আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শরীরে আঁকা ট্যাটু বা উল্কি শিল্প !! চলতি ফ্যাশন – ১

আমি অনেক কিছু সাহস করে বলতে চেয় ও বলতে পারি না যখন দেখি আমার পাশের মানুষ গুলো পিছু হটে যায়... যখন দেখি সবাই নিজেকে নিয়ে অনেক বেশি ভাবে,তাই আমি ও কিছু বলতে চাই আমার প্রিয় ব্লগে... সজোরে আওয়াজ তুলতে চাই আমার ভালো লাগা লেখনি দিয়ে ট্যাটু শিল্প বর্তমানে বাংলাদেশের যুব সমাজের মধ্যে এক অন্যরকম আলোড়ন সৃষ্টি করেছে । মুলত এটি একটি সৌখিনতা মাত্র । আমাদের দেশে উঠতি বয়সের তরুণ তরুণী দের মধ্যে শখের বশে অনেককেই এই ট্যাটু করতে দেখা যাচ্ছে । ধারণা করা হয় ৩৩০০ বি.সি থেকেই মানুষ বিভিন্ন ভাবে চামড়া কেটে কালার করতো যা পরবর্তী কালে ফ্যাশনে রুপ নেয় । যদিও বর্তমানে শুধু মাত্র একটা ইলেক্ট্রিক মেশিন দিয়েই এই শৈল্পিক কর্মটি সেরে ফেলা যায়।

প্রচলিত এক লোককাহিনীতে বলা হয়, চীন দেশের মহিলাদেরকে কুৎসিত দেখানোর জন্য এবং বার্মার শিকার সন্ধানি রাজাদের হাত থেকে তাঁদেরকে রক্ষা করার জন্যই ঐ ট্যাটু আঁকা হতো৷ তবে ট্যাটু আঁকার সৌন্দর্য এবং এর অসুন্দর দিক নিয়ে মতভেদ রয়েছে অনেকের মধ্যেই তবে অনেকেই মনে করেন, ট্যাটু আঁকার বিষয়টি ছিল আসলে নারীত্ব এবং তাঁর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে৷ ট্যাটু আজকের ইউরোপ আমেরিকায় তো এটি একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার । বেশ কয়েক বছর ধরে গায়ে উল্কি আঁকা ফ্যাশনে দাঁড়িয়ে গেছে৷ ছাত্র-ছাত্রী, গায়ক-গায়িকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দেহও উল্কির নানা রঙে রঙিন হয়েছে৷ জার্মানিতে চালিত একটি জরিপে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের নীচে যাদের বয়স তাদের পাঁচজনের মধ্যে একজনের গায়ে উল্কি আঁকা রয়েছে৷ স্ট্যান্ডার্ড ট্যাটু মেশিন ১৮৯১ সালে ট্যাটু মেশিন আবিষ্কার করেন স্যামুয়েল নামক এক ভদ্রলোক। মূলত ব্যাটারী চালিত মেশিনটি ব্যবহার হতো এম্ব্রয়ডারী করার কাজে বা কোনো কাগজের উপর পেইন্ট করার জন্য, সেটার সাথে কালি জুড়ে দিয়েই ট্যাটু গান বানান তিনি । পায়ের প্যাডাল বা হাত দিয়ে এটা পরিচালনা করা যায় এটি, যার মূলমন্ত্র আমাদের স্কিনের ডার্মিস লেয়ার পর্যন্ত পৌছে কালি লাগিয়ে দেয়া। এখানে উল্লেখ্য যে ডার্মিস অথবা ডিপার লেয়ারে যায় বলেই ট্যাটু আমাদের স্কিনের সাথে পারমানেন্ট হয়ে যায়।

সূক্ষ সুই দ্বারা এই কাজটি করা হয়, যেই সুই মিনিটে ১০০-১৫০ বারের মত চামড়ায় আঘাত করে । এজন্য কোনো এনেস্থেটিক ড্রাগেরও প্রয়োজন নেই। ট্যাটু বা উল্কি আঁকার রঙ ঃ ট্যাটু বা উল্কি আঁকার জন্য এই যে রঙ ই ব্যবহার করা হোক না কেন সেটা যেন নিঁখুতভাবে চামড়ার বসে যায় তার দিকে খেয়াল রাখতে হয় ৷ রঙটি ভাল না খারাপ তা বোঝার একমাত্র উপায় হচ্ছে ট্যাটু যখন শুকিয়ে যায় তখন। তবে অনেক কাস্টমারই জানেন না যে রঙ ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে মেশানো হয় মারাত্মক একটি রসায়নিক পদার্থ৷ এই রসায়নিক পদার্থ চামড়ার একেবারে ভিতর থেকে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে৷ আর যেহেতু এই উল্কি সারাজীবন শরীরে থাকবে তাই এই রসায়নিক পর্দাথও সারাজীবন দেহে থেকে যাবে৷ এর ফলে বিভিন্ন ধরণের অসুখ এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে৷ আপনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই উল্কি আপনার সঙ্গে থাকবে বিদ্যুৎচালিত একটি যন্ত্রের সাহায্যে তা করা হয়৷ দেখতে তা অনেকটা ডেনটিস্টের ড্রিল মেশিনের মত যা দিয়ে দাঁতের চিকিৎসা করানো হয়৷ মেশিনের মাথায় রয়েছে অত্যন্ত সূক্ষ্ম একটি সুঁই৷ এই সুঁইটির মাথায় রঙ লাগনো থাকে৷ প্রতিবার সুঁইটি যখন চামড়ার ভেতরে প্রবেশ করানো হয় সেই সঙ্গে রঙও ভেতরে প্রবেশ করে৷ রঙের পরিমাণ এক মিলিলিটারেরও কম৷ চামড়ার যে স্তরে রঙটি লাগানো হয় তার নাম ডের্মিস৷ এই স্তরে যে কোন রঙ ঢোকাতে পারলে তা সারাজীবন দেখা যাবে৷ ভিক্টর আরো বলল,‘‘এটা বিশেষ এক পদ্ধতি৷ সারাজীবনই থাকবে৷ আপনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই উল্কি আপনার গায়ে থাকবে৷ বিষয়টি দারুণ উত্তেজনার৷'' মুছে ও ফেলা যাবে ট্যাটু নতুন টেকনোলজির মাধ্যমে ট্যাটু ফেইডিং ক্রিম ইউজ করে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে ট্যাটু অপসারণ করা সম্ভব! ট্যাটু সম্পর্কিত একটি গিনেজ রেকর্ড “হর প্রকাশ” নামের ভারতীয় ৭০ বছর বয়স্ক একজন ব্যবসায়ী নিজের শরীরে ৩০৫ টি দেশের পতাকার ট্যাটু অংকন করে Guinness world records এ নাম লেখায় । বাংলাদেশে ট্যাটু করে এমন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত উদ্দোগে প্রতিষ্ঠিত ।

তার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান হল – Venom Tattoo Studio রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত এটি । ফেইসবুক থেকে পেইজ দেখতে পারেন - http://www.facebook.com/Venomfuad অবশ্যই সেখানে যাবার পূর্বে ফোন করে টাইম চেয়ে নিয়ে যেতে হবে কেননা তারা এপয়েন্টমেন্ট ছাড়া কোন কাজ করে না । মোবাইল নম্বর -01674619599, 01717719991 । ধন্যবাদ। এই আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ ভাবে আমার নিজ উৎসাহে পরিবেশিত কোন প্রকার বিজ্ঞাপন করার জন্য নয়।

এই ধরনের লেখা আমি গুগলের মাধ্যমে সার্চ দিয়ে http://www.somewhereinblog.net/live এ খুঁজে পাইনি তারপর ও যদি কারো কোন লেখা বা আর্টিকেলের সাথে আংশিক বা হুবুহ মিলে গেলে আমি ক্ষমা প্রার্থী ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।