আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৮ ডিসেম্বর বামপন্থীদের হরতাল আর কিছু কথা

আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে বামপন্থীদের দুটি জোট সিপিবি-বাসদ আর গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা প্রায় কাছাকাছি ইস্যুতে ১৮ই ডিসেম্বর সারাদেশব্যাপি হরতাল ডেকেছে। যুদ্বাপরাধীদের বিচারসহ, তেলের মূল্যবৃদ্ধি, তাজরীন ফ্যাশনস এর হত্যাকান্ডসহ আরো কিছু জনগুরুত্বপুর্ন দাবীতে হরতাল ডেকেছে এই দুই জোট। অনেকে একে আখ্যায়িত করছেন আওয়ামীলীগের হরতাল হিসেবে। আওয়ামী লীগ তো আর আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে হরতাল করতে পারছেনা তাই বামেদের দিয়ে হরতাল করানো। তবে বিষয়টা এতটা সরল সাধারণ নয়, আওয়ামীলীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে নানান টালবাহানা গত চার বছর ধরে করেছে, এমনকি শেষ মুহুর্তে বি.এন.পি দমনের জন্য জামায়াতের মতো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে বি.এন.পির থেকে আপারহ্যান্ডে আনার জন্য যাবতীয় এবং তাবত চেষ্টা চালাচ্ছে।

বসÍুত আওয়ামী লীগ নিজেও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার করেছে, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী যার প্রমান, এবং জামায়াত এর সাথে একটা বিরোধাত্মক গভীর সম্পর্কে জড়িত হয়েছে শুধুমাত্র নির্বাচনের হিসেব নিকেশ বিবেচনায়। তত্ত¡াবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হলে জামায়াত জাপাকে প্রধান বিরোধী দল বানিয়ে বি.এন.পি কে সাইডলাইনে রাখার আইডিয়া নিয়েই আওয়ামীলীগ এগোচ্ছে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঝুলিয়ে দিলেই জামায়াত সানন্দে রাজী হবে এতে সন্দেহ নেই এবং আওয়ামীলীগ সে পথেই এগোচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মূলো দেখিয়েই গতবার ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামীলীগ এবং জামায়াতকে সামনে এনে একি মূলো আবার দেখানোর পায়তারা করছে দলটি। আর বামপন্থী এই দুই জোটের এ বিষয়টা নিয়ে নড়াচড়াটা আওয়ামী রাজনীতিকেই শক্তিশালী করে কিনা ভেবে দেখার বিষয়। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা পুর্বেই ঘোষনা দিয়েছিল তেলের দাম বিদ্যুতের দাম বাড়লে তারা ডিসেম্বর মাসেই হরতাল করবে তাই এই জোটের মূল দাবি দাম কমানো ও গার্মেন্টস হত্যাকান্ডের বিচার সহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, অন্য জোট সিপিবি-বাসদ যার মধ্যে সিপিবি আওয়ামীলীগের সাথে বাকশালে গিয়েছিল তারা প্রধানত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে এই হরতাল ডেকেছে।

মূলত যুদ্ধাপরাধের বিচার আওয়ামীলীগের একটা নির্বাচন জেতার টুল, এরা জামায়াতের সাথে পুর্বে (১৯৯৬) ঐক্য করেছিল এখনও একি পদ্ধতি অবলম্বন করছে, এদের দ্বারা এই পাপীদের বিচার সম্ভব নয়। রাস্তার হরতাল তারা কতটুকু করতে পারবে সেটা বৃথা আলোচনা, তবে একটা বিষয় তেলের দাম কমানোর বিষয়টা যুদ্ধাপরাধ ইস্যুর নিচে চাপা পড়ে গেছে আর জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে কি হবে যদি তাকে বেচে থাকার সার আলো বাতাস পানি নিয়মিত সরবরাহ করাহয়। বামপন্থীদের উচিত ছিল শুধু তেলের দাম কমানো আর গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আরো আগে হরতাল করা, এই হরতালের রাজনৈতিক ফায়দা আওয়ামী নিশ্চিতভাবেই লুটবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।