দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
আমাদের এই সৌরজগতে যে কয়টি গ্রহ আছে, তার মধ্যে বুধ গ্রহটির অবস্থান সূর্যের সবচেয়ে কাছে। সেই হিসেবে গ্রহটির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়েও অনেক বেশি হওয়ারই কথা। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও মার্কিন মহাকাশ গবেষণাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকরা দাবি করেছেন, বুধ গ্রহের উত্তর গোলার্ধে জমাট বাঁধা বরফ ও জৈব উপাদান থাকার তথ্য পেয়েছেন তারা। পাশ্চাত্যের প্রভাবশালী ‘সায়েন্স ম্যাগাজিন’-এ প্রকাশিত নিবন্ধে তারা দাবি করেন, বুধ গ্রহের উত্তর গোলার্ধে অগ্নুত্পাতে সৃষ্ট গর্তগুলোর মধ্যে জমাট বাঁধা বরফের অস্তিত্ব রয়েছে। একই সঙ্গে আলকাতরা ও কয়লার মতো জৈব উপাদানও থাকতে পারে।
খবর রয়টার্স, বিবিসি ও লাইভ সায়েন্সের। নাসার সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র সূর্যের কাছাকাছি গ্রহ বুধ। এ গ্রহের একদিকে যেমন তীব্র গরম অন্যদিকে তেমনি ছায়াঘন হিমশীতল পরিবেশ। নাসার পাঠানো মেসেঞ্জার নভোযানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বুধ গ্রহে বরফ থাকার সম্ভাবনার কথা বলেছেন। তারা পৃথিবী থেকে শক্তিশালী দূরবীনের মাধ্যমেও বুধগ্রহের ওপর গবেষণা করেছেন।
গবেষকরা জানান, বুধ গ্রহে প্রাণের উদ্ভব ঘটেছে বলে কোনও তথ্য তাদের জানা নেই। তবে প্রাণের আবির্ভাব ঘটার মতো প্রাথমিক পরিবেশ সেখানে আছে কি না, তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা সম্ভব হবে। গবেষকদের মতে, লাখ লাখ বছর আগে এ গ্রহটির সঙ্গে ধূমকেতু ও গ্রহাণুর সংঘর্ষের ফলে সেখানে জৈব উপাদান তৈরি হয়েছে। ফ্লোরিডায় অবস্থিত নাসার প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধগ্রহে জমাটবাঁধা বরফের ব্যাখা দেন গবেষকরা। তারা ধারণা করছেন, বুধ গ্রহের ভূপৃষ্ঠের চেয়ে জৈব উপাদানগুলো রঙ বেশি কালো।
এ জৈব উপাদানগুলো বরফের সঙ্গে মিশে অবস্থান করছে। বুধ গ্রহের উত্তর গোলার্ধের গভীর খাদগুলোতে জমাট বরফের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ও মেসেঞ্জারে পাঠানো তথ্যের গবেষক সিন সলোমন জানান, বর্তমানে মঙ্গলগ্রহে অবস্থানরত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ রোবট কিউরিওসিটির মতো কাজ করে না মেসেঞ্জার। এ যানটি মূলত লেজার রশ্মির বিচ্ছুরণ, কণা বিচ্ছুরণ, গামা রশ্মির নির্গমণ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করে। পৃথিবীতে বসে এ তথ্য বিশ্লেষণ করেন গবেষকরা।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।