরো কাজ করিয়ে নেয়, এতে এরা গর্বিত হয়- 'নীরার জন্যে বাসা থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে আসার দায়িত্ব আমার!' তবে এদেরকে বড় কোন গ্যাঞ্জামে খুঁজেই পাওয়া যাবেনা- যদি সেই বান্ধবীকে বখাটে ছেলেরা উত্যক্ত করে তবে একপাশে দাঁড়িয়ে চোখে মুখে প্রচন্ড সহানুভূতির চিহ্ন ফুটিয়ে এরা শুধু বলতে পারে- 'দেখো আজকালকার ছেলেরা কত্ত খারাপ...!', মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ করার সাহস এদের নেই, এদের দৌড় সেই মিনমিন করে বলা পর্যন্তই...!!!
উপরে আমি যে ধরনের ছেলেদের কথা বলেছি তারা তাদের মাঠের সেই চরিত্র ফেসবুকে এসেও ফুটিয়ে তোলে, মেয়েরা কোন স্ট্যাটাস দিলেই সেটাতে আগে লাইক মেরে পরে পড়া শুরু করে, মেয়েরা যা ই বলুক তারা তার সাথে একমত।
কোন মেয়ে যদি বলে- 'তোমরা ছেলেরা সব ছাগল', তারা আগে লাইক মেরে পরে কমেন্ট করবে- 'হেহেহে... যা বলেছো, এ যুগের ছেলেরা আসলেই কেমন যেন দিন দিন ছাগল প্রকৃতির হয়ে উঠছে, ওই দিন আমি যেন ফোনে ম্যাঁ ম্যাঁ ডাক শোনলাম, আগে নিশ্চিত ছিলাম না- তোমার স্ট্যাটাসটা পড়ে নিশ্চিত হলাম!'
ফেসবুক এর এক সুশীল স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, সে স্ট্যাটাসে তিনি বর্ণনা করেছিলেন বাসের ভেতরকার দৃশ্য, এক লোক নাকি মহিলা সিটে বসেছিলো, তাকে লোকজন উঠতে বলছিলো কিন্তু সে গুঁয়ার্তুমি করে বসেই ছিলো, আমাদের বিশাল বক্তা তাকে কিছু বলেননি- শুধু সমাজের কত অধঃপতন সে কথাই ভাবছিলেন, তিনি হয়তো ভাবছিলেন কিভাবে সেটা নিয়ে বাসায় এসে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিবেন সে কথা, কোন প্রতিবাদ করেন নি।
আমি ফেসবুকে নারীদের নানা স্বভাবের বিরুদ্ধে প্রচুর কথা বলি, সেগুলো প্রায়শই সত্য, অনেক নারীও আমাকে ইনবক্সে মেসেজ দেন যে তারা নাকি সেসব থেকে শিক্ষা নিয়ে সেগুলো এড়িয়ে চলেন, সেইসব স্ট্যাটাসের জন্যে অনেকে আমাকে নারী বিদ্বেষী ট্যাগও দেন। আমি নারীদের নিয়ে বড় বড় স্ট্যাটাস আসলেই দেইনা, কিভাবে দিবো- একবার মহিলাদের সীট থেকে জোর করে এক ছেলেকে তুলে দেয়ায় পরবর্তী স্টপেজে ফোন করে লোক আনিয়ে যে আমাকে ঘুষিয়ে ঠোঁট ফাটিয়ে দিয়েছিলো, নতুন শার্টের উপরের দিককার বোতামগুলা যে পটাপট ছিঁড়েছিলো সেটাকি আর অমন সাজিয়ে গুছিয়ে স্ট্যাটাসে বলা যায়...???
আমরা বারংবার সেইসব পোলাপানকে ছ্যাবলা বলেই আখ্যা দিবো যারা পুতুপুতু করে কেবল নারীদের প্রশংসাই করে মেয়েদের থেকে সামান্য সস্তা অনুকম্পা লাভের আশায়, আমি বিশ্বাস করি স্পষ্টবাদী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভাল। যেইসব পোলাপান পুতুপুতু করে সেগুলাই ব্রেকাপের পর অনলাইনে ভিডিও ছড়ায়, মেয়ের পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় করার হুমকি দিয়ে বেড়ায়, মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে চিঠি-এসএমএস নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে সে আমার ঢের দেখা আছে। আমি মেয়েদের মানুষ ভাবি, যদি ছেলেদের দোষগুলার নিন্দা করা যায় তবে মেয়েদের দোষগুলোরও অকপট নিন্দা করার অধিকার থাকা উচিৎ, তবে সে অধিকার তাকে হেয় করার মাধ্যমে নয়।
BY
শুভ কামাল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।