আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার দেশ পত্রিকায় ফাঁস হওয়া কনভারসেশন : চাঞ্চল্যকর তথ্যগুলোর চৌম্বক অংশ! (কপি পেস্ট)

আমার দেশ পত্রিকায় ফাঁস হওয়া কনভারসেশন : চাঞ্চল্যকর তথ্যগুলোর চৌম্বক অংশ! কনভারসেশন সম্পর্কে বিচারপতি নাসিমের দুই সুর! (কপি পেস্ট) ড. আহমেদ জিয়ার সঙ্গে কথোপকথন ফাঁস হয়ে যাবার খবর ইকোনমিস্ট কর্তৃক অবগত হবার পর বিচারপতি নাসিম গত ৬ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের এক আদেশে জানান, একটি নতুন আইনের ওপর ভিত্তি করে এই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। এ কারণে বিচারকদের মাঝে-মধ্যে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের সহায়তা নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। ড. জিয়াকে এধরনের একজন ‘বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে উপস্থাপন করেন বিচারপতি নাসিম। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলোর পরিচালনা এবং আদেশ দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি মি. জিয়ার বিশেষজ্ঞ-সহায়তা নিয়েছেন বলে স্বীকারও করেন সেই আদেশে। একই সঙ্গে এসব কনভারসেশন যেন ‘ইকোনমিস্ট’ প্রকাশ না করেন, সে ব্যাপারেও নির্দেশ দেন আদালত।

কিন্তু ট্রাইব্যুনালে এসংক্রান্ত আদেশটি দেয়ার আগেই গত ৫ ডিসেম্বর ইকোনমিস্টের পক্ষ থেকে বিচারপতি নাসিমের যোগাযোগ করে হলে তিনি যে তথ্য দেন, তা ট্রাইব্যুনালের আদেশে দেয়া তার উপরের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি ইকোনমিস্টকে জোর দিয়ে বলেন, জনাব আহমেদ জিয়া তাকে সহায়তা করেন নি। মি. জিয়ার সঙ্গে তার কথাবার্তা হয়, এ বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন বটে। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের ডকুমেন্ট তৈরিতে তার অংশগ্রহণ ছিল- এবিষয়টি তিনি তীব্রভাবে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “বিচারক হিসেবে আমরা তৃতীয় কিংবা বহিরাগত কারো সহায়তা নিতে পরি না।

” ট্রাইব্যুনাল-সম্পর্কে তাদের দু’জনের মধ্যে মেইল আদান-প্রদান হয়েছে কি না- এর জবাবে জনাব নাসিম বলেন, ‘না, না, না। ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে, রায় সম্পর্কে অথবা বিচারিক কার্যক্রম সম্পর্কে কারো সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা হয় নি। ” পরে তিনি আরো বলেন, “আমি সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক। ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে স্ত্রীদের সঙ্গেও আমরা কোনো প্রকার আলোচনা করি না। ” তৃতীয় কারো সঙ্গে মামলা সম্পর্কে আলোচনা করার ক্ষেত্রে বিচারকদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়।

কেননা, এর ফলে বিচারিক কার্যক্রম সম্পর্কে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হতে পারে। ইকোনমিস্টের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মি. আহমেদ জিয়াউদ্দিনও একই রকম কথা বলেন। তিনি জানান, আদালতের সঙ্গে তার কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। তিনি চাইলে মাঝেমধ্যে কোনো বিচারককে ম্যাসেজ দিয়ে থাকতে পারেন। তবে সাধারণত তিনি সেটি করেন নি।

কারণ, আর যাই হোক, তিনি তো (বিচারপতি নাসিম) একজন বিচারক। ” বিচারপতি নাসিমের দেয়া আদেশ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে- ১. কিসের ভিত্তিতে বিচারকরা বিশেষজ্ঞদের বাছাই করে থাকেন? ২. ইকোনমিস্টে প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আদালত কেন জনাব আহমেদ জিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয় নি? ৩. ট্রাইব্যুনালের আদেশে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেয়ার কথা স্বীকার করলেও ইকোনমিস্টের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কেন বিচারপতি নাসিম সে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন? ৪. ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে বিচারিক কার্য সম্পর্কে অন্য কারো সঙ্গে কথা বলাটা অনুচিত’- এধরনের কথাই বা কেন বললেন জাস্টিস নাসিম? বিচারপতি নাসিমের আদেশ সম্পর্কে ডেভিড বার্গম্যানের মন্তব্য এছাড়াও একই বিষয়ে বিখ্যাত সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান তার নিজস্ব ব্লগসাইটে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেন- প্রথমত, ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে দাবি করছে যে, ইতোপূর্বেই তারা উন্মুক্ত আদালতে ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা দেশি-বিদেশি গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে পারেন। কিন্তু এধরনের কোনো ঘোষণা আদৌ দেয়া হয়েছে কি না- তা আমি মনে করতে পারছি না। (উল্লেখ্য, ট্রাইব্যুনালের সূচনা থেকেই ডেভিড বার্গম্যান এর সংবাদসংগ্রহে এবং বিশ্লেষণে জড়িত আছেন) দ্বিতীয়ত, ইকোনমিস্টের কাছে থাকা কনভারসেশন এবং ই-মেইলগুলোতে যদি সত্যিই কেবল আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনসংক্রান্ত আলোচনা থেকে থাকে, তাহলে এটা প্রকাশ হলে ট্রাইব্যুনালের কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।

কিন্তু তাসত্ত্বেও ট্রাইব্যুনাল তা প্রকাশ করতে নিষেধ করছে কেন? কী ছিল সেই কথোপকথনে? মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক (নাসিম) নিয়মিত বিচারের নানাদিক নিয়ে বেলজিয়ামে অবস্থানরত আহমেদ জিয়ার সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিভিন্ন দিনে মোট ১৭ ঘণ্টার কথোপকথনের রেকর্ড দৈনিক আমার দেশে ছাপানো হয়েছ- যেখানে দেখা যাচ্ছে ট্রাইব্যুনালের কলকাঠি আড়াল থেকে নাড়ছেন মূলত এই আহমেদ জিয়া। তার সঙ্গে রায়হান রশিদ নামের ব্রিটেনপ্রবাসী আরেকজনের নামও উঠে এসেছে। ট্রাইব্যুনালের দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পর্কে বিচারক, প্রসিকিউটর এবং খোদ আইনমন্ত্রী পর্যন্ত এই আহমেদ জিয়ার প্রভাব! কথোপকথন থেকে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে তার কিছু উল্লেখ করা হলো- আইনমন্ত্রী, প্রসিকিউটর সবাইকে নিয়মিত নির্দেশনা দেন আহমেদ জিয়া কেবল বিচারপতি নাসিমকেই নয়, দেখা যাচ্ছে, ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর জেয়াদ-আল-মালুম এবং আইনমন্ত্রীকেও নিয়মিত নির্দেশনা দিয়ে আসছেন এই আহমেদ জিয়া। নিজামুল হক নাসিম : ভালোই, আর খবর-টবর কী? আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ্যাঁ…, খবর তো আমরা কালকে নিজেরা কথা বলছি।

সো… একটা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে এগুলোর। আপনার সাথে কালকে যেটা কথা হইছে। কাল মালুম ভাইর সাথে কথা হয় নাই। কাজেই… আজকে ওই গোলাম আযমেরটা কতদূর আগাইছে? নিজামুল হক নাসিম : গোলাম আযম ফার্স্ট হাফ হইছে। সেকেন্ড হাফে আবার সাঈদী ধরছিলাম।

আগাচ্ছে আর কি। সাঈদীর তো ওই ডকুমেন্ট জমা হচ্ছে। ১৩ নম্বর সাক্ষী এখনও চলতেছে, চলবে…। আহমদ জিয়াউদ্দিন: উনাদের কারো সঙ্গে কালকে কথা হয় নাই অবশ্য। কালকে বোধহয় ছুটির দিন ছিল দেইখ্যা উনারা ব্যস্ত ছিলেন বোধহয়, এইজন্য স্কাইপি আসতে পারে নাই।

আহমেদ জিয়া কোনো নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নন আহমেদ জিয়াকে কোনো মতেই ‘নিরপেক্ষ’ একজন বিশেষজ্ঞ বলা যায় না। কারণ, বিচারপতি নাসিমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি গোলাম আযমের উপর বারবার মনের ঝাল মিটাচ্ছিলেন এবং তাকে ‘গোলাম’ হিসেবে উল্লেখ করছিলেন। আহমদ জিয়াউদ্দিন : সেখানে প্রভাইডেড ওই জেরাটাকে যদি রেস্ট্রিক্ট করা যায় আর কি। সো, এটা আমাদের মনে হচ্ছে যেটা, সেটা হলো যে, যদি মানে, কোনো অবস্থাতেই গোলামটাকে যদি…। যেটা এর আগেও কথা হইছিল আমাদের, যদি গোলামটাকে (গোলাম আযম) যদি স্পিডআপ করা যায় আর কি।

এবং এটাকে যদি প্রথম কেস হিসেবে শেষ করা যায়। তাহলে সবদিক থেকে পলিটিক্যালি ও সিগনিফিকেন্ট, লিগ্যালি ও ভেরি সিগনিফিকেন্ট। কারণ তার মতো সিগনিফিকেন্ট কেস নাই আসলে। জাজমেন্ট আগে থেকেই রেডি! আহমেদ জিয়া: এটা যদি একটা কম্প্রিহেনসিভ জাজমেন্ট, যেহেতু এখন একটা নতুন তারা চেঞ্জ করবে বইলা মনে হচ্ছে। জাজমেন্ট তো আপনাকে আগেই ডেলিভারি করার, মানে আগেই সমস্থ কিছু টাইপ-টাইপ কইরা সিল সাইন সব রেডি রাখতে হইবে।

মানে কমপ্লিট জাজমেন্ট কইরা রাখতে হইবে। কাজেই এখন আপনার প্রস্তুতিটা কিন্তু বেশ কিছুটুকু আগে থেইক্যা শুরু করতে হইবে। ট্রাইব্যুনালের অর্ডার, জাজমেন্ট লিখেন আহমেদ জিয়াউদ্দিন! আশ্চর্য্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, ট্রাইব্যুনালের আদেশ, রায় সবকিছু আহমেদ জিয়াউদ্দিন লিখে দেন। সাঈদীর রায় কেমন হবে সেটি নিয়ে যেমন তারা কথা বলেছেন, ঠিক তেমনি এর আগে বিচারপতি নাসিমের অপসারণের দাবিতে যে রিকিউজাল পিটিশনগুলো দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলোর অর্ডারও আহমেদ জিয়া লিখে দিয়েছেন বলে কনভারসেশনে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও জিয়াদ-আল-মালুম ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সামনে যে বক্তব্য পেশ করেন, সেটাও এই আহমেদ জিয়ার লেখা! তার মানে এই ট্রাইব্যুনালকে অন্তরাল থেকে আসলে এই আহমেদ জিয়াই পরিচালনা করছে।

আহমদ জিয়াউদ্দিন : সাঈদীর জাজমেন্টের একটা রাফ স্কেচ তৈরি করা হইছে। স্ট্রাকচারটা কী হতে পারে হয়তোবা কাল আমি স্ট্রাকচারটা আপনাকে পাঠাব। জাস্ট টু দেখার জন্য। এটাকে আমরা রিয়েলি, এই স্ট্রাকাচরটা এমনভাবে করছি আমরা, তাতে খুব বেশি কষ্ট হবে না আপনার। আমাদের কিন্তু এমন করতে হবে, যেটা আমাদের দেশের কিছু টুকু থাকে।

কিন্তু, এইটার স্ট্যান্ডার্ডটা, মানে অন্যরা যেন এইটা ফিল করে। আমাদের মেইন টার্গেট যদিও ডিসিশনের ক্ষেত্রে, মেইন টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। কিন্তু, এটার যে ক্রিটিক্যাল অ্যাঙ্গেলে যেটা দেখবে, সেটা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ওইভাবে দেখবে না। তো, এই জাজমেন্টটা কীভাবে ওয়ার্ডেড হচ্ছে, কীভাবে স্ট্রাকচার্ড হইছে, কীভাবে ফ্রেইম হইছে...। ........................................ আহমদ জিয়াউদ্দিন: কাজেই স্ট্রাকচারটা, যদি স্ট্রাকচার রাইট, তাহলে আমরা মনে করি যে, বাকিগুলাও পারা যাবে।

যেমন এই যে আমি বলতেছিলাম, আমি ইটালিয়ান যে অরগানাইজেশনের মিট করলাম এবং কথা বললাম, তারা আসলে অ্যাপ্রিশিয়েট করছে আমাদের এই অর্ডারটা। মানে রিক্যুজালের অর্ডারটা। কিন্তু তারপরেও তাদের ফিলিংসটা হচ্ছে যে, এখানে জাজকে মনে হইছে একটু হার্শ আরকি। কিন্তু, এইটা যে একটা ওয়েলড্রাফটেড, ওয়েলরিটেন, ওয়েল একটা কিছু, এইটা তারা অ্যপ্রিশিয়েট করছে। তারা ইক্যুয়ালি অ্যাপ্রিশিয়েট করছে মালুম ভাইয়ের ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের জন্য আমাদের করা প্রেজেনটেশনটা।

যে কারণে তারা মালুম ভাইরে আনতে চাচ্ছে। আমি বললাম যে, উনাকে না নিয়ে এসে অন্য কাউকে আনতে হবে। সো…, সেই আলোচনা এখনও চলতেছে। ওরা হইলো ওইটা দেখে আগে আর কি…। ওরা দেখে, যে টেক্সটা তৈরি হইছে, সেইটা ঠিক ওয়েদার ইট লুকস রাইট।

ওইখানে আমাদের লুকস রাইটও দিতে হবে। দুই ট্রাইব্যুনালের রায় যেন একই রকম হয়: আহমেদ জিয়ার নির্দেশনা আহমেদ জিয়া: আমাদের কথা হচ্ছে যে, ট্রাইব্যুনাল দুইটা করা হইছে-হইছে…। কিন্তু ইয়ে আসতে হবে একই রকমের। এবং যে কারণে ট্রাইব্যুনাল-১এর দায় দায়িত্বটা খুবই দরকার। কারণ গাইডেন্সটাকে, টোনটাকে সেট করা।

এইটাই হাইল রাস্তাটা। এরপরে আপনি এদিক সেদিক থাকেন— নড়াচড়া করেন, কোনো অসুবিধা হবে না। সে হিসেবেও কিন্তু ট্রাইব্যুনাল ওয়ানের একটা কেসের কনক্লুশন ইজ ভ্যারি ইম্পোর্টেন্ট। আর যেহেতু সাঈদীর কেসে আমাদের লিগ্যাল প্রিন্সিপাল খুব বেশি সেট হবে না, এটা আমরা বুঝতে পারতেছি। এবং ফ্যাক্টগুলো সেভাবে না।

এবং তারে যে অবস্থানগত কারণেও সেটা না। লিগ্যাল অবস্থানের কারণেও সেটা না। পলিটিক্যালি ইভেন আদারওয়াইজ (সাঈদীর) এটা সিগনিফিকেন্ট রোল না এটা। মানে ওই পরিমাণ প্রিন্সিপালগুলা আমরা সেট করতে পারব না। এবং তার ক্রিমিন্যালিটির দিক থেকেও না।

যেটা আপনার গোলাম আযমকে দিয়ে আনা যাবে। কাজেই এটা দিয়েই যদি আমরা সেট করে দিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমরা অনেকগুলো কাজ একসাথে করতে পারলাম আর কি। .......................................... আহমেদ জিয়া: এখানে বেশি স্বাধীনতা বা বেশি ইনটেলিকচুয়েলগিরি এখানে দেখানোর দরকার নাই। ট্রাইব্যুনাল-১ যেখানে এভাবে গাইডলাইনটা দিচ্ছে, এভাবেই এটা হতে হবে। প্রবলেমটা হলো এখানে কবির সাহেব না।

উনি প্রবলেম। কিন্তু লেখার দিক থেকে সেটা কোনো প্রবলেম হবে না। প্রবলেম হবে শাহিনুর সাহেবের। হ্যাঁ… উনির, ওনার যেভাবে করতেছে, আমরা চাইছি ওনারটা দিচ্ছে, সেভাবে বাকিটা হতে হবে। এবং এখানে কবির সাহেব প্রবলেম হলেও লেখার দিকে কবির সাহেব প্রবলেম হবে না, প্রবলেম হবে শাহিনুর সাহেব।

উনি এখন যেভাবে করতেছে সে আমরা চাই যে, উনার সমস্ত অর্ডারগুলার কপি যেভাবেই হোক না কেন, আমাদেরকে দেয়া হোক। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শাহিনুরকে নামিয়ে দিতে হবে : আহমেদ জিয়া কথোপকথনে দেখা যাচ্ছে, ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শাহিনুর ইসলামের প্রতি মারাত্মক রুষ্ট বিচারপতি নাসিম এবং আহমেদ জিয়া। কারণ, শাহিনুর প্রায়শই আন্তর্জাতিক মান রক্ষার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে থাকেন। কথোপকথনের এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আহমেদ জিয়া বলেন, এক পর্যায়ে প্রয়োজন হলে বিচারপতি জহিরের মতো শাহিনুরকেও বিদায় করতে হবে ট্রাইব্যুনাল থেকে। নিজামুল হক নাসিম : যেমন সেদিন উগান্ডান টিম আসার আগের দিনে, আমরা একটু বসছিলাম তো যে, কী আলাপ-টালাপ করব।

সেখানে শাহিনুর বলতেছে যে, আমাদের একটা জিনিস দেখানো দরকার যে, আমাদের আইনে আর আইসিটির কিংবা আসিটিওয়াই এদের তফাতটা কোথায়। আমরা একটা কম্পারেটিভ স্টাডি তাদেরকে দিয়ে দেব। আমি বললাম, হোয়াই শুড, কেন? আমরা আমাদের আইন নিয়েই কাজ করব। আমরা বলব যে, আমরা আমাদের আইন নিয়া চলতেছি, আমাদের domestic Law, আমাদের tribunal domestic however the foreign tribunal judgment we can consider as persuasive value not more than that. এইটা আমাকে রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার থেকে শুরু কইরা আপনাদের ওই শওকত, সবাই সাপোর্ট করল আমাকে। আমার জাজরাও করল।

কিন্তু ওই দু’জন জাজ চুপ। শাহিনুর পরে কইল, আচ্ছা ঠিক আছে। তাই যদি হয়… ইফ ইউ থিংক সো, তাই যদি হয়, তাইলে ঠিক আছে। আমি বললাম, আচ্ছা আপনি কি মনে করেন না, It is a domestic tribunal বলে, তা মনে করি। তাইলে আমাদের ডোমেস্টিক ট্রাইব্যুনালের লগে আমেরিকান ল’য়ের কি তফাত, ব্রিটিশ ল’য়ের কী তফাত আইসিটিওয়াই’র কী তফাত, তা আমাগো দেখাবার দরকারটা কী? আমরা বলব যে, আমাদের আইনেই চলছে, চলবে।

ফরেন জাজমেন্টগুলা আমরা কনসিডার করতে পারি। যদি আমরা মনে করি এটার পারসিউসিভ ভ্যালু এইখানে আছে এবং এটা আমাদের ফ্যাক্টস অ্যান্ড সারকামসটেন্সেসের সাথে মিল্লা যাইতাছে We can use those things that’s all. এর পরে আর কথা কয় নাই। আমার মাথায় ওটাই ছিল আর প্রসিকিউটররাও আমাকে বলছিল যে, প্রত্যেকটা অর্ডারে সে ফরেন ট্রাইব্যুনালের ম্যাটেরিয়াল নিয়া আসে। আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ… যেখানে ইভেন দরকার নাই, যেখানে আপনার এটার কোনো রিলিভেন্ট নাই আর কি। এই জিনিসটা ওনাকে স্টপ করাইতে হবে অথবা একপর্যায়ে উনারেও ওইখান থেকে বিদায় কইরা দিতে হবে।

Because it is so important matter যে এইটা যদি উনি বন্ধ না করে আর কি, তাহলে মানে ঐব যধং ঃড় মড় ধং বিষষ, নবপধঁংব এইটা খুবি ক্ষতিকর। আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে যাবে। কারণ অ্যাপিলেট ডিভিশনে গিয়ে যে স্ট্রং আরগুমেন্ট যেটা হবে আর কি যে, তারা জিনিসটাকে সেট করতাছে—এমনিতেই উনি চার্জ যে করতাছেন, সেখানে জেনোসাইডের ধারে-কাছে দিয়াও যাইতেছে না। উনি কিন্তু সব চার্জ নিয়া ঢুকায়ে দিচ্ছে ক্রাইমস এগেইনেস্ট হিউমিনিটির ভিতরে। this also is a matter of serious concern. এখানে উনি অলমোস্ট ইতিহাসটাকেই চেঞ্জ করে ফেলতাছেন আর কি।

তারপর হচ্ছে যে, প্রতিটা ক্ষেত্রে ইন্টারনেশনাল ল’য়ের যে রেফারেন্সটা দিচ্ছে—যেখানে কোনোই প্রয়োজন নাই। আমাদের এখানে, উগান্ডার জাজরা আপনাদের কী বলে গেছে, জানি না। বিষয়টা হচ্ছে যে… তড়িঘড়ি করে রায় ঘোষণার জন্য সরকারের চাপ! কথোপকথনে বারবার উঠে এসেছে রায় দ্রুত দেয়ার জন্যে সরকারি চাপের প্রসঙ্গটিও। দেখা যাচ্ছে, আইন প্রতিমন্ত্রী ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে তড়িঘড়ি করে রায় দিতে চাপ দিচ্ছেন। নিজামুল হক নাসিম : তারা গেছে পাগল হইয়া মোটমাট, আমি আপনারে বলতেছি।

একটা জাজমেন্ট না পাইলে ১৬ই ডিসেম্বর… ১৬ই ডিসেম্বর কইরা ডাহাডাহি করতেছে। এটা কোনো অর্থ হয় না। তারা একটা জাজমেন্ট চাচ্ছে, সোজা হিসাব। আহমদ জিয়াউদ্দিন : ১৬ই ডিসেম্বরের ভূত তো এর আগেরবারেও ছিল। নিজামুল হক নাসিম :সে ব্যাপারে সাঈদী আগাইয়া আছে, সাঈদীর রায়ডা হইয়া গেলে গভর্নমেন্ট ঠাণ্ডা হইত।

................................................. নিজামুল হক নাসিম : আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার যাচ্ছে হজে.., স্টেট ... স্টেট। আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ...। নাসিম: আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। উনি বললেন যে, রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন। আমি কইলাম, কেমনে দিমু।

রায় তো আর এক পৃষ্ঠার না...। আপনার ডিকটেট পাইলে পরে সময় পাইলে, এক মাস ধইরা রেডি করতাম। কয় কি যে, তাড়াতাড়ি চেষ্টা কইরেন। কামরুল কোটায় ট্রাইব্যুনালের নতুন বিচারক আওয়ামীপন্থী ‘সোনা জাহাঙ্গীর’! ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক একেএম জহির আহমেদের পদত্যাগের পর নতুন বিচারক হিসেবে আসেন জাহাঙ্গীর হোসেন। এই বিচারককে ‘সোনা জাহাঙ্গীর’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কনভারসেশনে।

আরো জানা গেছে, নতুন এই বিচারক মেধাবী হলেও দুর্নীতগ্রস্ত। কারণ, তিনি আগে স্মাগলিং সংক্রান্ত আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেন। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুলের লবিংয়ে এই ট্রাইব্যুনালে তার আগমন। একইসঙ্গে তিনি কট্টর আওয়ামীপন্থী বলেও জানা যায় এই কনভারসেশনে। বিচারপতি নাসিম এখানে আহমেদ জিয়াকে আশ্বস্ত করেন যে, নতুন বিচারককে বলে দেয়া হয়েছে যে, তার কোনো কাজ নেই।

তিনি কেবল নাসিমের কথায় উঠবেন বসবেন। নিজামুল হক নাসিম : আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তার নাম আইসা চিফ জাস্টিসের রিকোমেন্ডেশন হইয়া গেছে। সে হলো জজকোর্টে ল’ইয়ার ছিল। জজকোর্টের লেবেল থেকে মনে হয় হইছে।

কামরুল-টামরুল করছে আর কি। আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও আচ্ছা তার মানে, এ ইয়ের কোটায় আসছে আর কি। নিজামুল হক নাসিম : কামরুল কোটায়। আমার ধারণা, হে কামরুল কোটায় আসছে। আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাজনীতির দিক থেকে কোন দিকের মানুষ সে? নিজামুল হক নাসিম : আওয়ামী-আওয়ামী।

আহমদ জিয়াউদ্দিন : মারছে, বেশি আওয়ামী লীগ হইয়া গেলে...। নিজামুল হক নাসিম : আমার মনে হয় সেই রিডিং করছে যে, বাবু হলো জেএসডি, আর ওই ঠাকুর হলো সিপিবি। আমরা আওয়ামী লীগ দিব। ........................................ আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা তো... তার মানে একটা করাপ্ট মানুষকে দেওয়া হইছে? নিজামুল হক নাসিম : অন্ততপক্ষে হি ওয়াজ করাপ্ট—এটা বলা যাইবে। আহমদ জিয়াউদ্দিন : আরে এইটা কি এমন একটা জিনিস যে, কালকে ছিলেন করাপ্ট, আজকে ভদ্রলোক হয়া গেলেন? নিজামুল হক নাসিম : না... না... না...।

ওই জাহাঙ্গীরও আমার লগে ঠিক থাক। আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ্যা...? নিজামুল হক নাসিম : করাপ্ট মানুষ তো। বেশি ই... করবে না। অসুস্থতার কারণে নয়, জনাব জহির পদত্যাগ করেন আইনমন্ত্রীর চাপে! বিচারক জহিরের পদত্যাগ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানানো হয় যে, তিনি অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তিনি আইনমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করেছেন।

বিচারপতি নাসিম: সে (জহির) আইসা আমারে বলে, ‘আই এম নো মোর ইয়োর মেম্বার’। আমি কই মানে! কী বলছেন আপনে? উনি বললেন, আপনি কোর্টে উঠেন...। আপনার লগে দেখা করে যাব। তবে আমি কোর্টে উঠবো না, উঠতে পারতেছি না আমি। শ্যাষে আমি কোর্টে উঠলাম।

কোর্ট সাইরা চারডার সময় দেখা করল। তখন আমাকে বলল যে, এ রকম (আ্ইনমন্ত্রী) ডাকাইল... ডাকাই নিয়া বলল যে, রিজাইন করেন। রিজাইন করলাম... রিজাইন দিয়ে আসলাম। আর আজকে স্বীকার পাইছেন উনি যে, পরশু দিন রাতরে উনারে মন্ত্রী ডাকাইছিলেন বাসায়। আহমদ জিয়াউদ্দিন : আইনমন্ত্রী? নিজামুল হক নাসিম : এবং বাসায় নিয়া বলতেছে..., আপনারে আমরা ই তে নিব।

ল’ কমিশনে নিব। আপনি রিজাইন দেন। আজকে ডাকাই নিয়ে একেবারে রেজিগনেশন রাইকখা দেছে এককেরে। প্রসিকিউটররা কিভাগে এগুবে, আড়ালে তা শিখিয়ে দিচ্ছেন বিচারক! নিজামুল হক নাসিম : আপনি ওদেরকে বলে দেন যে, তারা যেন ইমেডিয়েটলি তারা যেন, দরখাস্ত করে। যে, ডিফেন্সের উইটনেসদের নাম এবং পার্টিকুলারস তারা যেন চায় কোর্টের কাছে যে, এটা দেয়া হোক।

তখন আমি নম্বর ডিলিট কইর্যা দেবয়েনে। ডিলিট করে বলবয়েনে, এটা দিয়ে দেয়ার জন্য। বা এ অর্ডার করে দিতে পারব যে, এত দিনের মধ্যে দিয়ে দেয়া হোক। তার আগে তো আমাদের সাক্ষী শেষ হবে। তারপর ওই অর্ডার হবে; তার আগে তো না।

তিনটা রায় দিতে পারলেই আপিল বিভাগে নাসিমের পদোন্নতি! বিচারপতি নাসিম মূলত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক ছিলেন। সেই অবস্থাতেই তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। কথোপকথনে উঠে এসেছে যে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রভাবশালী বিচারক এসকে সিনহা তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, সাঈদী, গোলাম আযম আর সাকার মামলার রায় দিয়ে দিতে পারলে আপিল বিভাগে তার পদোন্নতি দেয়া হবে! নিজামুল হক নাসিম : সিনহা বাবু কইছে, ডিসেম্বর এর মধ্যে তিনটা দেন। এইটা গোলাম আযম সাহেবের, আর সাকা। এই তিনডা দিয়া ফালাইতে পারলেই হইছে।

তারপরে নিয়ে আসি আপনারে আমরা এইখানে। এরপরে ওহানে আপনারে আর লাগবে না। এই হইছে কথা আর কি। আমি কইছি, যা করেন করেন, প্রমোশনডা দিয়া লন আগে। হা… হা… হা…।

আহমদ জিয়াউদ্দিন : হি… হি… হি…। সাঈদীর মামলার অসারতা কথোপকথনে আরেকটা বিষয় বারবার উঠে এসেছে যে, সাঈদীর মামলাটা খুব হালকা এবং তাকে ট্রাইব্যুনালের আইন অনুসারে সাজা দেয়া খুব কঠিন। আহমদ জিয়াউদ্দিন : কারণ অ্যাটবেস্ট ওনারা (Prosecutors) খুবই খোলামেলাই স্বীকার করতেছেন যে, মানে সাঈদীর কেস তো খুবই লাইট-ওয়েট একটা কেস আসলে। এটা এমনিই খুব টাইট কেস না। খুব শক্তিশালী একটা ব্যাপার-স্যাপার না।

.............................................................. নিজামুল হক নাসিম : শোনেন, আমি একটা জিনিস মনে করি। যেডা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, সম্ভব হইলে গোলাম আযম ফার্স্ট, সাঈদী সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ড। আর যদি তা প্রবলেম হয়, তাইলে সাঈদী ফার্স্ট, গোলাম আযম সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ডই থাক। কেননা সাঈদীর কেসটা ডিফারেন্ট। এই সাঈদীর কেসটার লগে আইনের সম্পর্ক খুব বেশি না।

এডা আমাদের দেশি দরবারের মতোই। গোলাম আযম হইলো সেটেলমেন্ট অব ল’ হয়ে যাবে। ন্যায়বিচার যেখানে হুমকির মুখে, সেখানে প্রাইভেসি আইনের দোহাই পাড়া হাস্যকর! এতসব চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হয়ে যাবার পর একটি মহল প্রচারণা চালাচ্ছে যে, এভাবে অন্যের গোপন তথ্যাদি হ্যাক করে প্রকাশ করা প্রাইভেসি আইনের লঙ্ঘন। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য। ফাঁস হওয়া ব্যাপারটি যখন জনস্বার্থের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হয়, তখন সেখানে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ব্যাপারটি গৌণ হয়ে পড়ে।

একারণেই ইকোনমিস্ট পত্রিকা লিখেছে- “ব্রিটিশ প্রেস কোড অনুসারে আমরা এধরনের গোপন তথ্য প্রকাশ করতে পারি না। তবে যদি তা গুরুতর জনস্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে আমরা তা প্রকাশ করতে পারি। ” সুতরাং, ব্রিটিশ আইন অনুসারে জনস্বার্থ জড়িত থাকলে গোপন বিষয় প্রকাশে বাধা নেই। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক মান রক্ষার ব্যাপারে সরকার এতদিন যে বড় বড় বক্তৃতা দিয়ে এসেছে, এসব তথ্য প্রকাশিত না হলে সাধারণ জনগণ কস্মিনকালেই বুঝত না যে, একটি কুচক্রি মহলের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে এই ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধীদের এমন বিচার চায়, যা হবে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত।

হঠকারিতার সঙ্গে কাউকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানোর মতো হীনম্মন্যতা এই জাতি লালন করে না। বিচারের নামে যে প্রহসনের নাটক মঞ্চায়নের চেষ্টা চলেছে এতদিন, তা প্রকাশিত না হলে সরকার অন্যায়, অন্যায্যভাবে অভিযুক্তদের ওপর দণ্ডারোপ করতে পারত। একটা বিচারব্যবস্থার জন্যে এটা বড় রকমের দেউলিয়াপনা। এর মধ্য দিয়ে বিচারযন্ত্রকে খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের একটা সনদ এবং ধৃষ্ঠতা অর্জন করত সরকার। এসব কথোপকথন প্রকাশের মধ্য দিয়ে কুচক্রি মহলটির মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।

এটা মূলত সত্যের জয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।