ধর্মান্ধ মুমিন বান্দাদের লন্ডভন্ড করব ! এদেশের ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রমে ক্ষোভের পাশাপাশি হাসির উদ্রেক করে ! এরা একে অপরকে গালি দেয় , অ-সঠিক বলে , মিজবাহুর আদালতে জামাতী নেতার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয় ! বড়ই কৌতুকের বিষয় । এই মিজবাহুর রহমানকে দেখি টক শো তে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বড় বড় তাত্বিক আলোচনা করতে । অথচ যখন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাতিলের প্রশ্ন আসে তখন সকল বিভেদ ভুলে মোল্লারা মাঠে নামে ! এই হল আমাদের দেশের রাজনৈতিক নোংরামি ।
.
আমাদের কলেজের হলে কয়েকজন শিবিরকর্মী থাকে । ক'মাস আগে একটা অভিযান চালিয়ে তিনটাকে আচ্ছামত প্যাদানি দিয়ে হল থেকে বের করেছিলাম ।
পরদিন ছাত্রলীগের ভাইয়েরা বিপূল বিক্রমে হাজির !
"ওদের কেন মারা হয়েছে ? ওরা তো আমাদের আন্ডারে থাকে !"
বিস্ময়ে হতবাক হয়ে বললাম ওরা তো শিবির করে । লীগের বড় ভাইয়েরা বলল ,
"কখনই না । ওদের মেরে তোমরা অপরাধ করছ । "
অথচ সকলেই জানে এবং দেখে ঐ ছেলেগুলো সক্রিয় শিবিরকর্মী । ছাত্রলীগের বড় ভাইদের ঘুষ প্রদান করে কলেজে শিবির তাদের হলকেন্দ্রিক কার্যক্রম চালায় !
.
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যাবার লোভে একবার মৌলবাদীদের সাথে চুক্তি করলেন ।
চুক্তি করলেন যে ক্ষমতায় গেলে ঐ মৌলবাদী দলকে ফতোয়া দেবার অধিকার দেয়া হবে ! কিন্তু দেশজুড়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠলে হাসিনা এই চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হন । যিনি উঠতে বসতে হাগতে মুততে তার বাপের নাম জপ করেন এবং দেশবাসীকে শোনান , তিনি সেদিন কোন আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজ করেছিলেন ? কোন জবাব কি দিয়েছেন তিনি ?
.
মোল্লাদের ভয়ে তিনি সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম বহাল রাখলেন , নিজে নারী হয়েও দেশের নারীসমাজকে দিতে পারলেন না সম্পত্তির সম অধিকার , কিন্তু সবসময় তিনি বাপের নাম করতে করতে তসবি জপেন । খাঁটি মুসলমান । বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তাকে ত্যাজ্য করতেন বলেই আমার ধারণা । হাসিনা ভোটের জন্য এসব করছেন , অথচ তিনি পাবলিক সেন্টিমেন্ট বোঝেন না ।
সাধারণ মানুষ যে ধর্মান্ধতাকে ঘৃণা করে তা তিনি বোঝেন না , যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঝুলিয়ে রাখলে যে তার ভরাডুবি হবে তা তিনি বোঝেন না , তিনি তার একমাত্র ভালবাসা আবুলকে নিয়েই মেতে আছেন । আবুলকে বাঁচাতে হবেই । নিশাচারীনি রুবাইয়াত আরও অনেক "মেহেরজান" তৈরি করবে এই দেশে ! নারী হয়েও ওরা ধর্ষণ করবে নারীদের । অসহ্য... অসহ্য.... অসহ্য....!!
.
সিপিবি এবং বাসদ আগামী ১৮ ডিসেম্বর হরতাল ডেকেছে জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীতে । কিন্তু আওয়ামীলীগ এতে সমর্থন দেয়নি ।
কারণ দেশটাকে তারা নিজেদের সম্পত্তি ভাবে । এদেশে জামাতকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং বিতাড়িত (কখনই করবেনা) করার ক্ষমতা যেন ওরাই সংরক্ষণ করে । আগামীতে যদি ওরা ক্ষমতায় যায় তবে হয়তো ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সৈনিকদেরকেও আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে ঘোষণা করবে !
গত পোস্টে খালেদাকে নিয়ে লেখায় অনেকে আমায় আওয়ামীপন্থী বলেছিলেন । আমি কোনটাই নই । আমি কমিউনিস্ট , কমিউনিস্ট এবং কমিউনিস্ট ।
তাই ওরা কেউ আমার বন্ধু নয় । উপরে যাই দেখাক না কেন , ওরা তলে তলে মাসতুতো ভাই । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।