ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট দের মাঝে কমন একটা ধারা আছে যে উচ্চশিক্ষার জন্য বাহিরে পড়তে যাওয়ার। বলার অপেক্ষা রাখেনা তার মেজরিটি আর ফেরত আসেনা। আসলেও জাস্ট দেশে ঘুরে যাওয়ার জন্য। আমি সবসময় বিশ্বাস করে আসছি এই ব্রেইন ড্রেইন হতে দেয়ার মধ্যে দিয়ে দেশের সাথে প্রতারণা করতেছি আমরা। কারন সাধারন মানুষের কষ্টের টাকায় আমাদের এই শিক্ষা লাভ।
এই কথা বললেই অনেকেই বলত কি পাইছি আমি দেশ থেকে?আমি তখন পাল্টা প্রশ্ন করতাম দেশের সাথে কি দেনা পাওনার হিসেব?
যাই হোক স্বাভাবিক ভাবেই আমার অনেক ক্লাসমেট বিদেশে চলে গেছে উচ্চশিক্ষার জন্য, আরও অনেকে আছে পাইপ লাইন এ। যখনি এরকম কোন নিউজ পাইছি আমি মনে মনে উপহাস করতাম ওদের যে একদিন তোরা বিবেগের তাড়নায় পরবি। খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের টাকায় পড়ালেখা করে অন্য দেশকে সময়, শ্রম, মেধা সব বিলিয়ে দিয়ে কি দেশের সাথে কত বড় বেঈমানিই না হয়ত করছি আমরা তা বুঝতে পারবি।
আজ মনে হইতেছে আমি আর আমার মত চিন্তা চেতনা যাদের তারা আস্ত একটা ছাগল। যেই দেশে আমি স্বাভাবিক মৃত্যুই আশা করতে পারিনা সেই দেশ দেশ করে কি লাভ?কাল অফিসে যাওয়ার পথে হয়ত আমাকেও কোপায় রক্তাক্ত করে রাখবে আর হসপিটালে যেয়ে চিকিৎসার ওভাবে মরে পরে থাকব আমি।
আর যারা আমাকে কোপায় যাবে তাদের হাতে সামান্য আচর লাগলেও আমাদের মহামান্য মন্ত্রিরা আমার লাশের পাশ দিয়ে যেয়ে তার সেবা সুশ্রশার খবর নেবে। আর আমার প্রধানমন্ত্রী আরও বেশি রক্তের নেশায় উন্মত্ত উল্লাস করবে। তার বাবার রক্তের প্রতিশোধ যে আরও অনেক বাকি এখনও।
You are winner mate those who have gone to abroad already and I’m the bloody looser who thinks of serving the country.But the fact is that I will die here of animal’s life.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।