আমি শিক্ষানবীশ এবং কর্মী । সবার কাছ থেকেই শিখছি । সারা জীবনই হয়ত শিখে যাব। কুনো এক উড়ো খবরে পড়লুম, এক দম্পতি নাকি এমনভাবে পরিকল্পনা করে মিলন ঘটিয়েছেন যাতে ১২-১২-১২ তেই তাদের সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় এই অনাবিল-অনন্য পৃথিবীর বুকে! সোজা কথায় বের না হলে নাকি কাটা-ছেড়া করে বের করা হবে বেচারাটিকে।
আর এক বন্ধুর কাছে শুনলাম, তার প্রেমিকার বাড়ি থেকে তাদের মিলন ইহজীবনে মেনে নিবে না তাই তারা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবেন।
তো পলাবেন যখন যা তা দিনে পলাবেন কেন! সেজন্য তারা বেছে নিয়েছেন এই ত্রয়ী তারিখকে। আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার কইরা তার টাকা হইছে এক কুড়ি। তারে হিসাব কইরা দিলাম এক কুড়ি দিয়া তুমি কয়দিন বউ চালাইতে পারবা। হাজার হোক বন্ধু মানুষ।
এক রমণী ফেবু বন্ধুর স্ট্যাটাসে দেখলাম পুরো সেরকম রোমান্টিক করে লিখেছে "বন্ধুরা কালকে আমার জানের সাথে আমার প্রথম দেখা হচ্ছে।
আমার খুব অস্থির লাগছে। তোমরা সবাই আমার জন্য দোয়া করো। আর তোমরা কে কি করছ কালকে???" আমি অতি দুষ্ট বালক হওয়ায় একখান কমেন্ট মাইরা দিছি "আপা, দেখনের আগেই জান হইয়া গেছে, পরে কি হইব?"
আর একখান কাহিনী বর্ণনা করি, হরতালের দিন যেমন সকালে উইঠা আম্মা ফোন দেয় "বাপজান, আজকে বাইর হবি না। খুব গন্ডগোল চলতাছে। খবরদার বাইরাবি না।
"ঠিক তেমনি আজকে আম্মায় ফোন দিছে, "কালকে তোর ক্লাস আছে না? ক্লাস কইরা সোজা হলে যাবি। কালকে দিনটা ভাল না"। এই হলো ব্যাপার।
আসলে ব্যাপার কিছুই না। যুবক-যুবতিদের মন সর্বদাই উড়ুউড়ু করছে ১২-১২-১২ তে স্মরণীয় কে কি করবে!! প্রেমিক-প্রেমিকাদের বেশির ভাগই যারা পরিবারের বিপক্ষে তাদের প্রেমের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মোটামুটি ঠিক করেই ফেলেছেন যে ওইদিনই ঘরছাড়া হবেন তারা।
মা-বাবাদের শংকিত হওয়াই স্বাভাবিক কি না কি করে ফেলে তাদের প্রেমিক সন্তানরা! কালকে কত মায়ের বুক খালি হবে গো???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।