একটা মেয়ের একটু কথা। বাংলা ব্লগের ইতিহাসে ছাগুদের ল্যাদানি চিরকালের। তারা প্রতিনিয়ত বংশ বৃদ্ধি করছে। সাথে তাদের সহ্য ক্ষমতা ও দিন দিন বেড়েই চলছে। এ প্রসঙ্গে একজন ছাগুর মতামত হলো ‘সত্যের সেনানী নেবে নাকে বিশ্রাম’ আহা কি স্পিরিট! তবে তারা না থাকলে ব্লগ পানসা হয়ে যায়।
কারণ বিনোদন। তারা আমাদের প্রতিনিয়ত বিনোদন করে চলে। তাদের ইউনিক(!) সব পোস্ট আর কমেন্টের দ্বারা। যার কারণে আজকাল কমেডি শো গুলো মার খাচ্ছে। গবেষনায় প্রমানিত যে ছাগু প্রজাতির মধ্যেও কিছু প্রকার ভেদ আছে।
গবেষনাটি আপনাদের অবগতির জন্যে হুবহু তুলে দেওয়া হলো।
ছাগুদের প্রকার ভেদ গবেষনামুলক অনুসন্ধান:
১/ রিয়েল ছাগু:
এই প্রজাতির ছাগুরা বাংলা ব্লগের প্রস্তর যুগ হতে অর্থের বিনিময়ে ল্যাদাইতেছে। তাদের সহ্য শক্তি অসামান্য। তারা ছাগীয়তার প্রকৃত ধারক এবং বাহক। এরা মুলত জামাত শিবিরের পেইড ছাগু।
এরা গদামের উপর গদাম খেয়ে যায় এবং অর্জিত গদাম দ্বারা বেহেস্তে হুর গেলমান পাইবার আশা করে। গদাম খাইবার সময় এদের চোখে হুরদের ছবি ভেসে উঠে। তবে পেমেন্ট অনিয়মিত হয়ে পড়লে এদের দেখা যায় না। এদের সব ব্লগেই আইডি থাকে।
২/ ছুপা ছাগু:
প্রকৃত ছাগু অপেক্ষা বেশী ছাগীয়তা বাদ লালন করে এরা।
এরা সাধারণত সাধারণ ব্লগারদের সাথে মিলেমিশে ব্লগিং করে। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে এদের কাটা লেঞ্জা বাহির হয়ে পড়ে। তখন এরা আউলা কথা বার্তা বলে ব্লগের পরিবেশ দুর্গন্ধযুক্ত করে তোলে। এই ছুপারা ইনিয়ে বিনিয়ে ছাগীয়তা প্রচার করতে চায় কিন্তু ব্লগারদের দ্বারা ধৃত হয়ে পড়ে। এদের সহ্য ক্ষমতা ও বেশী।
ব্লগে ছুপা ছাগুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
৩/ আঁতেল ছাগু:
এই প্রজাতির ছাগুদের মধ্যে কবি কবি ভাব প্রবলভাবে দেখা যায়। এদের কবিতার উদাহরণ
‘ আমি আর তুমি আকাশের মাঝে,
সারি সারি কচুগাছ। ’
এরা যত্রতত্র ল্যাদাইয়া থাকে। অর্থাৎ প্রায় সকল ব্লগেই এদের আইডি থাকে।
এবং সকল স্থানে ল্যাদাইয়া এরা পরিবেশ দুষন করে। এরা সাধারণ কথাকে কাব্যিক ছাগীয়তা রূপে লিখে থাকে। নতুন ব্লগাররা তাদের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।
৪/ গরু খোজা ছাগু:
এরা সাধারণত ছাগীয়তাকে বৈজ্ঞানিক সুত্র মতে প্রমান করার চেষ্টা করে। এরা মাঝে মাঝে জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে বলে শোনা যায়।
এরা বিভিন্ন গরুখোঁজা মুলক পোস্ট এক সাখে বিভিন্ন ব্লগে পোস্টায়। এদের গবেষনার উদাহরণ ‘ রসায়ন এবং জ্বিনের অস্তিত্বের প্রমান’, ‘নিউটন মাধ্যাকর্ষন শক্তি আবিষ্কার করেছেন কোরান থেকে’ অথবা ‘গোবরের পুষ্টিগুণ’।
এদের পোস্টে কমেন্ট করলে এদের কোন রেসপন্স পাওয়া যায় না। এরা অন্যের ব্লগেও কমেন্ট করে না। ফেবুতে এরা বিভিন্ন ধর্মীয় চিহ্ন সম্বলিত গাছ গাছালি, পাথর, পশুর ছবি আকাশের মেঘে চিহ্ন ইত্যাদি আপলোড করে এবং সবাইকে ট্যাগ করে বিরক্ত করে।
৫/ আগুইন্যা ছাগু:
এদের ল্যাদানি ভয়াবহ। এরা সাধারণত ছাগীয়তাবাদ নিয়ে অগ্নিঝড়া পোস্ট দিয়ে থাকে। এদের অনল বর্ষী পোস্ট দেখে সকল ছাগু একত্র হয়ে ল্যাদানি আরম্ভ করে। এদের পোস্টে সকল ছাগুদের কমেন্ট দেখা যায়। ব্লগের সকল প্রজাতির ছাগুদের কমেন্ট পাওয়া যায় এদের পোস্টে।
তবে এরা সাধারণ ব্লগারদের প্রতিনিয়ত বিনোদন করে চলে। এরা বিভিন্ন ব্লগে ব্যান খেয়ে থাকে। তবে এতে তাদের ল্যাদানি কমে না। অন্য ব্লগে গিয়ে ল্যাদানি আরম্ভ করে।
৬/ চুল্কানি ছাগু:
এদের ছাগীয়তার সাথে চুল্কানির সম্পর্ক আছে।
বহুদিন পর পর এরা ব্লগে আসে। তখন সকল এরা চুলকানি মার্কা পোস্ট দিয়ে সবাইকে বিরক্ত করে। এদের পোস্টে তখন সবাই গিয়ে গদামে গদামময় করে তোলে। এরা তখন চুপি চুপি সরে যায় অথবা নিশি রাত্রিতে কমেন্টের জবাব দিয়ে আসে।
৭/ প্লেবয় ছাগু:
এই ছাগুরা বাহিরে এক কিন্তু ভিতরে আরেক।
মুখে ধর্মের বাণী পচোর করে। এদের একজনের পেনড্রাইভ দেখার দুর্ভাগ্য আমার হয়েছিল। কিভাবে সেটা বিরাট ইতিহাস। পেন ড্রাইভ ফরম্যাট দিয়ে এনেছিল। কিন্তু আমার বদ অভ্যাসের বশে গোপনে রিকভারি সফটওয়্যার দিয়ে ডাটা রিকভার করার পর দেখি নুড পিকস আর ভিডিওতে ভর্তি।
এদের পোস্ট গুলো সাধারণত ধর্মীয় বাণীতে ঠাসা থাকে। এদের পোস্টে মন্তব্যকারীর সংখ্যা কম থাকে। এরা কারো মন্তব্যে জওয়াব দেয় না।
৮/ গালিবাজ ছাগু:
এরা গালিবাজ হয়ে থাকে। এরা ছাগীয়তার স্বপক্ষে প্রতিনিয়ত গালাগালি করে ও খেয়ে অভ্যস্ত।
এদের এক একজনের ভাব থাকে যুদ্ধংদেহি। এরা ব্লগে অনিয়মিত হয়ে থাকে। এরা ব্যান খেয়ে খেয়ে পশ্চাৎদেশ শক্ত করে ফেলেছে। এদের অনেকে ফরেন বাস করে।
৯/ ডোমেস্টিক ছাগু:
এরা পেইড হয়ে থাকে।
বেশীর ভাগই জামাত শিবিরের। এরা রিসেন্ট টপিক নিয়ে ল্যাদায়। এছাড়া অন্য কোন পোস্ট দেখা যায় না। তবে এরা ব্লগে সদা সক্রিয় থাকে। বেছে বেছে ছাগপজাতির পোস্টে মন্তব্য করে থাকে।
তবে মাঝে মাঝে সাধারণ ব্লগারদের পোস্টে মন্তব্য করে ফেলে। তখন আলুপোড়া খেয়ে ফেরত আসে।
১০/ পল্টিবাজ ছাগু: এরা সাধারণ ব্লগার দের সাখে মিলে মিশে থাকে। কিন্তু ছুপা ছাগুর সাথে পার্থক্য হলো যে এরা সবার কথায় হ্যাঁ বলে কিন্তু সময় মতো মওদুদ স্টাইলে পল্টি খেয়ে পিঠ বাঁচায়। এদের সহ্য ক্ষমতা মাশাল্লাহ ভালো।
১১/ বেকুব ছাগু:
এই প্রজাতির ছগেরা নিয়মিত সকল ব্লগে ল্যাদায়। নিয়মিত গদাম খায় এবং নিয়মিত সবাইকে ধন্যবাদ জানায়। গদাম খাবার জন্যে এদের কেউ পেমেন্ট দেয় না। কিন্তু তারপর ও ল্যাদানি কমে না তাদের। এই ছাগেরা সাধারণত ছিল খাওয়া ছাগ।
১২/ বাল্কেশীয় ছাগু:
এই প্রজাতির ছাগুরা বাল্কেশীয় লেখা পোস্ট করে থাকে। তাদের ছাগীয়তা দেখে অন্য ছাগুরা দুঃখ পায়। তাদের বাল্কেশীয় লেখা আমাদের প্রতিনিয়ত বিনোদন করে থাকে। তাদের লেখা ছাগীয়তার উদাহরণ হিসেবে সাধারণ ব্লগাররা স্ক্রিনশট নিয়ে রেফারেন্স হিসেবে ব্যাবহার করে থাকেন। এরা বানানে কাঁচা হয়ে থাকে।
তাদের পোস্টে ইমো কমেন্ট এর বন্যা বয়।
১৩/ হুমকিবাজ ছাগু:
এই ছাগ প্রজাতির নামের মাঝেই এদের মাহাত্ম্য লুকানো আছে। এই ছাগুরা ল্যাদায় কম হুমকি দেয় বেশী। বেশীর ভাগই জামাত শিবিরের পেইড ব্লগার। তারা গালাগালিতে না পেরে হুমকি পন্থা অবলম্বন করে।
‘হেন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা ধুরা কাওয়ার াল ছিড়েঙ্গা’ টাইপ হুমকিই এরা বেশী দেয়। তবে কিছু রগকাটার ডাইরেক্ট রগ কেটে নেবার হুমকি প্লাস হাত পা লুলা করে দেবার হুমকি প্রদান করে। তবে সবই বুঙ্গা। আর ব্লগাররা তাদের বুঙ্গা বুঙ্গা দিয়ে সমান করে ফেলে। তাই এদের বেশী দেখা যায় না।
এরা ফেবুতে বেশী সক্রিয়।
১৪/ ছাগুহেড:
এই ছাগুহেডদের সব ব্লগে দেখা যায় না। নির্দিষ্ট কোন ব্লগে দেখা যায়। তাদের লেখা অন্য ছাগুরা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে। তবে সেই লেখা সাধারণ ব্লগাররা পড়েন না।
তাদের মাঝে একটা সিরিয়াস ভঙ্গি সবসময় থাকে। এমন একজন ছাগুহেডের সাথে আমার একবার কথা হয়েছিল জি প্লাসে। বিশেষ একটি ব্লগে আমাকে তার লেখা দেখতে বলে। লেখাটি মুলত কাক খাওয়া হারাম না হালাল তা নিয়ে। তার ছাগীয়তা দেখে আমি সত্যিই পুলকিত হয়েছিলাম সেদিন।
সার্কেল থেকে তাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছিলাম।
আমার গবেষনা লব্ধ অনুসন্ধান আপনাদের পেশ করতে পেরে ভাল লাগছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।