সময়ের কাজ সময়ে করতে পছন্দ করি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এ স্বাধীনতা, আমরা পেয়েছি কাঙ্খিত সোনার বাংলাকে। পশ্চিম পাকিস্থানের শাসক গোষ্ঠীর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, সামরিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত সকল ক্ষেত্রে বৈষম্যমুলক আচরন থেকে মুক্তর জন্য বাংলার দামাল ছেলেরা তাদের বুকের তাজা রক্তে বাংলার মাটি ভিজিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। মহান বিজয়ের মাস আজ আবার আমাদের মাঝে এসেছে। ১৬ ডিসেম্বর উদযাপিত হবে ৪১তম বিজয় বার্ষিকী। অথচ এই দীর্ঘদিন পরেও আমরা যখন পাওয়া না পাওয়ার হিসাব কসি তখন প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তির খাতাই ভারি হয়ে উঠে।
যে মহৎ উদ্দেশ্যে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, যে উদ্দেশ্যে দেশ স্বাধীন করা তার অনেক কিছুই আজো অপূর্ন রয়ে গেছে। স্বাধীনতা ঘোষনা পত্রেই উল্লেখ করা হয়েছিল একটি ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের প্রস্তাবনায়ও বলা হয়েছিল, গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি শোষন মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা। কিন্তু দীর্ঘ চল্লিশটি বছর পার হলেও সে লক্ষ্য আজো অর্জিত হয়নি। স্বাধীনতার সুফল আজো মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্বাধীনতার পরে দেশটির সর্বত্র ভঙ্গুর অবস্থা বিরাজমান ছিল। এসময় দেশে একটি গনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের স্থান তৈরি করতে থাকে। কিন্তু সে সরকার ঠিক মত কাজ করতে পারেনি। কারন স্বাধীনতার পরই দেশের অভ্যন্তরে শুরু হয় নানা ধরনের ষড়যন্ত্র মুলক কার্যকলাপ, যা ছিল যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশটির পুনর্গঠনের প্রধান অন্তরায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ঠ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং তার গোটা পরিবারকে নির্মম ভাবে হত্যা করে কুচক্রীর দল।
বহির্বিশ্বে এই প্রথমবারের মত কলঙ্কিত হল বাংলাদেশের ভাবমূর্তী। দেশে শুরু হল রাজনৈতিক অস্থিরতা, চলতে থাকে বড় বড় নেতা কর্মীদের হত্যার ষড়যন্ত্র। এরপর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রিয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এভাবে বিভিন্ন দলীয় কোন্দল এবং সংঘাতময় পরিস্থিতিতে দেশ চলে যায় সামরিক সরকারের হাতে। তখন থেকেই পদদলিত হচ্ছে কষ্টে অর্জিত স্বাধীন দেশের গনতন্ত্র।
একবার বিদেশী কুচক্রীদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করার জন্য প্রান দিতে হয়েছিল এ দেশের বীর সন্তানদের, কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। সামরিক শাসনের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য নিজ দেশের স্বৈরাচারী শাসক শ্রেনীর হাতে তাদের আবারো প্রান দিতে হয়েছে। প্রান দিয়েছিলেন শহীদ আসাদ, যার বুকে লেখা ছিল ‘গনতন্ত্র মুক্তি পাক’ আর পিঠে ছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’। স্বৈরশাসকের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর বুলেটের আঘাতে সেদিন আসাদের বুকের রক্তে লাল হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। আসাদের রক্তে স্বৈরশাসকের রং মুছে গেলেও তারা অন্যরূপে দেশের শাসন ক্ষমতায় থেকে গিয়েছিল।
তাই আজো তত্ববধায়ক সরকার হিসেবে আবারো সেনা বাহিনীকে ক্ষমতায় আসতে দেখা যায়। তখন থেকেই দেশের রাজনীতির মাঠ আজও নৈরাজ্যময়। একটি স্বাধীন দেশের যারা নিরাপত্তার কাজে দায়িত্বরত তারাও বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। বিডিআর বিদ্রোহের মত নৃশংস ঘটনা বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত হয়েছে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন যে সরকার ও বিরোধী দল কেউ কারো প্রতি সহনশীল নয়।
বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে হাটছে দেশ। গনতান্ত্রিক চর্চার প্রায় অচলাবস্থার তৈরি হয়েছে। সরকার ও বিরোধী দলের মাঝে অসৌজন্যমূলক আচরন লক্ষ্যনীয়। বিরোধী দলের সংসদ বর্জনের রীতি পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে কি না জানি না, তবে এটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিনত হয়েছে। বিগত বিতর্কিত তত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান লংঘন করে দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পর তত্বাবধায়ক সরকার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে, সংবিধান সংশোধন করে বাতিল করা হয়েছে তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা।
যার ফলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সকলের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, সংকটময় হয়ে উঠেছে গনতন্ত্রের ভবিষৎ।
মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা পশ্চিম পাকিস্থানের হয়ে কাজ করেছিল তারা আজো এ দেশের বুকে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা দেশের নিরীহ জনগনকে হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষনসহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত, যাদের বিচার না হলে দেশের ত্রিশ লক্ষ্য শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না, শুদ্ধ হবে না আমাদের স্বাধীনতা, সেই যুদ্ধাপরাধী রাজাকার, আলবদরদের আজো বিচার করা সম্ভব হয়নি। নানা রকম আইনি জটিলতা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে পিছিয়ে দিচ্ছে। বর্তমান মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহারেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার কথা বলা হয়েছিল।
কিন্তু ক্ষমতা গ্রহনের চার বছর পার হলেও আজও এর তেমন কোন অগ্রগতি দেখা যায়।
দীর্ঘ দিন ধরে দেশ যখন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মাঝ দিয়ে চলছিল তখন নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদের রাজনীতি। মৌলবাদী সন্ত্রাস আর সাম্প্রদায়ীক জঙ্গীবাদ রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে উঠে ধাপে ধাপে বিভিন্ন রকম জাতি বিনাসী কার্যকলাপে লিপ্ত হতে থাকে। দেশের ৬৩টি জেলায় তারা একই সাথে বোমা হমলার মত নৃশংস ঘটনার জন্ম দেয়। যা দেশের রাজনৈতিক ভাবমূর্তিকে সংকটের মুখে দাঁড় করায়।
২১ আগষ্ট সংগঠিত হয় অনাকাঙ্খিত গ্রেনেড হামলা। নিহত হয় ২২জন নেতাকর্মী সহ সাধারন জনগন। এই হামলার স্বীকার আরো অনেকে আজো পঙ্গু হয়ে জীবন যাপন করছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও বিচার সম্ভব হয়নি সেই হামলাকরীদের। এমনকি আজো দেশের মাঝে এ ধরনের বোমা হামলার ঘটনা লক্ষ্যনীয়।
হরতালের নামে সরকার ও বিরোধী দলের বোমাবাজি, রাজপথে বিশ্বজিতের মতো নিরীহ লোককে কুপিয়ে হত্যা জাতির জন্য কলঙ্কিত বিষয়। এটা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ছাড়া আর কিছুই নয়।
দেশের প্রশাসনিক সর্বস্তরে দূর্নীতে ভরপুর। সরকারের উচ্চ স্তর থেকে নি¤œ স্তর পর্যন্ত দূর্নীতি এমন ভাবে গেড়ে বসেছে যা দেশের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। দেশটি পরপর পাঁচবার দূর্নীতির সূচকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
যদি দূর্নীতির উপর কোন পুরষ্কার প্রদান করা হত তাহলে বাংলাদেশ অনায়াশে তা পাঁচবার ছিনিয়ে আনতে পারত। তবে বর্তমানে সূচকে একটু ভাল অবস্থান তৈরি করলেও তা বাংলাদেশের জন্য কল্যানকর কিছুই নয়। দূর্নীতি প্রতিরোধে কমিশনের তেমন কোন কর্যকারিতা দেখা যায়না। বরং কমিশনের প্রধানের বিরুদ্ধেই দূনীতির অভিযোগ ওঠে। লাখো মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মান দূর্নীতির কারণে অনিশ্চয়তায়, স্বাধীন দেশে দূর্নীতির তদন্তের জন্য আসে বিশ্বব্যাংক প্যানেল।
যার মাধ্যমে বাংলাদেশের দূর্নীতি আজ বিশ্বজনিনতা লাভ করল। সূতরাং আর বোঝার অপেক্ষা রাখেনা দূর্নীতি বাংলাদেশকে কোন পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তেমন কোন সফলতা দেখা যায়না। দেশের বৈদেশীক বিনিয়োগের পরিমান ক্রমাগত অবনতির দিকে। বর্হিশত্রুর বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদক্ষেপ সমূহ সরকার দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করতে পারছে না।
ভারতের সাথে বিতর্কিত ইস্যুগুলোর সমাধানে সরকারের তেমন সফলতা লক্ষ্যনীয় নয়। পদ্মা সেতু নির্মানে বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া ঋনের প্রতিশ্রুতি বন্ধ হয়ে গেলেও তা সমাধানে কোন কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায় না।
স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পার হলেও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি হয়নি। দেশের সর্বত্র গুম, হত্যা, ধর্ষন, ছিনতাই ইত্যাদি নানা ধরনের অপকর্মে ছেয়ে গেছে দেশ। দেখা দিয়েছে মানবাধিকারের চরম অবক্ষয়।
এধরনের পরিস্থিতিতে জনজীবন আজ ভয়ে স্থবীর হয়ে পরেছে, তারা আজ নিরাপত্তা নিয়ে বরই উদ্বীগ্ন। সীমান্ত হত্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। গত তিন বছরে বিএসএফ এর হাতে প্রায় ১৩৭ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে অথচ তা বন্ধে সরকারের তৎপরতা চোখে লাগার মত নয়। মানুষ আজ স্বাধীনভাবে পথ চলতে পারে না। সড়ক দুর্ঘটনা সংবাদ পত্র গুলোর নিত্যদিনের সংবাদের তালিকা ভুক্ত হয়েছে।
প্রতিদিন এ ধরনের দূর্ঘটনায় প্রান দিতে হচ্ছে মিশুক মনির, তারেক মাসুদের মত গুনি ব্যক্তিদের। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনও তা নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না। পরিবহন সেক্টরে ছেয়ে গেছে দূর্নীতি। মানবাধিকার কমিশনও তার নানাবিধ দূর্বলতার কারনে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। যেদেশে গার্মেন্টসে আগুনে পুরে ১১১ জন দগ্ধ হতে পারে, বসে থাকা মানুষ ফ্লাইওভার ধসে মারা যেতে পারে, বলা যায় এমন দেশে মানব জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই।
একটি জাতির মেরুদন্ডখ্যাত শিক্ষা ব্যবস্থাতেও আজ নানা ধরনের অরাজকতা বিরাজমান। ২০১১ সালে প্রনীত জাতীয় শিক্ষা নীতি আশার আলো সঞ্চার করলেও তার বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়ে গেছে। সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নিয়ে বানিজ্য আজো বন্ধ করা যায়নি। ছাত্র রাজনীতিকে সরকার আজো একটি সুষ্ঠু শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে পারেনি। তাদের আজ দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিনত করা হয়েছে।
হল দখল, চাদাবাজী, টেন্ডার বাজী ছাত্র রাজনীতির মুল আদর্শে পরিনত হয়েছে। হারাতে বসেছে ছাত্র রাজনীতির অতীত গৌরব।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আশানুরূপ সাফল্য অর্জিত হয়নি। ক্রমাগত পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে কৃষি পন্য উৎপাদন আজ হুমকির সম্মুখিন। দ্রব্য মূল্য আজ আকাশ ছোয়া।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। প্রতি নিয়ত বেড়েই চলেছে বিদ্যুতের দাম। মানুষের মৌলিক চাহিদা আজ বেশির ভাগই অপূর্ন থেকে যাচ্ছে। দীর্ঘ দুই বছর পার হলেও দেশের শেয়ার বাজারের দর পতন বন্ধ করা যায়নি। বিনিয়োগকারীরা পথে বসেছে।
দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে। বিচার বিভাগের সচ্ছতা নিয়েও সমালোচনা কম নয়। স্বাধীন বিচার বিভাগ গঠিত হলেও তা আজও পুর্নাঙ্গ রূপ লাভ করতে পারেনি। দূর্নীতি তার সচ্ছতা প্রধান অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে।
স্বাধীনতার সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুন হয়েছে।
এ বিপুল জনসংখ্যা জন্য এখনো পরিপূর্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায়নি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে সত্য কিন্তু তার নিয়ন্ত্রন চলে গেছে বেসরকারী মালিকানায়। যার ফলে স্বল্প ব্যয়ে সেবা পাওয়া সাধারন মানুষের জন্য দুঃসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। সংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি হলেও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির চাপে ঢাকা পড়ছে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি। বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে বাঁচানোর কোন প্রচেষ্ঠা আজ চোখে পড়ার মত নয়।
দেশে সিনেমা হল গুলোতে অবাধে চলছে ভারতীয় সিনেমা। যা আমাদের সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ের অন্যতম হাতিয়ার। অথচ তা বন্ধে সরকারের কোন পদক্ষেপ দেখা যায় না।
তবে এত না পাওয়ার ভিতরেও গত ৪১ বছরে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের বড় বড় অপূর্নতাগুলো সে পাওয়াকে ঢেকে রেখেছে।
তাই স্বাধীনতার ৪১ বছর পূর্তি এবং নতুন বছরের শুরুতে সকল অপূর্নতাকে আমরা ভূলে যেতে চাই। সবাই মিলে আর একবার সংগ্রাম করি আমাদের ব্যর্থতাকে জয় করতে এবং নতুন নতুন সফলতা ছিনিয়ে নিয়ে আসতে। যাতে সরকার, বিরোধীদল এবং আপামর জনতার একাত্বতা একান্তই কাম্য ।
জাহেদুল ইসলাম
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।