আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ বারো-বারো-বারো…নীলাঞ্জনা নীলা

আনন্দবতী মেয়ে আমি হাওয়ায় উড়াই চুল,চোখের ভেতর ছলাৎ ছলাৎ মনের ভেতর নীল ঘাসফুল আজকে কিছু বলবো তোকে , ফেলে আসা দিন যেমন করে এই এখানে নিয়ে এসে দাঁড় করালি সেই যে কবে ছোটবেলায় ছুটোছুটি সময়গুলো পার করালি আজকে এই ভারী বয়সে অনেক কথা বলবো তোকে । সাতটি রঙের ভীড়ে তখন পছন্দের রঙ ছিলোনা আকাশ জুড়ে জমে থাকা মেঘেদের ভাব ছিলোনা বৃষ্টি এলেই টিনের চালে গুনগুনগুন গানের তালে মন খারাপের রেশ ছিলোনা । নীলচে আকাশ মানেই যেনো নতূন জামার গন্ধ তখন শরতের পুজোর শেষে ঋতু হেমন্তের নবাণ্ন-যাপন শীতের বুড়ীর ঘর জ্বালিয়ে পিঠে-পুলী-পায়েস খাওয়া কোকিলের গানের সাথে নিজের কন্ঠ মিশিয়ে দেয়া । হঠাৎ করেই কখন জানি বাস্তবের ভুতটি এলো ছোট্টবেলার নরম মনটা সেই থেকেই যে একলা হলো শোনরে সময় , আজকে যে তুই আমাকে এ দিনটি দিলি এই আমি কি সেই ছিলাম এ কথা তুই বলতো দেখি ! খারাপ-ভালোর তকমা পড়ে এখন আমার জীবন চলে শিশু যে নইতো আমি , সবাই কি আর ভালো বলে ! সোনা আর রূপোর কাঠি বদলে দিতে রাজপুত্র যে আসেনা ঠাকুরমা স্বর্গে গেছে , গল্পের আসর আর বসেনা । বড়ো হতে খুব চেয়েছি , ইচ্ছেপূরণ ঠাকরুণ তাই বড়ো আমায় করেই দিলেন--- জ্যোৎস্নামাখা আবেগটাকে স্বচ্ছতায় সাজিয়ে নিয়ে মাধবীলতা হতে গেলেম । কে জানতো , ‘কালবেলা’ গল্পের বাইরে অনিমেষ যে থাকেনা ! একা শুধুই একাকী হয় , ‘একা এবং কয়েকজন’ না । স্নেহ মাখানো মানুষ কই আর ! হিংস্রতার লোলুপ দৃষ্টি প্রতারক আর কাপুরুষের কাছে প্রেম-ভালোবাসা পুড়তে দেখি । এর মাঝেই জীবন যে পায় নির্ভেজাল একটি আশ্রয় নিঃস্বার্থ সম্পর্কই তো বন্ধুত্ত্বেরই পরিচয় । হ্যামিল্টন , কানাডা ডিসেম্বর ১২ , ২০১২ ইং । প্রিয়তর স্পর্শ-মুখ-আবেগ-আনন্দ-স্বস্তি-শাসন-আদর যার থেকে পাই তার জন্যে আজ এই বারো-বারো-বারো লেখাটি...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।